মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ | ১ শ্রাবণ ১৪৩২

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃতীয় প্রার্থী চমক

বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক :   |   রবিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২০

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃতীয় প্রার্থী চমক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়েছে। শনিবার পেনসিলভানিয়ার ফল ঘোষণার পর স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প পর্বের অবসান ঘটতে চলেছে। জয়ী ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেন। হেরে গিয়েছেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নির্বাচনে বাইডেন-ট্রাম্পের পরেই সর্বোচ্চ ভোট কে পেয়েছেন এ বিষয়টি অনেকেরই অজানা। তিনি লিবার্টেরিয়ান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো জরগেনসেন। এই নির্বাচনে দেশের ১.২ শতাংশ ভোট ইতিমধ্যেই তাঁর ঝুলিতে।

প্রায় ১৬ লাখ ভোট পেয়েছেন জো জারগেনসেন, যা বাইডেন বা ট্রাম্প- যে কারো ভাগ্য নির্ধারণে বড় ভূমিকা নিতে পারত। সেই কারণেই উৎসাহ তৈরি হয়েছে জোকে ঘিরে। ৬৩ বছরের জো সাউথ ক্যারোলাইনার ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিদ্যার অধ্যাপক। রাজনীতির ময়দানে তিনি নতুন নন। বরাবর লিবার্টেরিয়ান দলের সমর্থক জো ১৯৯২ সালে সাউথ ক্যারোলাইনা থেকে প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়েন তিনি। আর এ বছরের মে মাসে ওয়াশিংটন ডিসিসহ আমেরিকার ৫০টি প্রদেশে লিবার্টেরিয়ান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনীত হন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের নানা নীতির বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব জো। গণকয়েদ, বিদেশের মাটিতে সামরিক অভিযান ও সেনা মোতায়েন এবং জমকালো যুক্তরাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন- এসবের বিরোধিতা করে আসছে তার দল। এবারও প্রচারে নেমে জো সেই দাবিতে অনড় থেকেছেন। এপ্রিলে প্রকাশিত একটি প্রচার ভিডিওতে জো-কে বলতে শোনা গিয়েছে, সুইজারল্যান্ডের মতো আমেরিকাকেও তিনি ‘সামরিক বলে বলীয়ান’ অথচ পক্ষপাতহীন এক মহান দেশ হিসেবে দেখতে চান। ভোটে জিতলে বিদেশের মাটি থেকে আমেরিকার সেনা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন। ফেডারেল আয়কর তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন জো।

১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠা। ৪৯ বছরেই আমেরিকার তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে উঠে এসেছে লিবার্টেরিয়ানরা। মুক্ত অর্থনীতি, ক্ষুদ্র প্রশাসন এবং সর্বোপরি ব্যক্তি ও নাগরিক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এরা। দলের ওয়েবসাইটে লেখা আছে সেই আদর্শের কথা— ‘প্রত্যেক আমেরিকাবাসীর স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার আছে। অন্যকে আঘাত না করে নিজের জীবনের লক্ষ্যে তাদের এগিয়ে যাওয়া উচিত।’

এবারের নির্বাচনে একটিও ইলেকটোরাল ভোট পাননি জো। তবে উইসকনসিন, মিশিগান এবং নেভাডার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশে জোয়ের পপুলার ভোটের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। তিন প্রদেশেই বাইডেন এবং ট্রাম্পের মধ্যে যে ভোটের যে পার্থক্য রয়েছে, তার থেকে বেশি ভোট টেনেছেন জো। জর্জিয়ার মতো প্রদেশে, যেখানে ট্রাম্প আর বাইডেনের মধ্যে লড়াই চলেছে সমানে সমানে- সেখানে জো পেয়েছেন ১.২ শতাংশ ভোট। বিশেষ করে পশ্চিমের প্রদেশগুলোর গ্রামীণ এলাকায় জো ভালো ভোট পেয়েছেন। আলাস্কা এবং নর্থ ডাকোটায় ২.৭ শতাংশ, সাউথ ডাকোটায় ২.৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন জো। এখন পর্যন্ত ১৬ লাখ ভোট পাওয়া জো দলেও দ্বিতীয় জনপ্রিয় নেত্রী। ২০১৬-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লিবার্টেরিয়ান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ৩.৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন গ্যারি জনসন। দলের ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে জনপ্রিয়।

Posted ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২০

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

86-47 164th Street, Suite#BH
Jamaica, New York 11432

Tel: 917-304-3912, 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.