বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী পেশাজীবী সাংবাদিকদের সংগঠন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাব বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের সংবাদ সরবরাহ করতে এবারো বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক নিউইয়র্ক এসেছেন। এদের মধ্যে দেশের জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও রয়েছেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর, রোববার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হ্ইাটসের একটি মিলনায়তনে তাদের সাথে মতবিনিময় ও নৈশভোজের আয়োজন করে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব। সংগঠনের সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমীন।
নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আবু তাহের অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানান। এ পর্যায়ে বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক আজকাল’র প্রধান সম্পাদক মঞ্জুর আহমেদ, সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডাঃ ওয়াজেদ এ খান, সাবেক সভাপতি ও বর্ণমালা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, আজকাল সম্পাদক জাকারিয়া মাসুদ, প্রথম আলো সম্পাদক ইব্রাহীম চৌধুরী, পিপল এন টেকের সিইও ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফ ,ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন, তাসের খান মাহমুদ,রেখা আহমেদ, ড. শওকত আলী, মাইনউদ্দিন আহমেদ, জয়নাল আবেদীন, রতন তালুকদার, আকবর হায়দার কিরণ, সাঈদ তারিক, মাহমুদ খান মেনন, মোহাম্মদ সাঈদ, ইমরান আনসারী, মাওলানা আব্দুর রশিদ, সানাউল হক, এস এম সোলায়মান, মোমেন মজুমদার, চৌধুরী মোহাম্মদ কাজল, দিদার চৌধুরী, রওশন হক, সুজাত আলী, হাবিবুর রহমান, মঞ্জুরুল ইসলাম, শেখ সেলিম আহমেদ, বাংলাদেশ থেকে আগত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ তুহিন (যমুনা টিভি),রফিউল ইসলাম টুটুল (পূর্বাঞ্চল) নাইম হাসান (এনআরবিটিভি),জিয়াদুর রহমান জিয়াদ (বিটিভি) ও ফসিহ উদ্দীন মাহতাব (প্রতিদিনের বাংলাদেশ)।
নিউইয়র্ক ও বাংলাদেশ থেকে আগত সাংবাদিকরা এসময় তাদের বক্তব্যে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশে বাক, ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বিশেষ করে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের খড়গকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেন অনেক সাংবাদিক। বাংলাদেশে বিদ্যমান এই আইনের কারণে প্রবাসেও স্বাধীন সাংবাদিকতা অনেকাংশে সঙ্কুচিত বলে মত প্রকাশ করেন তারা। এছাড়া স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করেন বক্তাগণ। সাংবাদিক সাগর-রুনী হত্যার বিচার দীর্ঘদিনে সম্পন্ন না হওয়ায় উদ্বেগের বিষয়টিও উঠে আসে অনেকের বক্তব্যে। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সাথে প্রবাসী সাংবাদিকদের সুসম্পর্কের বিষয়টি গুরুত্ব পায় তাদের বক্তব্যে। দেশে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসবে এমন প্রত্যাশা মূর্ত হয়ে উঠে তাদের বক্তব্যে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সভাপতি ফরিদা বলেন,ডিজিটাল আইন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়। এটার অপপ্রয়েগই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি বলেছেন, ডিজিটাল আইন স্বাধীন সাংবাদিকতা করার ক্ষেত্রে কিছু কিছু নেতিবাচক হলেও অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে এটি অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। এই আইনের কিছু অপপ্রয়োগ হচ্ছে, অপপ্রয়োগ বন্ধ হলে স্বাধীন সাংবাদিকতা করার ক্ষেত্রে এটি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারবে না। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘সোস্যাল মিডিয়ার এই যুগে নানা গুজব ছড়াচ্ছে।
অনেক অপরাধ ডিজিটালি হচ্ছে। এই অপরাধ বিচারের আওতায় আনতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে। এটি সাংবাদিকদের জন্য নয়। তবে কিছু কিছু ধারায় সাংবাদিকদের আপত্তি থাকায় সরকার তা সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছে।’ প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কোনো গুজব, অপপ্রচারে কান না দিয়ে উন্নয়নের পাশে থেকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করুন। লাল সবুজের বাংলাদেশ আমাদের সবার। সবাই মিলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। অসুস্থতার কারনে নিউইয়র্কে অবস্থানরত এ মতবিনিময় সভায় যোগ দিতে পারেন নি জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ইলিয়াস খান। নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের প্রবাসী সাংবাদিকরা ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ১:২৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh