শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
মধ্যবর্তী নির্বাচন ৮ নভেম্বর

ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান শিবিরে উত্তেজনা

বাংলাদেশ রিপোর্ট :   |   বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান শিবিরে উত্তেজনা

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচন ঘিরে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান শিবিরে চলছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। নানা কারণেই এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। করোনা মহামারি পরবর্তী দেশে বিরাজমান মূল্যস্ফিতি ও আার্থিক মন্দার কারণে ডেমোক্র্যাট পার্টি অনেকটা কোনঠাসা।

এছাড়া অভিবাসন প্রক্রিয়ায় ধ্বস নেমেছে। এমন অভিযোগ উঠেছে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে। মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনের ভবিষ্যত।


যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৮ নভেম্বর । মধ্যবর্তী নির্বাচন হচ্ছে দুই বছরের মাথায় প্রেসিডেন্টের পেরিয়ে যাওয়া প্রশাসনিক দক্ষতা মূল্যায়ন। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন ৫৩৫ জন আইন প্রণেতা। যারা কংগ্রেস সদস্য হিসাবে পরিচিত। কংগ্রেসের আছে দুটি কক্ষ-সিনেট ও হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস। আইন তৈরির জন্য কংগ্রেসের এই দুটি কক্ষ এক সঙ্গে কাজ করে। সিনেট কংগ্রেসের ১০০ সদস্যের উচ্চকক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্য তাদের আকার যাই হোক দুজন করে সিনেট সদস্য নির্বাচিত করে। সিনেটররা নির্বাচিত হন ছয় বছর মেয়াদের জন্য। প্রতি দু’বছর পরপর সিনেটের এক-তৃতীয়াংশ আসনের জন্য নির্বাচন হয়। হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদে যাকে সংক্ষেপে হাউজ বলে ডাকা হয় সদস্য আছেন ৪৩৫ জন।

প্রত্যেক সদস্য তাদের অঙ্গরাজ্যের একটি নির্দিষ্ট ডিস্ট্রিক্ট বা জেলার প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা দু’বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। কাজেই দু’বছর পরপর হাউজের সব আসনের জন্যই নির্বাচন হয়।কংগ্রেসের সব সদস্যই হয় ডেমোক্র্যাট, নয় রিপাবলিকান। ডেমেক্র্যাটরা বর্তমানে কংগ্রেসের দুটি কক্ষেরই নিয়ন্ত্রণে। তবে তাদের এই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ব্যবধান খুবই সামান্য। তা সত্ত্বেও এ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষে কাজ করতে তেমন কোনো বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু মধ্যবর্তী নির্বাচনে যদি রিপাবলিকান পার্টি কংগ্রেসের কোনো একটি কক্ষে বা উভয়কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে, তখন তারা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যেকোনো পরিকল্পনা বানচাল করে দিতে পারবেন। নভেম্বরের নির্বাচনে হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে রিপাবলিকানদের পাঁচটি অতিরিক্ত আসন জিততে হবে। সিনেটে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আরও হাড্ডাহাড্ডি। বর্তমানে ১০০ সদস্যের সিনেটে দুই দলেরই ৫০ জন করে সদস্য। কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা সিনেটে নিয়ন্ত্রণ আয়ত্ত করতে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের অতিরিক্ত ভোট প্রয়োগ করতে পারেন। অর্থাৎ সিনেটের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের জন্য রিপাবলিকানদের প্রয়োজন একটি বাড়তি আসন। ৫০ রাজ্যের ৩৬ গভর্নর নির্বাচন : ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে কংগ্রেসের আসন ছাড়াও ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ৩৬টি গভর্নর পদে নির্বাচন হবে। এই ৩৬টির মধ্যে এখন ২০টি রিপাবলিকানদের দখলে। যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হয়, তখন গভর্নররা বেশ বড় ভূমিকা রাখতে পারেন তাদের দলের প্রার্থীদের পক্ষে। একই সঙ্গে তারা রাজ্যের নির্বাচনেরও তদারক করেন। ওয়াশিংটনে এই রাজনৈতিক বিভক্তি এবং নতুন একদল গভর্নর যদি ক্ষমতায় আসেন-অবশ্যম্ভাবীভাবে তা ২০২৩ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনি প্রচারণার ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। অপেক্ষা করছে কঠিন পথ : কংগ্রেসে এখনই যেকোনো বিল পাশ করাতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সব ডেমোক্রেট আইন প্রণেতার সমর্থন দরকার হয়। অনেক সময় সেটাও যথেষ্ট হয় না।


রক্ষণশীল ডেমোক্র্যাটরা এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব আটকে দিয়েছে। এর একটি ছিল প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ট্রিলিয়ন ডলারের ‘বিল্ড ব্যাক বেটার’ প্রকল্প-যাতে নানা রকম সামাজিক কর্মসূচি এবং জলবায়ুর পরিবর্তন প্রতিরোধে কার্যক্রম গ্রহণের কথা ছিল। মধ্যবর্তী নির্বাচনে যদি ডেমোক্র্যাটরা বিপুল পরাজয়ের মুখে পড়ে-তখন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পক্ষে নতুন আইন পাশ করানো আরও কঠিন হয়ে পড়বে। বাইডেনের দুর্বল দিক : কয়েকজন রিপাবলিকান এরই মধ্যে বাইডেন প্রশাসনের কাজকর্ম গভীরভাবে তদন্ত করে দেখার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন। এর মানে হচ্ছে, আফগানিস্তান থেকে তড়িঘড়ি করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার নিয়ে যে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছিল, সেই ঘটনা থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের নানা কথিত কেলেঙ্কারি নিয়েও তদন্ত শুরু হতে পারে। ক্যাপিটল ভবনে ৬ জানুয়ারির হামলার পর থেকে দুই দলের মধ্যে সম্পর্কের নাটকীয় অবনতি ঘটে। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নানা ব্যবস্থা, মাস্ক পরার বিধি-এসব নিয়ে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে বিভেদ আরও বেড়েছে। মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ যদি এ দু’দলের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়-তখন মার্কিন প্রশাসনে তৈরি হতে পারে নতুন নাটকীয়তা। লড়াই যখন হাড্ডাহাড্ডি : ইতিহাস বলছে, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের দল প্রায় সবসময়ই মধ্যবর্তী নির্বাচনে হাউজে আসন হারিয়েছে। কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স অনুসারে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ওই সময়ের প্রেসিডেন্টের দল প্রতিটি প্রথম মধ্যবর্তী নির্বাচনে গড়ে ২৯টি হাউজের আসন হারিয়েছে।

একটি উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম ছিলেন জর্জ ডব্লিউ বুশ-যিনি ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর ২০০২ সালে রিপাবলিকানরা হাউজে আটটি আসন বাড়িয়েছিল। বর্তমানে রিপাবলিকানরা আত্মবিশ্বাসী-সীমান্ত নিরাপত্তা, অপরাধ এবং মুদ্রাস্ফীতির ওপর ফোকাস মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারবার্তায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এনবিসি নিউজের একটি সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, ৪৬ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন যেকোনো দলকে কংগ্রেসের দায়িত্বে দেখতে পছন্দ করবেন তারা। ফলাফল যাই ঘটুক না কেন, জো বাইডেনই প্রেসিডেন্ট থাকবেন। কিন্তু বাকি মেয়াদের কাজে প্রভাব ফেলবে মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাব্য নেতিবাচক ফলাফল। সিনেট-লড়াইয়ের নিয়ন্ত্রণকারী চার রাজ্য : মার্কিনিদের উৎসুক চোখ এখন মধ্যবর্তী নির্বাচনের দিকেই। ধারণা করা হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ঘাম ঝরাতে হবে ডেমোক্র্যাটদের। চলতি বছরের অধিকাংশ সময় ধরে প্রচলিত স্থানীয় সূচকগুলোতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পক্ষে গড় ভোট ছিল ৪০ শতাংশের কাছাকাছি। কোভিড-১৯ মহামারি তৃতীয় বছরে পা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির খপ্পরে পড়েছে মার্কিনিরা।


সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে গ্যাসের মূল্য, অভিভাসন নীতি ও অজনপ্রিয় গর্ভপাত আইন। সবই রিপাবলিকানদের ‘তুরুপের তাস’ হিসাবে কাজ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গ্যালাপের একটি দীর্ঘমেয়াদি জরিপ অনুসারে, ৮৫ শতাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করেন যেকোনো পরিস্থিতিতে গর্ভপাত বৈধ হওয়া উচিত। সাম্প্রতিক মনমাউথ ইউনিভার্সিটি পোল অনুসারে, ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র সম্পর্কে উদ্বেগের চেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে জনগণের অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো। ৩৫টি সিনেট আসনের মধ্যে অন্তত আটটি আসন প্রতিযোগিতামূলক বলে মনে করা হচ্ছে। চেম্বার নিয়ন্ত্রণের লড়াই চারটি মূল রাজ্যে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে-পেসিলভানিয়া, উইসকনসিন, নেভাদা ও জর্জিয়া। নেতারা বুড়িয়ে যাচ্ছেন। ৭৯ বছর বয়স্ক ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যখন টেলি কনফারেন্সে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নাম ভুলে যান-তখন এর বয়স্কদের নেতিবাচক দিকটিই কেবল চোখে পড়ে। তার আগের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বয়স এখন ৭৬।

advertisement

Posted ৩:১০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.