বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক : | মঙ্গলবার, ০৪ মে ২০২১
ছবি : সংগৃহীত
ঝড় বয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গেটস পরিবারে। মাইক্রসফট সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটসের ২৭ বছরের সংসারের পাঠ চুকে গেছে। সোমবার বিচ্ছেদ ঘোষণার পর দুজন এখন ভিন্ন পরিচয়ের অধিকারী। বিল ও মেলিন্ডা যখন আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তখন তাদের বয়স যথাক্রমে ৬৫ ও ৫৬ বছর। তাদের দাম্পত্য জীবন আলোকময় করে এসেছে তিন সন্তান। জেনিফার (২৫), রোরি (২১) ও ফোয়েব (১৮)। বাবা মায়ের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে তাদের।
বিল ও মেলিন্ডা গেটসের মেয়ে জেনিফার বলেছেন, মা–বাবার বিচ্ছেদের ঘোষণায় পুরো পরিবার কঠিন সময় পার করছে। ৩ মে (সোমবার) বিল ও মেলিন্ডা গেটসের বিচ্ছেদের ঘোষণার পর মুখ খুললেন তাদের মেয়ে।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, বিল গেটস ও মেলিন্ডার সম্পর্কের শুরুটা ছিল পেশাভিত্তিক। ১৯৮৭ সালে প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে মাইক্রোসফটে যোগ দিয়েছিলেন মেলিন্ডা। এরপর দুজনের মধ্যে জানাশোনা শুরু হয়। এরপরের গল্প দুজনের সামনে এগিয়ে যাওয়া। শুরু হয় দুজনের চুটিয়ে প্রেম। নেটফ্লিক্সে প্রচারিত এক তথ্যচিত্রে বিল গেটস বলেছেন, ‘আমরা একে অপরের খুব খেয়াল রাখতাম। এখানে দুটি সম্ভাবনা ছিল। হয় আমাদের প্রেমে বিচ্ছেদ হবে, নয়তো আমাদের বিয়ে করতে হবে।’
মেলিন্ডা বলেন, তিনি বিল গেটসকে একজন সুশৃঙ্খল মানুষ হিসেবে আবিষ্কার করেছিলেন। এমনকি তাকে বিয়ে করার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিও দিয়েছিলেন বিল—এমনটাই জানিয়েছিলেন মেলিন্ডা। এরপর প্রেম আরও গভীর হয়েছে। প্রেম শুরুর সাত বছর পর ১৯৯৪ সালে তারা এক ছাদের নিচে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। হাওয়াই দ্বীপের লানাইয়ে হয়েছিল সেই আয়োজন। এরপর মাইক্রোসফট বড় হয়েছে। কিন্তু গত বছর তারা এ প্রতিষ্ঠান থেকে অবসরে যান, ব্যস্ত হয়ে পড়েন দাতব্যকাজে।
এজন্য ২০০০ সালে দুজনে মিলে গড়ে তোলেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। এটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতব্য সংস্থা। এ ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে। বিশ্বজুড়ে সংক্রামক রোগব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই ও শিশুদের টিকাদানে উৎসাহিত করতে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছে এ ফাউন্ডেশন।কিন্তু যে পথ বেঁধে দিয়েছিল বন্ধন, তার বিচ্ছেদের ঘোষণা এল সোমবার। দুজনার দুটি পথ দুটি দিকে গেল বেঁকে। দীর্ঘ ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন বিল ও মেলিন্ডা। টুইটার বার্তায় তারা এ ঘোষণা দিয়েছেন।
নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়, বাবা মায়ের বিচ্ছেদের পর জেনিফার ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘এ পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজের আবেগ সামলানো যায় এবং সেই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সামলে রাখা যায়, তা নিয়ে এখনো আমি কাজ করছি। এতে আমাকে সুযোগ ও সমর্থন দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।’
ইনস্টাগ্রামে জেনিফার আরও লিখেছেন, ‘এই বিচ্ছেদের বিষয়ে আমি ব্যক্তিগত পর্যায়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কিন্তু এটি মনে রাখবেন, আপনাদের সহানুভূতিশীল বক্তব্য ও সমর্থন আমার কাছে অনেক বড় বিষয়। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের চাওয়া বুঝতে পারায় সবার প্রতি ধন্যবাদ। আমরা এখন আমাদের জীবনের পরবর্তী পর্যায় নিয়ে কাজ করব।’
জেনিফার ২০১৮ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক পাস করেন। এরপর তিনি নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাইয়ের ইকাহন স্কুল অব মেডিসিনে ভর্তি হয়েছিলেন। বিভিন্ন দাতব্যকাজেও সংশ্লিষ্ট আছেন জেনিফার গেটস।
Posted ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ মে ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh