সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিনের (৩০) মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য ১৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টার দিকে আখালিয়া জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান থেকে মরদেহটি তোলেন পিবিআই সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজিব আহমেদ ও মেজবাহ উদ্দিন।

পরে পুলিশের পাহারায় পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয় রায়হানের লাশ। পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা মাহিদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। লাশটি তোলার সময় উপস্থিত ছিলেন ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান।

এর আগে, গত ১৪ অক্টোবর পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য রায়হানের মরদেহ কবর থেকে তোলার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাতেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের অনুমতি দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

গত ১১ অক্টোবর সকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রায়হান উদ্দিন মারা যান। তিনি সিলেট নগরের আখালিয়া নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি করে, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। নিহতের পরিবারের লোকজন ও স্বজনদের দাবি, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান উদ্দিনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)।