মোহাম্মদ আজাদ : | বৃহস্পতিবার, ০১ অক্টোবর ২০২০
২০২৬ সালের নির্বাচনের সাথে যদি ২০২০ সালের নির্বাচনের তুলনা করা হয় তাহলে বলা যাবে বর্তমান নির্বাচন করোনা প্যানডেমিকের কারণে অনেক জটিল। কিন্তু ২০১৬ সালের নির্বাচনের ঠিক একমাস আগে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন যে অবস্থানে ছিলেনবর্তমান নির্বাচনের ঠিক একমাস আগে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছেন। গত রোববার নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়ানা কলেজ, এবিসি নিউজ, ও ওয়াশিংটন পোষ্টের জরিপে সেটি প্রকাশ পেয়েছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনের ঠিক এক মাস আগে হিলারি ক্লিনটন সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে ২ থেকে ৩ শতাংশে এগিয়ে ছিলেন।
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ঠিক চার বছর পর একই সময়ে নির্বাচনের এক মাস আগে রিপাবলিকান প্রার্থী হচ্ছেন ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হচ্ছে জো বাইডেন। জো বাইডেন এখন গড়ে সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে ৭ থেকে ৮ শতাংশের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। এবিসি নিউজ ও ওয়াশিংটন পোষ্টের জরিপে বলা হয়েছে যে সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে জো বাইডেন ট্রাম্পের চেয়ে ১০ শতাংশের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। সর্বশেষ জরিপ হয়েছে গত রোববার। এবিসি নিউজ/ মারিস্ট কলেজের জরিপে বলা হয়েছে, পলিটিক্যাল ব্যাটেলগ্রাউণ্ড বা রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্র খ্যাত স্টেট মিশিগানে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে ৮ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। উইজকনসিনে জো বাইডেন এগিয়ে আছেন ১০ শতাংশ ব্যবধানে। অথচ এই দুটি স্টেটে ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন জয়ী হতে পারেননি। গত সোমবার ফরচুনের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, জো বাইডেন এখন পর্যন্ত মোট ৭টি স্যুয়িং স্টেটে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন। এই ৭ স্টেটে হিলারি জয়ী হতে পারেননি। স্টেটগুলো হচ্ছে: অ্যারিজোনা, ফ্লোরিডা, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলিনা, ওহাইয়ো, পেনসিলভেনিয়া ও উইজকনসিন। জর্জিয়া হচ্ছে একটি রেডস্টেট বা সলিড রিপাবলিকান। কিন্তু এবার জর্জিয়া হচ্ছে একটি রাজনৈতিক ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট। সিবিএস/ইউগভ এর জরিপে দেখা গেছে জর্জিয়ায় প্রেসিডেন্ট মাত্র এক পয়েন্টের ব্যবধানে বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে আছেন। এছাড়াও আরো একাধিক সংস্থার জরিপে দেখা যায় জর্জিয়ায় ট্রাম্প ও বাইডেনের জনপ্রিয়তা প্রায় সমান সমান বা বাইডেন কখনো এক শতাংশের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। নর্থ ক্যারোলিনাও এমন একটি স্টেট, কিন্তু সেখানে এখ নপর্যন্ত জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে ২ শতাংশের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। এ দুটি ষ্টেটে ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন হেরেছিলেন ৪ থেকে ৫ শতাংশের ব্যবধানে।
সিএনএন এর তথ্য থেকে জানা যায় নির্বাচনের ঠিক এক মাস ২ দিন আগে সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে ৫০ শতাঙশ ভোটারদের মাঝে জো বাইডেনের গ্রহণযোগ্যতা রয়েচে। ট্রাম্পের গ্রহণযোগ্যতা মাত্র ৩৮ শতাংশ। ২০১৬ সালের ঠিক এই সময়ে ৪০ শতাংশ ভোটারেরমাঝে হিলারির গ্রহণযোগ্যতা ছিল । টেক্সাস একটি রেড স্টেটট, সেখানে রয়েছে ৩৮টি ইলেকটোরাল ভোট। এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইলেকটোরাল ভোটের স্টেট। ক্যালিফোর্নিয়া সর্বোচ্চ ৫৫টি ইলোকটোরাল ভোটে স্টেট। ১৯৭৬ সালের নির্বাচনে টেক্সাসে সর্বশেষ ডেমোক্রেট প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার জয়ী হয়েছিলেন। এরপর টেক্সাসে আর কোন ডেমোক্রেট প্রার্থী জয়ী হতে পারেননি। গত ২০১৬ সালের নির্বাচনে টেক্সাস রেড স্টেট থাকলেন এবার টেক্সাস একটি রাজনৈতিক ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট। সবগুলো সংস্থার জরিপে দেখা যাচ্ছে টেক্সাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের চেয়ে মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। আবার কখনো সেখান ১ বা ২ শতাংশের ব্যবধানে জো বাইডেন এগিয়ে রয়েছেন। অনেকগুলো সংস্থার জরিপে মাঝে মাঝে দেখানো হচ্ছে, দুই প্রার্থীর জনপ্রিয়তা টেক্সাসে সমান সমান। টেক্সাস নিয়ে এবার ট্রাম্পসহ রিপাবলিকান নীতিনির্ধারকদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এবার নির্বাচনে টেক্সাস যদি রেড স্টেটের স্থলে ব্লু স্টেট হয়ে যায় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। টেক্সাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হেরে গেলে নির্বাচনে তার জয়ের সম্ভাবনা হবে ‘জিরো’ শতাংশ। ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন ডেভাবে এবার টেক্সাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিদ্রাকে হারাম করে দিয়েছে ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারির পক্ষে তা সম্ভব হয়নি।
Posted ৩:৪৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০১ অক্টোবর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh