বুধবার, ৮ মে ২০২৪ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
দ্বিধাবিভক্ত ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা : কলোরাডোয় বন্ধুক হামলায় নিহত ১০

আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইনের পক্ষে বাইডেন

বাংলাদেশ ডেস্ক :   |   বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১

আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইনের পক্ষে বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি : এএফপি

গত কয়েকদিনে যুক্তরাষ্ট্রে ঘটেছে বেশ কয়েকটি বড়সড় বন্দুক হামলার ঘটনা। বেশ কিছুলোকের প্রাণহানি ঘটেছে এবং আহত হয়েছে অনেকে। যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে অশ্বেতাঙ্গ, বিশেষ করে এশিয়ান ইমিগ্রান্ট কমিউনিটির মধ্যে উদ্বেগ ও সংশয় বেড়ে গেছে। যখনই যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীদের দ্বারা নিরীহ মানুষের উপর হামলা চালিয়ে হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা ঘটানো হয়, তখনই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার, বহন ও ক্রয়বিক্রয়ের আইন কঠোর করার কথা উঠে আসে। কিছুদিন পর সেই আলোচনা থেমে যায়। এবারও কয়েকটি স্থানে বন্দুধারীদের দ্বারা হত্যাকান্ড ঘটানোর ফলে জোরেসোরে সামনে এসেছে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের আইন কঠোরতার বিষয়টি। এরই প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতারা ক্যাপিটল হিলে গত ২৩ মার্চ মঙ্গলবার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন জারির কথা জানান। কিন্তু আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করা নিয়ে বিরোধিতা করেন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সিনেট অধিবেশনে হামলা চালানোর মতো আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রয় নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব পাশ করতে বলেন এবং আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির সময় অবশ্যই ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষা করে নেওয়ার দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘এটি সাধারণ বিচারবুদ্ধির ব্যাপার যে আগ্নেয়াস্ত্র নিরোধ আইন কঠোর করলে ভবিষ্যতে আরো অনেক প্রাণ রক্ষা পাবে’।

ছবি : সংগৃহীত

তিনি বলেন, ‘এটি কোনো রাজনৈতিক বা দলীয় এজেন্ডা নয়। এটি আমেরিকানদের ইস্যু। আমাদের এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে’। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবিত আগ্নেয়াস্ত্র আইন কঠোর ও অ্যাসাল্ট রাইফেল বিক্রি নিষিদ্ধের বিরোধিতা জানিয়েছেন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা। বরাবরের মতোই রিপাবলিকানরা দাবি করে আসছেন, সহিংসতা কমাতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়াতে হবে। বন্দুক আইন কঠোর করার কোনো প্রয়োজন নেই।


সিনেটের রিপাবলিকানদের দ্বিতীয় প্রধান নেতা সাউথ ডাকোটার সিনেটর জন ঠুনে বলেন, ‘আমরা এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী নই যেটি মূল সমস্যার সমাধান করতে পারবে না বরং অন্যান্য আরো সমস্যা উস্কে দিবে’। আগ্নেয়াস্ত্র আইন কঠোর করার ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই দ্বিধাবিভক্ত রয়েছে ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকানরা। ২০১২ সালে কানেকটিকাটের স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুক হামলার পরেও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করতে ব্যর্থ হন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ওই হামলায় ২০ জন শিশু ও ছয়জন প্রাপ্ত বয়স্ক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছিলো। তবে রিপাবলিকানদের বাঁধার মুখে সেবারও বন্দুক আইন কঠোর বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি ডেমোক্রেটিকরা।

সিনেটর থাকা অবস্থায় ১৯৯৪ সালেই অ্যাসাল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে সমর্থন দিয়েছিলেন জো বাইডেন। তবে পরবর্তীতে এই আইন কিছুদিন পর বাতিল হয়ে যায় এবং পুনরায় পাশ করানো যায়নি। এরপর থেকে বন্দুক আইন কঠোর বিষয়ে অন্যান্য আইনগুলোতেও সমর্থন জানিয়ে এসেছেন জো বাইডেন।


প্রসঙ্গত, গত সাতদিনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত সাতটি বড় ধরণের বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন আগেই জর্জিয়ার এশিয়ান স্পা শপে বন্দুক হামলা চালানো হয়। এতে ছয় এশিয়ান নারীসহ আরো দুইজন শ্বেতাঙ্গ মারা যান। এরপর দুইদিন আগে কলোরাডোতে একটি শপিং সেন্টারে বন্দুক হামলা চালায় এক বন্দুকধারী। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ দশজনের মৃত্যু হয়।
গত সপ্তাহে গোলাগুলির উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো তারিখ অনুসারে দেওয়া হলো-

আটলান্টা, মার্চ ১৬ : তিনটি এশিয়ান স্পা’তে একে-একে হামলা চালায় এক বন্দুকধারী। এতে ছয়জন এশিয়ান নারীসহ আরো দুইজন শ্বেতাঙ্গের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পুলিশ ওই হামলাকারীকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে আটটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এশিয়ান কমিউনিটির প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণের অংশ এই হামলার উদ্দেশ্য বলে জানা গেছে।


স্টকটন, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্চ ১৭: নৈশকালীন পার্টির আয়োজন করার সময় ক্যালিফোর্নিয়ার স্টোকটনের সেন্ট্রাল ভ্যালিতে পাঁচজনের উপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ড্রাইভ-বাই এই শ্যুটিং এর ঘটনায় পাঁচজন গুরুতর আহত হলেও কারোর মৃত্যু হয়নি বলে জানায় স্যান জোয়াকুইন শেরিফ ডিপার্টমেন্ট।

গ্রেশাম, অরেগন, মার্চ ১৮ : অরেগনের ইস্ট পোর্টল্যান্ড নগরীতে আততায়ীর গোলাগুলিতে চারজন গুরুতর আহত হয়। এদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে অরেগন পুলিশ টুইটারে জানায়।
হোস্টন, মার্চ ২০: একটি ক্লাবের ভিতর পাঁচজনের উপর বন্দুক হামলা চালানো হয় বলে হোস্টন পুলিশ জানায়। একজনের অবস্থা গুরুতর হলেও অন্য চারজনের অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল ছিলো। এদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ডালাস,মার্চ ২০: ডালাসে আততায়ীদের গুলিতে একজন মারা যায় ও আহত হয় আরো সাতজন বলে জানিয়েছে ডালাস পুলিশ।
ফিলাডেলফিয়া: অবৈধ পার্টি চলাকালীন সময়ে গোলাগুলির ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয় ও আহত হয় আরো পাঁচজন। পুলিশ জানিয়েছে, পার্টিতে ১৫০ জন উপস্থিত ছিলো। এরা না পালিয়ে গেলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তো।

কলোরাডো, মার্চ ২২: কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের বাউলডার নগরীর একটি গ্রোসারি শপে বন্দুকধারীর গুলিতে পুলিশের এক কর্মকর্তাসহ অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বন্দুকধারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় আটক করা হয়েছে। সোমবার (২২ মার্চ) বেলা আড়াইটার দিকে কিং শপার্স মার্কেট নামের বড় গ্রোসারি স্টোরে গুলির এ ঘটনা ঘটে।

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনের শিথিলতার কারণে এসব ঘটনা আরো বাড়ছে বলে দাবি করছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বন্দুক হামলার ঘটনার কিছু তথ্য রাখে। সিডিসির মতে, ২০১৯ সাল থেকে বন্দুক হামলার ঘটনায় অন্তত ৪০ হাজার বাসিন্দা মারা গেছে।

এছাড়া এই বছরে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বন্দুক হামলার ঘটনাগুলো হলো- ১) জানুয়ারি ৯ তারিখে ইলিনয়ের ইভানস্টোনে বন্দুক হামলায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। ২) জানুয়ারির ২৪ তারিখে ইন্ডিয়ানার ইন্ডিয়ানাপোলিসে বন্দুক হামলায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। ৩) ফেব্রুয়ারি ২ তারিখে ওকলাহোমাতে বন্দুকধারীর হামলায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ৪) মার্চের ১৩ তারিখে স্টিমুলাস চেক নিয়ে বিবাদের জেরে গোলাগুলির ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

কলোরাডোর হামলায় নিহত ১০ : কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বাজারে বন্দুকধারীর হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে। ওই হামলার ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা এবং দেশটির গণমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বোল্ডার পুলিশ প্রধান মেরিস হেরাল্ড এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, কিং সুপার্স সুপারমার্কেটে বোল্ডারের এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন। গোলাগুলির ঘটনা লাইভ স্ট্রিমে দেখিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরবর্তীতে তা ইউটিউবেও প্রচার হয়েছে। কী কারণে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। এছাড়া সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর বিষয়েও তেমন কিছু জানা যায়নি। পুলিশ বলছে এই ঘটনা তদন্ত হচ্ছে। অনেক দূর থেকেও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।

কলোরাডো অ্যাটর্নি জেনারেল ফিল ওয়েইসার এক বিবৃতিতে সোমবারের ওই হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমি গভীরভাবে আহত এবং ক্ষুব্ধ। বোলডার পুলিশ এই ঘটনায় টুইট করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, বন্দুকধারী টেবিল মেসার কিং শপার্স স্ট্রিটে হামলা চালিয়েছে। এর দু’ঘণ্টা পরে লোকজনকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমি জানি না এখানে কি হচ্ছিল। আমি গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছি। এক বন্দুকধারী লোকজনের ওপর গুলি চালাচ্ছিল। অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী গোলাগুলির ঘটনা ভিডিও করেছেন। সেখানে দেখা গেছে সুপারমার্কেটের ভেতরে এবং বাইরে মরদেহ পড়ে আছে। ঘটনাস্থল থেকে এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। এক টুইট বার্তায় কলোরাডোর গভর্নর জেয়ার্ড পোলিশ শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই শোক এবং বিষাদের সময়ে হতাহতদের পরিবারের জন্য আমি প্রার্থনা করি।

কলোরাডোর বন্দুক হামলার ঘটনার আলোকে সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, গত সাত দিনে যুক্তরাষ্ট্রে সাতবার বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলাগুলোর সঙ্গে দেশটির অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন বিশ্লেষকরা। গত ১৬ মার্চ আটলান্টায় বন্দুক হামলায় আটজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছয়জন ছিলেন এশীয়। ওই ঘটনায় হামলাকারী ছিলেন একজন শ্বেতাঙ্গ। এর পরদিন ১৭ মার্চে ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্ট্রাল ভ্যালি স্টকটনে এক বন্দুকধারীর হামলায় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঠিক কী কারণে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে তা জানা যায়নি।

১৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের অরেগনের ইস্ট পোর্টল্যান্ড শহরে বন্দুক হামলার ঘটনায় চারজন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পোর্টল্যান্ডের পুলিশ এ ব্যাপারে টুইটারে একটি বিবৃতি দিয়েছিল। পরদিন ২০ মার্চ হিউস্টনের একটি ক্লাবে গুলির ঘটনায় পাঁচজন আহত হন। এদের মধ্যে একজনের ঘাড়ে গুলি লাগে, তার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। ওই একই দিনে ফিলাডেলফিয়াতে অবৈধ এক পার্টিতে গুলির ঘটনায় একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়। হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ঠিক কেন একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে যুক্তরাষ্ট্রে, এ নিয়ে দেশটির নতুন প্রশাসন এখনো কোনো বক্তব্য দেয়নি। প্রতিদিন দেশটিতে ঠিক কতসংখ্যক গুলির ঘটনা ঘটে এ বিষয়ক কোনো সমন্বিত তথ্য নেই যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের কাছে। সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, ২০১৯ সালে বন্দুক হামলার ঘটনায় দেশটিতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন।

Posted ১২:৪৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.