বাংলাদেশ ডেস্ক : | বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
ছবি : সংগৃহীত
আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় মাদকাসক্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের একটি আদালত এ বিষয়ক ফৌজদারি অপরাধের তিনটি অভিযোগেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছেন। এ মামলায় হান্টার বাইডেনের সর্বোচ্চ ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য তাঁর সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
অস্ত্র বিক্রেতার নথিতে মিথ্যা তথ্য সন্নিবেশের অপরাধে সর্বোচ্চ ৫ বছর এবং মাদকাসক্ত অবস্থায় অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখায় তাঁর সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। বাইডেনপুত্রের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় তিনি মিথ্যা তথ্য দেন। দ্বিতীয় অভিযোগ, অস্ত্র বিক্রেতার নথিপত্রেও মিথ্যা তথ্য থাকার বন্দোবস্ত করেন। তৃতীয় অভিযোগ হলো, হান্টার বাইডেন অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কাছে রেখেছিলেন। এ মামলায় বলা হয়, ২০১৮ সালে একটি হ্যান্ডগান কিনেছিলেন হান্টার বাইডেন। সেই অস্ত্র কেনার সময়ই নিজের মাদকাসক্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন তিনি।
মাদকাসক্তি ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে হান্টার বাইডেনকে। দীর্ঘদিন ধরে এসব বিষয় নিয়ে তাঁকে ভুগতেও হয়েছে। তিনি ২০১৮ সালে কোকেনে আসক্তির কথা স্বীকার করেন। ২০১৫ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান হান্টারের বড় ভাই বিউ বাইডেন। হান্টার বাইডেন তাঁর আত্মজীবনী ‘বিউটিফুল থিংস’-এ লিখেছেন, ভাইয়ের মৃত্যুর পর তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। ২০১৯ সালে হান্টার মাদক ছাড়েন। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, দেশটির নাগরিকদের অস্ত্র কেনার অধিকার রয়েছে। কিন্তু অস্ত্র কেনার সময় একজন ব্যক্তিকে আবেদনপত্রে অবশ্যই এটা উল্লেখ করতে হবে যে তিনি মাদকে আসক্ত কি না।
ছেলে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বাইডেনের ভোটের মাঠে কি প্রভাব ফেলবে : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় মাদকাসক্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের একটি আদালত গত ১১ জুন এ-বিষয়ক ফৌজদারি অপরাধের তিনটি অভিযোগেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছেন। বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্টের ছেলে হিসেবে ৫৪ বছর বয়সী হান্টার বাইডেনই প্রথম ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেন। তাঁর সর্বোচ্চ ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমবার এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁর সাজা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা কম। বাইডেনপুত্রের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ, ২০১৮ সালে একটি পয়েন্ট ৩৮ ক্যালিভারের রিভলবার কিনেছিলেন হান্টার বাইডেন। সেই অস্ত্র কেনার সময় নিজের মাদকাসক্তির কথা গোপন করেছিলেন তিনি। এ ঘটনায় হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছেন সরকারি কৌঁসুলিরা। প্রথম অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় মিথ্যা তথ্য দেন হান্টার বাইডেন।
দ্বিতীয় অভিযোগ, অস্ত্র বিক্রেতার নথিপত্রেও মিথ্যা তথ্য থাকার বন্দোবস্ত করেন তিনি। আর তৃতীয় অভিযোগ হলো, হান্টার বাইডেন অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কাছে রেখেছিলেন। আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য হান্টার বাইডেনের সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। অস্ত্রবিক্রেতার নথিতে মিথ্যা তথ্য সন্নিবেশের অপরাধে সর্বোচ্চ ৫ বছর এবং মাদকাসক্ত অবস্থায় অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখায় তাঁর সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, দেশটির নাগরিকদের অস্ত্র কেনার অধিকার রয়েছে। কিন্তু অস্ত্র কেনার সময় একজন ব্যক্তিকে আবেদনপত্রে অবশ্যই এটা উল্লেখ করতে হবে যে, তিনি মাদকে আসক্ত কি না।
