চিটাগাং এসোসিয়েশন অফ নর্থ আমেরিকার বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয় গত ২৮ আগস্ট রোববার সিটির ফ্লাশিং মেডো করোনা পার্কে । নিউইয়র্ক সিটি ছাড়াও তার পাশের স্টেটগুলোতে বসবাসরত চট্টগাম এলাকার সকল বয়সী নারীপুরুষ দলে দলে বনভোজনস্থলে উপস্থিত হন। দুপুরে বেলুন উড়িয়ে বনভোজন উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলা সিডিপেপ সার্ভিসেস ও এলেগ্রা হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট, বিশিস্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক চট্টলার কৃতি সন্তান আবু জাফর মাহমুদ।

উদ্বোধনী বক্তব্যে জনাব জাফর মাহমুদ বলেন আমি চাই সেবা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে মানুষের মন জয় করতে, নতুন এবং তরুনদের নেতৃত্বের মাধ্যমে মানবতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। তিনি তাকে এই বৃহৎ আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত করার জন্য চট্রগ্রাম সমিতির কর্মকর্তা এবং আহবায়ক কমিটির সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন ভাল কাজের জন্য তার সহযোগিতা সব সময় অব্যহত থাকবে।

বনভোজনে ছিল বাচ্চাদের, যুবদের এবং বড়দের বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন । দীর্ঘদিন পর চট্রগ্রামবাসীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল এই বনভোজন। প্রথমবারের মতো এই সংগঠন কোন সাধারণ সদস্য বা বনভোজনে অংশগ্রহনকারীদের থেকে কোন চাঁদা না নিয়ে প্রায় দুই হাজার মানুষের এই বিশাল বনভোজন আয়োজন করা হয়। খেলাধুলা ছাড়াও সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল র‌্যাফল ড্র ।

নিউইয়র্ক – ঢাকা – নিউইয়র্ক বিমান টিকেটসহ ১৪ টি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার। এসবের মধ্যে অন্যতম ছিল স্বর্ণের অলংকার, ৬৫” টিভি, ৫০” টিভি এবং ৫ টি ল্যাপটপ। বনভোজনে যোগদানকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন সাবেক সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ, সাবেক সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, সাবেক সভাপতি সরোয়ার জামান চৌধুরী, বর্তমান সভাপতি মনির আহমেদ, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আল জোবায়ের মানিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অবচার উদ্দীন, বেশ ক’জন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার যথাক্রমে সৈয়দ এম রেজা, শেখ খালেদ, মোহাম্মদ জাফর, বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাসান চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু তাহের, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, সাবেক সিঃ সহসভাপতি মাকসুদুল হক চৌধুরী, সাবেক সহ সভাপতি তারিকুল হায়দার চৌধুরী, প্রথম পুরস্কারের স্পন্সর কুইন্স ডেমোক্রেটিক পার্টির ডিস্ট্রিক লিডার এট লার্জ এটর্নী মঈন চৌধুরী, গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডন্ট ও সি ই ও শাহনেওয়াজ, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর নুরুল আজীম, বাংলাদেশী আমেরিকান এসোসিয়েশন অব কানেক্টিকাট (বাক) এর প্রেসিডন্ট বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল আলম, সমাজ সেবক আব্দুল কাদের মিয়া, চট্রগ্রাম সমিতির সহ সভাপতি আবুল কাসেম, মাসুদ হোসেন সিরাজী, সাবেক নির্বান কমিশনার মিজানুর রহমান জাহাঙ্গীর, সাবেক নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর আবুল কালাম চৌধুরী, কর্ণফুলী ট্রাভেলসের সত্বাধিকারী মোহাম্মদ সেলিম হারুন, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জে মোল্লা সানি, বনভোজন কমিটির সদস্য সচিব মো আরিফুল ইসলাম, প্রধান সমন্বয়কারী ও কার্যকরী সদস্য মীর কাদের রাসেল, সমন্বয়কারী ও যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সমন্বয়কারী আইয়ুব আনসারী, যুগ্ম সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ, যুগ্ম সদস্য সচিব মহিম উদ্দীন, আজীবন সদস্য নুরুল আনোয়ার, পেন্সিলভেনিয়া গভর্নর অফিসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনাম চৌধুরী, চট্রগ্রাম সমিতির কোষাধ্যক্ষ রবিউল চৌধুরী, সমিতির কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল আলম।

খেলাধুলার ইভেন্টের মধ্যে ছিল ৪-৯ বছর বয়সের শিশুদের দৌড় প্রতিযোগিতা, ১১-১৮ বছর বয়সের বাচ্চাদেরদৌড় প্রতিযোগিতা এবং মহিলাদের মিউজিকাল পিলো প্রতিযোগিতা। সবশেষে পুরস্কার বিতরণ ও রেফ্যাল ড্র অনুস্টিত হয় । চট্রগ্রাম সমিতির সভাপতি মনির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুস্টিত অনুস্টানে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ, সাবেক সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম ও সরোয়ার জামান চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আল জোবায়ের মানিক, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার সৈয়দ এম রেজা, শেখ খালেদ ও মোহাম্মদ জাফর, বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাসান চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু তাহের, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, সাবেক সিঃ সহ সভাপতি, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাকসুদুল হক চৌধুরী, মো মুজিবুর রহমান, নির্বাচন কমিশনার আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, ৩য় পুরস্কারের স্পন্সর মাইক্যাল সিপিএর প্রতিনিধি আহমেদ চৌধুরী, নয়ন আলী প্যানেল যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী মিয়া মোহাম্মদ দুলাল, ও হাসান জিলানী এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদস্য সচিব মো আরিফুল ইসলাম ।

বনভোজন কমিটির আহবায়ক মাকসুদুল হক চৌধুরী এবং সভাপতি মনির আহমদ সকল স্পন্সরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি যারা যারা এই বৃহৎ আয়োজনের সাথে ডোনেশন দিয়ে কিংবা উপস্থিতির মাধ্যমে সম্পৃক্ত হয়েছেন তাদের প্রতিও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। সাধারণ সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা না নিয়ে এত বড় একটি অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার পিছনে কার্যকরী পরিষদের কর্মকর্তা ছাড়াও আরো যারা অনুদান এবং র‌্যাফল ড্র’র পুরস্কার স্পন্সর করেছেন তারা হচ্ছেন মোহাম্মদ হানিফ, আবু জাফর মাহমুদ, গিয়াস আহমেদ, নুরুল আজিম, নুরুল আলম, এটর্নী মঈন চৌধুরী, আল জোবায়ের মানিক, শেখ খালেদ, আব্দুল কাদের মিয়া, মোহাম্মদ সেলিম হারুন, মো মুজিবুর রহমান, সরওয়ার জামান চৌধুরী, সীগাল কর্পোরেশনের কর্ণধার রিদোয়ান হক , মিরসরাই সমিতি ইউ এস এ এনওয়াই, হাসান চৌধুরী, মিজানুর রহমান জাহাঙ্গীর, মাইকেল সিপিএ, নবান্ন রেস্ট্রুরেন্ট, তারিকুল হায়দার চৌধুরী, রাধুনী রেস্ট্রুরেন্ট, আহমদ নবী চৌধুরী, শাহ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডন্ট শাহ জে চৌধুরী, এক্সিট রিয়েলটির সরওয়ারখান বাবু, জিএম ফারুক, আবুতালেব চৌধুরী চান্দু, নিউকার্ক ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলির সভাপতি আব্দুল লতিফ, নিউইয়র্ক আমেরিকা বাংলাদেশ লায়ন্স ক্লাবের সাধারন সম্পাদক হাসান জিলানী, ন্যাসলেইন ইন্টেরিয়র এবংদেশী এমপি। হালিম ব্রাদার্স এবং এক্সিট রিয়েলটির জসিম উদ্দীন চৌধুরী, আলী আকবর বাপ্পী ও হয়রত আলী, এটর্নী জান্নাতুল রুমা প্রমুখ।