নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
আমেরিকান মূলধারার রাজনীতির সাথে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের সেতুবন্ধন জোরদার করার প্রত্যয়ে অনুষ্ঠিত হলো বিভক্ত ফোবানা’র একাংশের কনভেনশন। নানা অব্যবস্থাপনা, অভিযোগ পাল্টা-অভিযোগ, হাতাহাতির মধ্যেও ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ভার্জিনিয়া রাজ্যের হিলটন ক্রিস্টাল সিটিতে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন খান ও এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী কাজী আযম নেতৃত্ত্বাধীন ফোবানা’র তিন দিনব্যাপী (৩, ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের আয়োজক সংগঠন ছিলো ‘স্বদেশ’ নামক সামাজিক সংগঠন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় হোটেলের বলরুমে ফোবানা নেতৃবৃন্দ ফিতা কাটার পর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত ও উদ্বোধনী সঙ্গীত ও নৃত্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের কার্যক্রম। করোনায় মৃতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিটি নিরবতা পালন করা হয়। এরপর সম্মেলনের কনভেনর শরাফত হোসেন বাবু’র স্বাগত বক্তব্যের পর সম্মেলনের প্রধান অতিথি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ইউএস সিনেটের মেজরিটি লীডার চাক শুমার ভিডিওতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং। শুক্রবার বিকেলে সভা কক্ষে ফোবানা হোস্ট কমিটি ও লেবার সংগঠন অ্যাসাল-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রশাসনের লেবার সেক্রেটারী টম পেরেজ। এসময় ফোবানার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন খান ও এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী কাজী আজম নেতৃত্বাধীন এই অংশের এবারের সম্মেলনের আহ্বায়ক শরাফত হোসেন বাবু এবং মেম্বার সেক্রেটারী কবীরুল ইসলাম, অ্যাসাল-এর প্রেসিডেন্ট মাফ মিসবাউদ্দিন ও সেক্রেটারী মোহাম্মদ করীম চৌধুরী সহ ফোবানার অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অতিথিগণ তাদের বক্তব্যে আমেরিকায় বাংলাদেশী কমিউনিটির অগ্রযাত্রার প্রশংসা করেন এবং মূলধারার রাজনীতিতে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
ফোবানা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে বাংলাদেশের প্রবীণ অভিনেতা আহমেদ শরীফ একজন শিল্পীর গানের সাথে সংলাপ পাঠ এবং শিল্পী বেবী নাজনীন, জনপ্রিয় শিল্পী রিজিয়া পারভিন, শুভ্র দেব, দিনাত জাহান মুন্নী ছাড়াও প্রবাসের শিল্পীদের মধ্যে অনামিকা, দিপ্তী, আলী মুরাদ, কাওসার প্রমুখ সঙ্গীত এবং শাহনুর নৃত্য পরিবেশন করেন।
ফোবানা সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শনিবারের কর্মকান্ডের মধ্যে ছিলো মধ্যাহ্ন ভোজ, সেমিনার, শুভেচ্ছা বক্তব্য আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এদিন দুপুরে অ্যাসাল হোটেলের ক্যাফেটেরিয়ায় ফোবানা নেতৃবৃন্দ ও অতিথিদের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করে। এসময় ফোবানার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন খান, এবারের সম্মেলনের আহ্বায়ক শরাফত হোসেন বাবু এবং মেম্বার সেক্রেটারী কবীরুল ইসলাম, অ্যাসাল-এর প্রেসিডেন্ট মাফ মিসবাউদ্দিন ও সেক্রেটারী মোহাম্মদ করীম চৌধুরী সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং প্রবীণ অভিনেতা আহমেদ শরীফ ও নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারীতে বিজয়ী শাহানা হানিফ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা এসময় মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের আরো বেশী করে সম্পৃক্ত হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিকেলে সেমিনার কক্ষে ‘নতুন প্রজন্ম’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েট সাইমুন হাবীব ও জাসিয়ারী আলট্রিফ এবং ব্যারিষ্টার আফসানা মুনির বক্তব্য রাখেন। উপস্থাপনায় ছিলেন হাসান চৌধুরী। সন্ধ্যায় হোটেলের বলরুমে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং বাংলাদেশ, আমেরিকা ও কানাডার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের মূল অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের পল্লী গানের সম্রাট আবদ্দুল আলীমের মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে দিনটি তাঁর (আব্দুল আলীম) জন্য উৎসর্গিত করা হয়। ফলে এদিনের মূল অনুষ্ঠানের শুরুতেই মরহুম শিল্পীর কন্যা এবং সঙ্গীত শিল্পী জোহরা আলীম শিল্পীর বেশ কয়েকটি গান পরিবেশন করেন। এদিন অন্যান্যের মধ্যে জর্জিয়ার ষ্টেট সিনেটর বাংলাদেশী-আমেরিকান শেখ রহমান, আগামী ইউএস কংগ্রেস নির্বাচনে নিউইয়র্ক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ড. মজিবুর রহমান প্রমুখ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য, এদিন এই সম্মেলনের প্রধান অতিথি ইউএস সিনেটের মেজরীটি রীডার চাক শুমার সশরীরে যোগদান ও বক্তব্য রাখার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। সিনেটর চাক শুমার না আসার ব্যাপারে সম্মেলন কমিটির পক্ষ থেকে কোন ব্যাখ্যাও দেয়া হয়নি। তবে এদিনও ডিজিটাল পর্দায় চাক শুমারের ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।
সাংস্কৃতিক পর্বে শিল্পী বেবী নাজনীনসহ জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেতা তাহসান সহ প্রবাসের শিল্পী আলী মুরাদ, লিনা সাবরীন, শোভন আনোয়ার, অনিক প্রমুখ সঙ্গীত এবং এবং চিত্র নায়িকা শাহনুর নৃত্য পরিবেশন করেন। নতুন প্রজেেন্মর অনিক সহ প্রবাসের শিল্পীরাও এদিন সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়াও বাংলাদেশের ‘ইউটিউবার স্টার’ তৌহিদ আফ্রিদি বিশেষ পারফর্ম করেন। এছাড়াও চিত্র নায়ক হেলাল খান সিনেমার সংলাপ পাঠ এবং একটি গানের দৃশ্য অভিনয় করে দেখান। সাংস্কৃতিক পর্র্ব শেষে মধ্যরাতে কমিউনিটির নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য বিশিষ্ট বক্তিদের মাঝে ‘ফোবানা অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। সঙ্গীত শিল্পী বেবী নাজনীন তাদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন। এদিন যাদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান ও বর্ণমালা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান সহ জিল্লুর রহমান জিল্লু, গিয়াস আহমেদ, কাজী আজম, শাহ নেওয়াজ, জসিম ভূইয়া, আরিফ আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিপ, ড. ইবরুল কবীর প্রমুখ।
বাবু-আযমের মধ্যে হাতাহাতি: ফোবানা সম্মেলনে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সম্মেলনের দ্বিতীয়দিন শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। সম্মেলনের অভ্যন্তরীন বিষয়ে কর্মকর্তাদের মতবিরোধ ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও পরবর্তীতে উদ্ভুত বিরোধ মিটে যায়। জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মূল মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে হোটেলের ক্যাফেটারিয়ায় ফোবানা কর্মকর্তাদের আন অফিসিয়াল বৈঠকে ‘ফোবানা সম্মেলনে ফোবানা’র চেয়ে অ্যাসাল’র বিষয় বেশী গুরুত্ব পাওয়ার প্রশ্ন উঠাকে কেন্দ্র করে ফোবানা’র এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী কাজী আযম ও কনভেনর শরাফত হোসেন বাবুর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এবং চরম তর্কাতর্কি হয়। ঘটনার সময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির এক পর্যায়ে কনভেনর শরাফত হোসেন বাবু এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী কাজী আযমের দিকে তেড়ে যান এবং কাজী আযমও তেড়ে উঠেন। ফলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক পর্যায়ে বাবু ফ্লোরে পড়ে যান। এসময় সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তারা ‘বাবু-আযম’-কে নিবৃত করেন এবং বাবু-কে দূরে সরিয়ে নেন। এসময় হোটেলের করিডোরে ফোবানার টেবিল-চেয়ারে বসে তার সমর্থকদের মাঝে বাবুকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। অপরদিকে কাজী আযমকে তার ক্যাফেটেরিয়ায় বসে থাকতে দেখা যায়।
ঘটনার সময় ফোবানা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন খান, সাবেক কনভেনর গিয়াস আহমেদ ও শাহ নেওয়াজ সহ আবু লিয়াকত হুসেন, কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, ফিরোজ আহমেদ, মাকসুদুল হক চৌধুরী, শাহাদত হোসেন রাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ক্যাফেটেরিয়ায় উপস্থিত প্রবাসী ও শিশু-কিশোররাও ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে। উদ্ভুত পরিস্থিতে সেখানে উপস্থিত অনেকেই বিব্রতবোধ করেন। ঘটনার এক পর্যায়ে বাবু সিকিউরিটি নিয়ে এসে কাজী আযমকে হোটেল থেকে বের করে দেয়ার হুমকী দিলে আবার উত্তেজনার সৃিষ্ট হয় এবং ফোবানার অপর কর্মকর্তা শাহ নেওয়াজ ‘কাজী আজমকে বের করে দিলে, আমরা নিউইয়র্কের সবাই