বাংলাদেশ ডেস্ক : | বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
ইভাঙ্কা ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় মেয়ে। তার আরেকটি পরিচয় তিনি প্রেসিডেন্টের একজন সিনিয়র উপদেষ্টা। নেপথ্যে থেকেই ক্ষমতার অনেক কলকাঠি নাড়েন তিনি। বাবাকে নানা বিষয়ে দেন উপদেশ ও পরামর্শ। ২০১৬ সালের মতো এবারের নির্বাচনী প্রচারণায়ও তিনি সরব হয়েছেন বাবার পক্ষে।
রাজনৈতিক মঞ্চের সামনের সারিতে দাঁড়িয়েছেন বাবাকে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত করার লড়াইয়ে। রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় কনভেনশনেও বাবার সঙ্গে মঞ্চে উঠে বক্তব্য দিয়েছেন। আগের নির্বাচনে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেও বাবার পক্ষে ভোট চেয়ে সারা দেশে প্রচারকাজ চালিয়েছেন। বাবার জয়ে তার ভূমিকা ছিল ট্রাম্প পরিবারের অন্য যেকোনো সদস্যের চেয়ে অনেক বেশি। চার বছর পরে ট্রাম্পের নির্বাচনী ক্যাম্প ইভাঙ্কার ওপর আরও বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। বিশ্লেষকদের ভাষ্য, আসন্ন নির্বাচনে ইভাঙ্কা এবং তার স্বামী জ্যারেড কুশনার ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রামকার্ডের ভূমিকাই রাখতে যাচ্ছেন।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, চার বছর আগে স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প নন, বরং বড় মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পই প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ঘোষণা করেছিলেন। সে সময় ভ্যানিটি ফেয়ার সাময়িকী তাকে ‘প্রক্সি ওয়াইফ’ বলে উল্লেখ করেছিল। সাময়িকীটি বলেছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্যাম্প ভোটারদের কাছে তার বার্তা পৌঁছে দিতে স্ত্রীর চাইতে কন্যার ওপরেই বেশি নির্ভর করছে। সে সময় বিশ্লেষকরা বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প ফার্স্টলেডি হবেন ঠিকই, কিন্তু ইভাঙ্কা ট্রাম্প তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। পরে সে রকমই হয়েছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনের পর তার দুই ভাই ডোনাল্ড জুনিয়র এবং এরিক ট্রাম্প যখন তাদের পিতার পারিবারিক ব্যবসা সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, ইভাঙ্কা তখন বাবার সঙ্গে হোয়াইট হাউজে চলে আসেন।
সে সময় অনেকেই ভেবেছিলেন, অনেকে প্রস্তাবও করেছিলেন ইভাঙ্কাকে মন্ত্রী করার। কিন্তু মন্ত্রী হননি ইভাঙ্কা ট্রাম্প, হয়েছেন হোয়াইট হাউজের প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রেসিডেন্টের একজন শীর্ষস্থানীয় উপদেষ্টা। সরকার পরিচালনা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গে সভাতেও তার বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। শুধু ইভাঙ্কা ট্রাম্পই নন তার স্বামী জ্যারেড কুশনারও আবির্ভূত হন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কুশনারেরও ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদের দুজনকেই অনেক বেশি বিশ্বাসও করেন। নিজের পরিবর্তে ইভাঙ্কা বা কুশনারকে একাধিকবার কয়েকজন আন্তর্জাতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করতেও পাঠিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন গুরুত্বপূর্ণ দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সেখানেও ইভাঙ্কা উপস্থিত থাকেন বেশিরবাগ সময়ই। ১৯৮১ সালে নিউ ইয়র্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রথম স্ত্রী মডেল ও ফ্যাশন ডিজাইনার ইভানা ট্রাম্পের ঘরে জন্ম ইভাঙ্কার। ইভাঙ্কার বয়স যখন ১০ তখন তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ ঘটে। সেই বিচ্ছেদের বিষয়টি আদালতে গড়ালে ইভাঙ্কা ট্রাম্পও আলোচনায় চলে আসেন। মায়ের মতো কৈশোরে তিনি মডেলিং জগতে সক্রিয় ছিলেন। তবে এই পেশা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প। প্রথমে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে দুবছর পড়ার পর তিনি পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান, যেখানে তিনি ২০০৪ সালে তার গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। ২০০৯ সালে জ্যারেড কুশনারকে বিয়ে করে তিনি ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করেন। এখনকার রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ইভাঙ্কা পারিবারিক ব্যবসায়ও দেখিয়েছেন সফলতা। ট্রাম্প তার ব্যবসা দেখাশোনা করার ব্যাপারে ইভাঙ্কাকে যে ক্ষমতা দিয়েছেন তা তার কোনো স্ত্রীকেও কখনো দেননি। বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভাইস-প্রেসিডেন্টও হয়েছিলেন ইভাঙ্কা। পারিবারিক ব্যবসা সামলানোর সফলতাই হয়তো ইভাঙ্কাকে রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা রেখে থাকবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক ও বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বাবার পাশে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের উপস্থিতি দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইভাঙ্কা ও কুশনার দেশের ভেতরে ও বাইরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ ও দৃশ্যমান সহযোগী হয়ে উঠেছেন।
হোয়াইট হাউজের ওয়েস্ট উইং-এ ইভাঙ্কাকে অফিস দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে যোগ দেওয়ার বিষয়ে নিরাপত্তাজনিত অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। সেখানে তিনি বিনা বেতনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একজন বিশেষ সহকারী হিসেবে কাজ করছেন।
এদিকে কুশনারকে দায়িত্ব দেওয়া হয় মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিচুক্তির বিষয়ে উদ্যোগ নিতে। অনেকেই মনে করেন জ্যারেড কুশনারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে আনা হয়েছে, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে। আর স্বামী জ্যারেড কুশনারের কারণেও হোয়াইট হাউজে আরও বেশি প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নারীদের ব্যাপারে অশোভন মন্তব্য, আচরণ এবং যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ইভাঙ্কা ট্রাম্প সে সময় তার পিতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আগের বারের নির্বাচনী প্রচারণায় কর্মজীবী নারীদের অধিকারের জন্য বক্তব্য রেখেছেন। নারীদের নিয়ে বইও লিখছেন তিনি। একজন সফল ব্যবসায়ী ও মাতা হিসেবে তিনি নারী ভোটারদের আহ্বান জানিয়েছেন তার পিতাকে ভোট দেওয়ার জন্য। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের বিষয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প তার বাবার চেয়েও অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করেন। ইন্সটাগ্রামে তার ৬৬ লাখ অনুসারী। টুইটারে ৯৩ লাখ। গত নির্বাচনের আগে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের রাজনীতিতে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। অভিজ্ঞতা ছিল না পিতা ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও। কিন্তু গত চার বছরে পিতা-কন্যা দুজনেরই বহু অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে।
কসমোপলিটান নামের একটি ম্যাগাজিন একবার ইভাঙ্কা ট্রাম্পের কাছে জানতে চেয়েছিল কখনো তিনি প্রেসিডেন্ট হতে চাইবেন কি না। ইভাঙ্কা ট্রাম্পের উত্তর ছিল- আমার মনে হয় না। কিন্তু আমি জীবন থেকে শিখেছি কখনোই ‘কখনো না’ বলতে হয় না। ইভাঙ্কার এই বক্তব্য হয়তো প্রচ্ছন্ন ভাবে এই আভাসই দেয় যে, সুযোগ এলে তিনিও হতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। তবে সেটা হবে ভবিষ্যতের অন্য কোনো নির্বাচনে। এবারের নির্বাচনে বাবাকে ফের ক্ষমতায় বসাতে পারেন কি না সেটাই দেখায় বিষয়। দেখার বিষয় ইভাঙ্কার বুদ্ধিদীপ্ত কর্মকাণ্ড বাবাকে নির্বাচিত করার ট্রামকার্ড হয়ে উঠতে পারে কি না।
সিএনএন’র বিশ্লেষণ
চরিত্রের পরীক্ষার মুখোমুখি ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বহুবার। তার সেই সব মন্তব্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনাও কম হয় না। তবে ট্রাম্প কোনোকালেই সে সবের পাত্তা দেন না। কিন্তু নির্বাচনের আগ মুহূর্তে যুদ্ধে নিহত মার্কিন সেনাদের নিয়ে তার পুরনো মন্তব্যের অভিযোগ হঠাৎই সামনে চলে আসায় রিপাবলিকানদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। সিএনএন বলছে, ভোটের আগে নিজের বেফাঁস মন্তব্যের জেরে নিজের চরিত্রের পরীক্ষায় পড়েছেন ট্রাম্প।
গত বৃহস্পতিবার প্রথমবার ট্রাম্পের সেই বেফাঁস মন্তব্যের খবর প্রকাশ করে দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিন। সাময়িকীটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্যারিস সংলগ্ন মার্কিন সমাধিক্ষেত্র পরিদর্শনের সূচি বাতিল করেছিলেন ট্রাম্প। সেখানে শায়িত যুদ্ধে নিহত মার্কিন সেনাদের ‘লুজার’ ও ‘সাকারস’ বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ওই একই সফরে আরেকটি আলাপচারিতায় ১৯১৮ সালে বেলে উডের যুদ্ধে প্রাণ হারানোয় ১ হাজার ৮০০ সেনাকে ট্রাম্প ‘সাকারস’ বলেছিলেন বলে দাবি সাময়িকীটির।
নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এমন প্রতিবেদন রিপাবলিকানরা তো বটেই, সম্পূর্ণ গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও। তিনি সত্যিই এ কথা বলেছিলেন কি না এখন সেটাই হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে প্রধান আলোচ্য বিষয়। রিপাবলিকানরা বলছেন, ট্রাম্প মাঝেমধ্যে বিতর্কিত কথাবার্তা বললেও নিহত সেনাদের নিয়ে ওসব মন্তব্য কখনোই করেননি। তবে তাদের এ দাবি বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মূলত ট্রাম্পের চরিত্রই। এক্ষেত্রে সমালোচকরা টেনে আনছেন তার সাবেক অ্যাটর্নি মাইকেল কোহেনের বইয়ে লেখা কথাগুলোকে।
সম্প্রতি কোহেনের বইয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার পূর্বসূরি বারাক ওবামাকে নিয়ে বর্ণবাদী মন্তব্য করেছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বইটিতে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালে ওবামা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পর ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘কৃষ্ণাঙ্গ পরিচালিত এমন একটা দেশের কথা বলো যেটা ‘নোংরা টয়লেট’ নয়। তাদের সবগুলোই পুরোপুরি টয়লেটের মতো।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যুর পরও ট্রাম্প একই মন্তব্য করে বলেছিলেন, তিনি কোনো নেতাই নন।
ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে এখন মূল ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, ভোটদানের ক্ষেত্রে মার্কিনিরা এ ধরনের কথাবার্তা বা চরিত্রকে কতটা গুরুত্ব দেয় সেটি। সেক্ষেত্রে ট্রাম্পের বাজি, মার্কিনিরা এসবের ধার ধারে না। এ কারণে একদিকে সেনা সদস্য ও তাদের পরিবারগুলোকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও অন্যদিকে যুদ্ধনায়ক এবং সাবেক জেনারেলদের এখনো সমালোচনা করতে ছাড়ছেন না এ রিপাবলিকান নেতা।
২০১৬ সালের নির্বাচনের আগেও ঘটেছিল এ ধরনের ঘটনা। সেই সময় নারীদের যৌন হয়রানির বিষয়ে ট্রাম্পের প্রকাশ্যে বিতর্কিত মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল গোটা দেশে। এর পরও ওই নির্বাচনে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছিল রিপাবলিকানরা। এবারের নির্বাচনের আগেও মার্কিন ভোটারদের সামনে সেই একই প্রশ্ন, ট্রাম্পের চরিত্র তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু কি না?
বিশ্লেষকদের মতে, ২০২০ সালের পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে। গত চার বছর ধরে প্রেসিডেন্টের মুখে বহুবার তীব্র শ্লেষাত্মক, যৌনতা ও বর্ণবাদী বক্তব্য শুনছে জনগণ, যেটা আগেরবার এত বেশি শোনা যায়নি। ফলে এবারের নির্বাচনে মত বদলাতে পারে অনেক ভোটারের।
নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন ঠিক এই সুযোগটাই নিতে চাচ্ছেন। তিনি নিজেকে ট্রাম্পের পুরোপুরি বিপরীত চরিত্রের মানুষ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন। প্রেসিডেন্ট হয়ে চার বছরের মধ্যে ২৯৬তম দিন হিসেবে গত রবিবার নিজের গলফ ক্লাবে হাজির হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেদিনই উইলমিংটনের একটি চার্চের কার্যক্রমে অংশ নিতে যান বাইডেন।
ডেমোক্র্যাটরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায়ও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরছেন ট্রাম্পের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো। যুদ্ধে নিহত সেনাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর জো বাইডেন তো সরাসরি বলেই দিয়েছেন, এসব কথা যদি সত্যি হয় তাহলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশ পরিচালনার যোগ্য নন ট্রাম্প।
Posted ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh