বাংলাদেশ অনলাইন : | বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
ফেনারবাচের তুর্কী মিডফিল্ডার মের্ত হাকান ইয়ানদাসকেও জেলে পাঠানো হয়েছে। ফাইল ছবি
তুরস্কের পেশাদার লিগে অবৈধ বেটিং ও ভেতরের তথ্য ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ২০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। তাদের বিরুদ্ধে চলবে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম। গত সপ্তাহে দেশটির প্রসিকিউটররা সুপার লিগের খেলোয়াড়, ক্লাব সভাপতিরা, একজন রেফারি ও ক্রীড়া বিশ্লেষকসহ মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘আনাদোলু’ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে গালাতাসারায়ের খেলোয়াড় মেতেহান বালতাচি এবং ফেনারবাচের মিডফিল্ডার মের্ত হাকান ইয়ানদাসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আদানা দেমিরস্পোরের সাবেক সভাপতি মুরাত সানচাককেও আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তুরস্ক ফুটবলে এ ধরনের কেলেঙ্কারি নতুন নয়। দেশটির ইতিহাসে এর আগে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো বড় ম্যাচ-ফিক্সিং তদন্ত হয়েছে। তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ইবরাহিম হাচিওসমানোগলু বলেন, ‘বছরের পর বছর তুর্কি ফুটবলের নানা সমস্যা লুকানো হয়েছে। লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অনেক অপরাধ ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়িত্বহীনতাই দায়ী।’
তিনি আরও জানান, রাষ্ট্রীয় বেটিং প্রতিষ্ঠান ‘স্পর টোটো’র কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া গেলে তদন্ত আরও বিস্তৃত হতে পারে। এতে ম্যাচ পর্যবেক্ষক, কোচ, কর্মকর্তাসহ অনেকেই তদন্তের আওতায় আসতে পারেন।
Posted ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh