বাংলাদেশ ডেস্ক : | শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪
তবে কী আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে এই সম্ভাবনাকে আর উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। বরং সময় যত গড়াচ্ছে, নিজ দলের প্রতিদ্বন্দ্বীদেরই শুধু নয় বরং জনমত জরিপে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও পেছনে ফেলেছেন তিনি।
গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত পরিচালিত রয়টার্স/ইপসোস এর সর্বশেষ জনমত জরিপে দেখা গেছে, বাইডেনের চেয়ে ছয় পয়েন্টে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। ওই জরিপে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে প্রায় ১,২৫০ জন ভোটার অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ ট্রাম্পকে এবং ৩৪ শতাংশ বাইডেনকে সমর্থন দেন। বাকিরা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি বা অন্য কাউকে ভোট দেওয়া পরিকল্পনা করছেন। অথবা, তারা হয়তো ভোটই দেবেন না। এ মাসের শুরুতে রয়টার্স/ইপসোস আরো একটি জনমত জরিপ চালিয়েছিল। সেবার বাইডেনের চেয়ে ২ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। এর অর্থ, ট্রাম্প একটু একটু করে নিজের লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। এ বছর নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে আগ্রহীরা নানা রাজ্যে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছেন। যেখানে ট্রাম্প জয়রথ কেবল ছুটছে।
এ মাসের মাঝামাঝিতে আইওয়া রাজ্য থেকে প্রার্থী বাছাই শুরু হয়। আইওয়ায় বাকি প্রতিদ্বন্দ্বীদের অনেক পেছনে ফেলে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন ট্রাম্প।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপালিকান দল থেকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী ভাবা হচ্ছিল ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর রন ডিস্যান্টিসকে।
কিন্তু আইওয়া ককাসে ট্রাম্পের কাছে বড় পরাজয় এবং নিউ হ্যাম্পশায়ারে রিপাবলিকান প্রাইমারির আগে হওয়া জরিপে সমর্থন দুই অঙ্ক না ছোঁয়ায় ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। আইওয়া ককাসে চতুর্থ হওয়া প্রার্থীও ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আগেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন।
এখন রিপাবলিকান প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ট্রাম্পের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী তার আমলে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপালন করা নিকি হ্যালি।
গত মঙ্গলবার নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রাইমারিতে হ্যালিকে হারিয়ে জয়লাভ করেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের কাছে হেরে গেলেও সাউথ ক্যারোলাইনার সাবেক গভর্নর হ্যালি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করে বলেছেন, “আমি একজন যোদ্ধা। এই প্রতিযোগিতা শেষ হতে এখনও অনেকটা বাকি।”
জবাবে ট্রাম্প তার স্বাভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বলেন, “তিনি এমন করছেন, এমনভাবে কথা বলছেন, যেন তিনি জিতেছেন। তিনি জেতেননি। তিনি হেরেছেন। তার জন্য খুব খারাপ একটি রাত ছিল।”
রয়টার্সের জনমত জরিপে ট্রাম্পের বাইডেনের থেকে এগিয়ে যাওয়ার চিত্র ছাড়াও আরো একটি বিষয় উঠে এসেছে। সেটা হলো, এবারের ভোটাররা ট্রাম্প-বাইডেন কাউকেই পছন্দ করছেন না। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৬৭ শতাংশ ভোটার বলেছেন, তারা ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একই প্রার্থী দেখে ক্লান্ত হয়ে গেছেন এবং নতুন কাউকে দেখতে চান’। এমনকি, ১৮ শতাংশ বলেছেন, যদি তাদের বাইডেন বা ট্রাম্পের মধ্য থেকেই একজনকে বেছে নিতে হয় তবে তারা ভোটই দেবেন না।
ওয়াশিংটন ডিসির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ৫৬ বছরের কিমবার্লি সোফজে বলেন, “আমার এটা ভাবতে ঘেন্না হয় যে, আমাদের ক্রমাগত দুই শয়তানের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম শয়তানকে বেছে নিতে হচ্ছে। আমার সত্যি সত্যি মনে হয়, আমরা এর থেকে ভালো কিছু করতে পারি।”
হোয়াইট হাউজ আবারও ট্রাম্পেকে হারানোর বিষয়ে আশাবাদী।
Posted ৪:২২ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh