শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘকে ভূমিকা রাখার আহ্বান

জাতিসংঘে ১৬ বার যোগদানের রেকর্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

বাংলাদেশ প্রতিবেদন :   |   বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

জাতিসংঘে ১৬ বার যোগদানের রেকর্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশন যোগ দিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌছেছেন। এটি হবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে শেখ হাসিনার ১৬তম যোগদান। জনএফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত। পরে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ম্যানহাটনের নির্ধারিত হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া, ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্দেশ্যে ভাষন দেবেন। তার এবারের অংশগ্রহণ নিয়ে তিনি বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে মোট ১৬ বার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগদান করছেন। করোনা মহামারির কারণে সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে যোগদান করতে পারেননি তিনি। জানা গেছে জাতিসংঘে যোগদান শেষে কয়েকদিন তিনি ভার্জিনিয়ায় তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিবারের সাথে কাটাবেন।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্বগ্রহণের পর তৃতীয় বার তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগদান করছেন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারী তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর জাতিসংঘে সেটি তার পঞ্চম অংশগ্রহণ হলেও এর আগের মেয়াদে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালে পর পর ৫ বারসহ টানা ১০ বার সংস্থাটির সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেন তিনি। এছাড়া ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে প্রথম মেয়াদের ৩ বার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন শেখ হাসিনা। উন্নয়নশীল এবং উন্নত দেশের আর কোন সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান এতবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগদান করেননি। সেদিক থেকে জাতিসংঘে যোগদানে বিশ্বরেকর্ড করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য দেশ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয় ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। এর এক সপ্তাহ পর ২৫ সেপ্টেম্বর, সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৩ সদস্য-রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতারা ৭৬ তম অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে। দীর্ঘ এ চার দশকের বেশি সময়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে ডঃ ফখরুদ্দিন আহমেদ ছাড়াও প্রর্বতন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি শাসনামলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমান, বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সাধারণ পরিষদে। বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রপতি, সরকার প্রধান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি সবাই মিলে অতীতের৪১টি অধিবেশনের ৩১টিতে যোগদান করেন। পক্ষান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাই ১৪ বার প্রতিনিধিত্ব করছেন সাধারণ পরিষদে।


প্রতিবছর নিয়মিত অধিবেশন ছাড়াও কয়েক বছর অন্তর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। তখন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ অংশ নিয়ে থাকেন। এছাড়া ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদের কোন দেশেরই রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের প্রতিবছর সাধারণ পরিষদে যোগদানের নজির নেই। খালেদা জিয়া দুই মেয়াদে ১০ বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদকালে ১৯৯৩ সালে সাধারণ পরিষদের ৪৮তম অধিবেশনে এবং দ্বিতীয় মেয়াদকাল ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ২০০২ এবং ২০০৫ সালে সাধারণ পরিষদের ৫৭ ও ৬০তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তার শাসনামলে বাকী তিন বছর সাধারণ পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমান। ২০০৭ এবং ২০০৮ এ এক এগারোর তৎ¦াবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ফখরুদ্দিন আহমেদ ২০০৭ ও ২০০৮ সালে সাধারণ পরিষদের ৬২ ও ৬৩তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে অংশ নেন। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ২৩ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার তিন মাসের মধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৫১তম অধিবেশনে যোগদান করতে নিউইয়র্ক আসেন। সে বছর তার এ যোগদান সাধারণ পরিষদের অনির্ধারিত ছিলো বলে জানা যায়। এরপর তিনি ২০০০ সাল পর্যন্ত সাধারণ পরিষদের আরো দুটি অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালের ৫২ তম এবং ১৯৯৯ সালে ৫৪ তম অধিবেশনে অংশ নেন। এ বছর তিনি নিউইয়র্কের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভায় বাংলাদেশী হিন্দুদের দুই নৌকায় পা না রাখার পরামর্শ দিলে দেশ ও প্রবাসে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। শেখ হাসিনা সরকারের প্রথম মেয়াদকালে ১৯৯৮ সালে ৫৩ এবং ২০০০ সালে সাধারণ পরিষদের ৫৫ তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদ। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০০৯ এর ৬ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণের পর একই বছর সেপ্টেম্বরে সাধারণ পরিষদের ৬৪তম অধিবেশনে যোগদান করেন শেখ হাসিনা। সেই থেকে সাংবাৎসরিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে একাদিক্রমে পাঁচবার সাধারণ পরিষদে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর বিতর্কিত নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারী শেখ হাসিনা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সে বছর তার শাসনকালের ৯ মাসের মাথায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৯তম অধিবেশন ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্তর্ভূক্তির চার দশক পূর্তিতে নবম বারের মতো অংশ নেন। একটি দেশের সরকার প্রধান হিসেবে ১৩ বার জাতিসংঘে যোগদান নিঃসন্দেহে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ও তার দল আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের বিষয়। সাধারণ পরিষদের দীর্ঘ ৭৬ বছরের ইতিহাসে ১৯৮৬ সালে ৪১তম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন এরশাদের শাসনামলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। এছাড়া প্রথা মাফিক ফি বছর সাধারণ পরিষদে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘকে ভূমিকা রাখার আহ্বান


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এবং এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ও জাতিসংঘকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনে তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। শরণার্থীবিষয়ক ইউএন হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনের সাইডলাইন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রমের ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। তিনি জানান, গ্রান্ডির সঙ্গে ওই বৈঠকে শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারে ইউএনএইচসিআরের কার্যক্রম জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এর জবাবে ফিলিপো বলেন, তিনি দ্রুত মিয়ানমার সফর করবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব। এ সময় ইউএনএইচসিআর হাইকমিশনারও এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন।

বৈঠকে তাঁরা বাংলাদেশের কক্সবাজার ও ভাসানচরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ইউএনএইচসিআরের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পরে একই স্থানে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম এ এ খান কিউসি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা বাংলাদেশ ও আইসিসির মধ্যে সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী আইসিসির প্রসিকিউটরকে আশ্বাস দেন যে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আইসিসির চলমান সব প্রচেষ্টার ব্যাপারে বাংলাদেশ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। বৈঠকে করিম এ এ খান আগামী বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে তাঁর আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া জাতিসংঘ হ্যাবিটাটের নির্বাহী পরিচালক মায়মুনা মোহম্মদ শরীফ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলের কক্ষে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তাঁরা টেকসই নগরায়ণ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন। তখন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য তাঁর সরকারের গ্রহণ করা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সফলতার ব্যাপারে তাঁকে অবহিত করেন।


বাংলাদেশ শিশুদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার আগামী বছর থেকে একটি নতুন জাতীয় পাঠ্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে, যার লক্ষ্য বাংলাদেশি শিশুদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের (৪ আরআই) উপযোগী করে তোলা। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের শিশুদের সত্যিকারের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে উন্মুখ। আমরা আগামী বছর থেকে একটি নতুন জাতীয় পাঠ্যক্রম চালু করছি’। গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিবের ট্রান্সফর্মিং এডুকেশন সামিটে সম্প্রচারিত একটি ভিডিও রেকর্ডিং জাতীয় বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন পাঠ্যক্রম আমাদের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করবে’। তিনি আরো যোগ করেছেন, এটি তাদের আবহাওয়া সহনশীল হওয়ার বিষয়ে সচেতন করবে এবং একটি উন্নত, জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার জন্য তাদের দেশের ‘ভিশন-২০৪১’-এর প্রকৃত এজেন্টে পরিণত করবে। উচ্চশিক্ষায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গবেষণা ও উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। কারিগরি শিক্ষার জন্য, আমাদের লক্ষ্য হল আরও ভালো শিল্প সংযোগ স্থাপন করা’। তিনি বলেন, তাদের বাচ্চাদের এমন দক্ষতা থাকতে হবে যা তারা বিশ্বের যে কোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারে। তিনি বলেন, ‘যোগ্যতার পারস্পরিক স্বীকৃতির জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা মৌলিক এবং আজীবন শিক্ষার অ্যাক্সেস উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বহুভাষিক শিক্ষার প্রসারের জন্য তারা তাদের কিছু জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় পাঠ্য বই তৈরি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত এবং আমাদের ভূমিতে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ শিশুকে মিয়ানমারের পাঠ্যসূচিতে শিক্ষা দিচ্ছি’।

মানসম্পন্ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা বিষয়ে তিনি বলেন, তার সরকারকে তাদের শিক্ষকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং প্রণোদনার জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের জিডিপি অনুপাতে শিক্ষায় বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের এসডিজি-৪-এর জন্য তাদের আর্থিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। বিশ্বব্যাপী অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ব্যয় করা সম্পদ শিক্ষার জন্য একটি ভালো অংশীদারিত্বের জন্য চ্যানেল করা উচিত, তিনি যোগ করেছেন। ‘—আমরা স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে এসডিজি-৪ সূচকগুলো পর্যবেক্ষণ করতে থাকব। শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড। আমাদের অবশ্যই আমাদের জিডিপির অনুপাতের সমতা এবং অধিকার-ভিত্তিক পদ্ধতির অনুপাত নিতে হবে’- তিনি বলেন। প্রধানমন্ত্রী ট্রান্সফর্মিং এডুকেশন সামিট আয়োজনের জন্য মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ সামিট কাজের জগতে ভবিষ্যত পরিবর্তনের সাথে শিক্ষা নিয়ে চিন্তা করার নতুন পথ চিহ্নিত করে। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শিক্ষার ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে আমরা ছয় লাখ স্কুল বহির্ভূত শিক্ষার্থীকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষায় নথিভুক্ত করেছি’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের টিকাদান শুরু করেছেন। তিনি যোগ করেন, ‘প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত প্রায় ২৩ মিলিয়ন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি এবং বৃত্তি পায়’। তিনি বলেন, তারা মোবাইল গেটওয়ের মাধ্যমে কঠিন চাপেপড়া পরিবারগুলোকে নগদ প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত রাখবেন। তিনি বলেন, ‘উপবৃত্তি, মধ্যাহ্নভোজ এবং বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের সাথে জড়িত আমাদের সফল প্রোগ্রামগুলো চালানো হবে’। মহামারি দূরশিক্ষণে উদ্ভাবনের সুযোগও খুলে দিয়েছে, তিনি বলেন, বাংলাদেশে তারা একটি মিশ্র শিক্ষার মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছেন। তিনি যোগ করেন, ‘আমরা আগামী বছরের মধ্যে প্রায় ৫৯,৭৮০টি মাল্টি-মিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করব। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডিজিটাল বিভাজন কমানোর দিকে মনোযোগ দেব’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লিঙ্গ সমতা অর্জনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ‘আমরা উচ্চ এবং কারিগরি শিক্ষায় লিঙ্গ ব্যবধান কমাতে কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের মেয়েদের শিক্ষিত করা সবসময়ই আমার প্রধান অগ্রাধিকারের একটি ছিল’ -তিনি যোগ করেন।

advertisement

Posted ৩:১৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.