এক্ষুনি চলে যাবো’ বলে পাল্টা হুমকী দিলে আবার বাক বিতন্ডা শুরু হয়। এই পর্যায়ে ফোবানা’র চেয়ারম্রান মোহাম্মদ হোসেন খান সহ সেখানে উপস্থিত অন্যান্য কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত এবং পরবর্তীতে রাতে মূলমঞ্চের অনুষ্ঠানে সবাই অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনের শেষ দিনে রোববার ফোবানা স্ট্রীয়ারিং কমিটির সাধারণ সভা, সেমিনার, শুভেচ্ছা বক্তব্য, অ্যাওয়ার্ড প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিলো দেশ ও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা এদিনও সঙ্গীত পরিবেশন করেন। রোববার দুপুরে সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ফোবানা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন খান। সভা পরিচালনা এবং রিপোর্ট পেশ করেন ফোবানার এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী কাজী আযম। সভায় অন্যান্যের মধ্যে ফোবানার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান আলী ইমাম শিকদার, আহ্বায়ক শরাফত হোসেন বাবু, সদস্য সচিব কবীরুল ইসলাম, স্ট্রীয়ারিং কমিটির সদস্য আবু লিয়াকত হুসেন, সাবেক কনভেনর শাহ নেওয়াজ সহ আসিফ বারী টুটুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় বক্তারা নিজেদের মধ্যকার ভুল-ত্রুটি ভুলে ফোবানার বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে মিলেমিশে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। সভায় বলা হয় এরপর থেকে প্রতি বছর ফোবানা সম্মেলনে এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী ও কোষাধ্যক্ষের রিপোর্ট পেশ করা হবে।
এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারীর রিপোর্টে কাজী আযম ফোবানার ইতিহাস তুলে ধরেন এবং এবারের সম্মেলনকে ঐতিহাসিক সম্মেলন হিসেবে আখ্যায়িত করেন। পাশাপাশি সম্মেলন সপল করায় তিনি সংশ্লিস্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সাংস্কৃতিক পর্বে মূল মঞ্চে বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী কঁনক চাপা ও তপন চৌধুরী ছাড়াও দেশ ও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এরপর ফোবানা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন খান আনুষ্ঠানিকভাবে ফোবানার নতুন কমিটির নাম এবং পরবর্তী ফোবানার দিন তারিখ এবং নতুন কনভেনরের নাম ঘোষনা সহ তাদেরকে মঞ্চে পরিচয় করিয়ে দেয়া এবং তাদেরকে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বাংলাদেশের শিল্পীদেরও ক্রেষ্ট প্রদন করা হয়। এসময় নতুন কর্মকর্তারা সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবং ফোবানা সহ তাদের সামাজিক কর্মকান্ডে সার্বিক সহযোগিতা আর ত্যাগের জন্য স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি ‘স্ত্রী বন্দনা’ করেন।
অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ হোসেন খান বলেন, বিভক্ত ফোবানা ঐক্যের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এজন্য নতুন কমিটিতে দুটি পদ শূন্য রাখা হয়েছে। অপর পক্ষের সাথে ঐক্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ঐ পক্ষের প্রতিনিধিরে শূন্য পদে বহাল করা হবে। তিনি বলেন, সাংগঠনিক আর টেকনিক্যাল কারণে ফোবানার নতুন স্ট্রীয়ারিং কমিটির মেয়াদ এক বছর হবে। পরবর্তীতে এই কমিটির মেয়াদ হবে তিন বছর। নতুন কমিটির চেয়ারম্যান আলী ইমাম শিকদার, এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী শাহ নেওয়াজ এবং আগামী সম্মেলনের কনভেনর হচ্ছে এজাজঅকতার তৌফিক। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে কানাডার মন্ট্রিয়েলে এই সম্মেলন নুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনের আয়োজক সংগঠন হবে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মন্টিয়েল। তিনদিনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন- গোলাম মোস্তফা, শামসুন্নাহার নিম্মি, মাইসা।
এদিকে ফোবানা সম্মেলনের চিরাচরিত নিয়ম ছিলো সবশেষে মূল মঞ্চে সম্মিলিতভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে সম্মেলনের সমাপ্তি হবে। কিন্তু এই সম্মেলনে সময় শেষ অজুহাতে বিগত দিনগুলোর নিয়ম ভঙ্গ করে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন না করেই রোববার দিবাগত রাত একটায় সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। নিউইয়র্ক (ইউএনএ)
Posted ৬:৩৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh