পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হলো চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান ও মিলাদ মাহফিল। গত ১৬ অক্টোবর রোববার বিকালে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিলে প্রবাসী চট্টগ্রামবাসী ছাড়াও বাংলাদেশি কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) অর্গাইনাইজিং কমিটি অব নর্থ আমেরিকার আয়োজনে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুর ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা ড. সাইয়্যিদ এরশাদ আহম্মেদ আল্্ বোখারি। জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) অর্গাইনাইজিং কমিটি অব নর্থ আমেরিকার সদস্য সচিব মোহাম্মদ সেলিম হারুনের পরিচালনায় মিলাদ মাহফিলে আল-কোরান একাডেমির শিশু শিক্ষার্থীরা নাত পরিবেশন করেন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নতুন হাফেজ ছিলেন। তাদের নাত পরিবেশন সবাইকে মুগ্ধ করে।

মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সাইয়্যিদ এরশাদ আহম্মেদ আল্্ বোখারি বলেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। তাঁর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। করোনা মহামারিসহ আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে প্রিয়নবী (সা.) এর অনুপম জীবনাদর্শ, তাঁর সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে।

বিপুলসংখ্যক প্রবাসী চট্টগ্রামবাসী মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন। মেজবানে তাদের আপ্যায়ন করা হয় গরম ভাতের সঙ্গে গরু, খাশি, মুরগী এবং লাউ-ডালের তরকারি দিয়ে। বাংলাদেশি কমিউনিটির সর্বস্তরে প্রতিনিধিত্বকারী লোকজনও ছিলেন মেজবানে। সকল ভেদাভেদ ভুলে এবং দলমত নির্বিশেষে প্রবাসী চট্টগ্রামবাসী মেজবানে অংশ নেন। বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রায় তিন হাজার মানুষকে মেজবানে আপ্যায়ন করা হয়। প্রবাসী চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ তাদের আপ্যায়ন করেন। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) অর্গাইনাইজিং কমিটি অব নর্থ আমেরিকার আহ্বায়ক ছিলেন আলী আকবর বাপ্পীসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।