মাদকাসক্তি ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে হান্টার বাইডেনকে। দীর্ঘদিন ধরে এসব বিষয় নিয়ে তাঁকে ভুগতেও হয়েছে। তিনি ২০১৮ সালে কোকেনে আসক্তির কথা স্বীকার করেন। ২০১৫ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান হান্টারের বড় ভাই বিউ বাইডেন। হান্টার বাইডেন তাঁর আত্মজীবনী ‘বিউটিফুল থিংস’-এ লিখেছেন, ভাইয়ের মৃত্যুর পর তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। ২০১৯ সালে মাদক ছাড়েন তিনি। এই মামলায় এক সপ্তাহ ধরে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ১২ সদস্যের বিচারক প্যানেল। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে রায় ঘোষণা করা হয়। কবে নাগাদ হান্টার বাইডেনের সাজা ঘোষণা হতে পারে, সে বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করেননি আদালত। তবে রায় ঘোষণার পর একজন বিচারক বলেছেন, সাধারত ১২০ দিনের মধ্যে সাজা ঘোষণা করা হয়ে থাকে। আদালতের রায় ঘোষণার পর একটি বিবৃতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এই মামলায় যে রায় ও সাজা হয় তা তিনি মেনে নেবেন।
বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা অবিচল থাকবে। হান্টার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা বিবেচনা করছেন। বিবৃতিতে জো বাইডেন বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমি যেমনটি বলেছি, আমি প্রেসিডেন্ট, কিন্তু একই সঙ্গে আমি একজন পিতাও। জিল ও আমি আমাদের সন্তানকে ভালোবাসি। সে (হান্টার) এখন যেমন মানুষ হয়ে উঠেছেন, সে জন্য আমরা খুবই গর্বিত।’ বাইডেন আরও বলেন, ‘আমি ও জিল সব সময় হান্টারের পাশে থাকব এবং আমাদের পরিবারের বাকি সবাইও ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়ে তাঁর পাশে থাকবে। কখনোই এর কোনো পরিবর্তন হবে না।’
এই রায় হয়ে উঠতে পারে রাজনৈতিক হাতিয়ার হান্টার বাইডেনের ফৌজাদির অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার এই রায় আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর বাবা জো বাইডেনের প্রতিপক্ষ শিবিরের প্রচারণার হাতিয়ার হয়ে উঠবে। রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পও সম্প্রতি ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
শারীরিক সম্পর্কের কথা চেপে যাওয়ার জন্য এক পর্নো তারকাকে অর্থ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই তথ্য ব্যবসায়িক লেনদেনের নথিতে উল্লেখ না করার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। আগামী ১১ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করবেন আদালত। নির্বাচনের মাঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আদালতের রায়কে ডেমোক্র্যাট শিবির কাজে লাগাতে চাইলে প্রতিপক্ষ শিবিরও পাল্টায় হান্টার বাইডেনের প্রসঙ্গ নিয়ে আসার সুযোগ পাবে। তাছাড়া ছেলের সাজা ঘোষণা হলে তা বাইডেনের মনোযোগ নির্বাচন থেকে অন্যদিকে সরিয়ে নিতে পারে। তবে বিবিসির উত্তর আমেরিকা প্রতিনিধি অ্যান্থনি জুরচার মনে করেন, নভেম্বরের নির্বাচনে আমেরিকানরা কাকে ভোট দেবেন, সে বিষয়ের ওপর হান্টার বাইডেনের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার রায় খুব একটা প্রভাব ফেলবে না।
ছেলে দোষী সাব্যস্ত হলেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখার অঙ্গীকার বাইডেনের
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় ছেলে হান্টারকে দোষী সাব্যস্ত করে জুরিবোর্ডর দেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা বজায় রাখবেন। গত ১১ জুন এক বিবৃতিতে বাইডেন এ কথা বলেছেন।বাইডেন-পুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৮ সালে উইলমিংটনের আগ্নেয়াস্ত্রের একটি দোকান থেকে তিনি একটি রিভলবার কিনেছিলেন। আগ্নেয়াস্ত্রটি কেনার সময় তিনি নিজের মাদকাসক্তি নিয়ে ফেডারেল কাগজপত্রে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন।
নিজের মাদকাসক্তির কথা গোপন করেছিলেন তিনি। এ ঘটনায় হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছেন সরকারি কৌঁসুলিরা।প্রথম অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় মিথ্যা তথ্য দেন হান্টার বাইডেন। দ্বিতীয় অভিযোগ, অস্ত্র বিক্রেতার নথিপত্রেও মিথ্যা তথ্য থাকার বন্দোবস্ত করেন তিনি। আর তৃতীয় অভিযোগ হলো, হান্টার বাইডেন অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিজের কাছে রেখেছিলেন।এক সপ্তাহ ধরে বিচারকাজ চলার পর গত ১১ জুন ৫৪ বছর বয়সী হান্টার বাইডেনকে দোষী সাব্যস্ত করেন ১২ সদস্যবিশিষ্ট জুরিবোর্ড। হান্টার হলেন প্রথম কোনো ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সন্তান, যিনি ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।
আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে বাইডেন যখন নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত, তখনই এমন সিদ্ধান্ত জানালেন জুরিবোর্ড।এত দিন ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের আদালতে হান্টারের বিরুদ্ধে বিচার চলাকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কোনো শুনানিতে অংশ নেননি। যদিও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য নিয়মিতই শুনানিতে উপস্থিত থাকতেন। গত ১১ জুন রায় ঘোষণার পর বাইডেন ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি তাঁর ছেলেকে জড়িয়ে ধরেন।এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট, তা ঠিক আছে; কিন্তু আমি তো একজন বাবাও। সে (হান্টার) এখন যে ধরনের মানুষ, তাকে নিয়ে আমরা গর্বিত।’বিবৃতিতে বাইডেন আরও বলেছেন, হান্টার আপিল করার কথা ভাবছেন।
এমন অবস্থায় এ মামলায় তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে যে ধরনের সাজাই ঘোষণা করা হোক না কেন, এ বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা বজায় থাকবে। বাইডেন এর আগেও বলেছেন, হান্টার দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি তাঁর ক্ষমতাবলে ছেলের সাজা মওকুফ করে দেবেন না।বিচার চলাকালে হান্টারের সাবেক স্ত্রী ক্যাথলিন বুহলে ও সাবেক প্রেমিকা জো জোয়ে কেস্তানের বক্তব্য শুনেছেন জুরিবোর্ড। দুজনই বলেছেন, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালে হান্টার প্রায়ই মাদক সেবন করতেন। তাঁর মাদকাসক্তির কথা প্রমাণ করে—এমন কিছু খুদে বার্তা ও ছবিও আদালতে দেখিয়েছেন তাঁরা।বাইডেনের সহযোগীরা মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এ মামলাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বাইডেন।
এ বিচার কার্যক্রম তাঁর আবেগ-অনুভূতিকে নাড়া দিয়ে গেছে।মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই বিচারের এ বিষয় বাইডেনকে ভাবাচ্ছিল। সম্প্রতি ডি-ডে বার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রান্স সফরে যাওয়ার সময় বাইডেন পরিবারের সদস্যদের বলে গিয়েছিলেন, তাঁকে যেন মামলার ব্যাপারে নিয়মিত জানানো হয়।সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেন এ ঘটনার জন্য নিজেকেও দোষী বলে মনে করেন। তাঁর বিশ্বাস, ছেলের এমন আইনি জটিলতায় পড়ার পেছনে তাঁর (বাইডেন) রাজনৈতিক জীবনের প্রভাব আছে।
আগামী ১২০ দিনের মধ্যে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করা হবে। তবে মামলাটি তদারকের দায়িত্বে থাকা বিচারকেরা এখনো সাজা ঘোষণার তারিখ জানাননি। হান্টারের ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে আইনবিশেষজ্ঞদের ধারণা, হান্টারকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, তিনি প্রথমবারের মতো বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন এবং তিনি সহিংস অপরাধী নন। এটাই শেষ নয়, ১৪ লাখ ডলার কর ফাঁকির অভিযোগে আগামী সেপ্টেম্বরে ক্যালিফোর্নিয়ায়ও বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন হান্টার। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর ১৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
Posted ১:২৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh