বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, মেয়র হিসেবে আমার অত্যন্ত পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে, আমাদের সন্তানদের কোনো ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা। তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এখন অধিক ভূমিকা পালন করছে সিগারেট ও ই-সিারেটসহ নিকোটিন-ভিত্তিক পন্য, যেগুলো ‘ভ্যাপস’ নামে পরিচিত।
এক অপ-এড নিবন্ধে তিনি বলেন, একটি সিটি ও জাতি হিসেবে আমরা সিগারেটে ধূমপান করা থেকে আমাদের তরুণদের নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি হাসিল করেছি। তরুণদের সিগারেট পানের হার ২০০০ সালের ২৩ শতাংশের তুলনায় ২০২১ সালে ২.৩ শতাংশে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু ভ্যাপিং এর ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে মিডল স্কুল এবং হাইস্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিকোটিনে আসক্তি আবারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ভ্যাপস আসলে নিকোটিনে ঠাসা, টক্সিক ও উচ্চ মাত্রায় আসক্তি সৃষ্টির রাসায়নিকে পূর্ণ, যা কিশোর মন ও দেহকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য যথেষ্ট।
এরিক অ্যাডামস বলেন, কোম্পানিগুলো কমবয়সীদের প্রলুব্ধ করার উদ্দেশ্যে তরুণ-বান্ধব ভ্যাপ-ফ্লেভার, যেমন ‘স্ট্রবেরি মিল্কশেক,’ ‘কোলা’ এবং ‘পিনা কোলাডা’ নামে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এসব বিজ্ঞাপন সহজে তরুণ মনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে এবং তারা এসব দ্রব্য সেবনে প্রলুব্ধ হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো যদি আমাদের সন্তানদের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে, তাহলে আমরা প্রশাসন কিছুতেই তা মেনে নিতে পারে না। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে আমরা ই-সিগারেটের ফ্লেভারের বিতরণকারী চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফেডারেল মামলা দায়ের করার কথা ঘোষণা করেছি, যে তারা আমাদের তরুণদের ক্ষতি করে মুনাফা কামাই করছে।
আমরা নিউইয়র্ক সিটিতে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার আদেশ প্রার্থনা করেছি আদালতের কাছে এবং তারা ইতোমধ্যে আমাদের সন্তানদের যে ক্ষতি সাধন করেছে, সেজন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছি। স্বল্প বয়সীরা যখন প্যাকেটের ওপর তরুণ-বান্ধব লেখা দেখতে পায়, তাদের মন বলতে পারে, “ঠিক আছে, একটু টেনে দেখা যাক, নিশ্চয়ই এটি খুব ক্ষতির কারণ হবে না।” কিন্তু পরিবারগুলোকে সতর্ক হতে হবে যে, এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। নিকোটিন তরুণদের শেখার ও মনোনিবেশ করার সামর্থ হ্রাস করতে পারে এবং উদ্বেগ, বিরক্তি, হতাশাসহ মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
অ্যাডামস ২০২১ সালে পাবলিক স্কুলগুলোতে পরিচালিত এক জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক স্কুলের প্রতি দশ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১ জন জরিপকালীন ৩০ দিনের নমুনা সময়ে ই-সিগারেট টেনেছে। কিন্তু তরুণ-বান্ধব বিজ্ঞাপনের কারণে তা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এব! ১২ থেকে ১৭ সালের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ প্রবণতা অনেক বেশি। তিনি বলেন, আমরা কিছুতেই এই লোভী, ক্ষতিকর ও প্রকাশ্য অবৈধ আচরণ চলতে দিতে পারি না। আমরা নিকোটিন গছিয়ে দেওয়া কোম্পানিগুলোকে আমাদের সন্তানদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে এবং শিক্ষার্থীদের নেশার পথে ঠেলে দিতে পারি না।
Posted ৩:১২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh