নিউইয়র্ক স্টেটের জনসংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের দুটি আসন হারানোর আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে হাউজে নিউইয়র্কের আসন সংখ্যা ২৭টি। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ইউএস সেন্সাসের এক রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত সময়ে নিউইয়র্কের জনসংখ্যা ১২৬,৩৫৫ জন হ্রাস পাওয়ায় বর্তমান জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯৩ লাখ। অধিকাংশ নিউইয়র্কার গেছে ফ্লোরিডায় এবং ২৪১,২৫৬ জন বৃদ্ধি পাওয়ায় ফ্লোরিডা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহৎ জনবহুল ষ্টেটে পরিণত হয়েছে। নিউইয়র্ক থেকে জনসংখ্যা হ্রাস অন্যান্য ষ্টেটের তুলনায় সবসময় অধিক এবং নিউইয়র্কের জনসংখ্যা হ্রাস বর্তমান হারে অব্যাহত থাকলে ২০২২ সালে যখন জনসংখ্যা অনুযায়ী ষ্টেটগুলোর আসন বরাদ্দ পুন:নির্ধারণ করা হবে তখন নিউইয়র্কের দুটি আসন অন্য কোন ষ্টেটের ভাগে চলে যেতে পারে, যেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

অ্যালবেনির রক্ষণশীল থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এম্পায়ার সেন্টারের মতে নিউইয়র্ক স্টেটের জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা শুরু হয়েছে সত্তরের দশ থেকে এবং বর্তমানে তার গতি দ্রুত হয়েছে। নিউইয়র্কের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় মূলত ইমিগ্রান্ট ও নতুন জন্মসূত্রে, কিন্তু সাম্প্রতিককালেও সে হারেও নিউইয়র্ক পিছিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে ২০১৭ থেকে ইমিগ্রান্ট সংখ্যা অনেক হ্রাস পাওয়ায় স্টেটের মোট জনসংখ্যায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গত এক দশকে নিউইয়র্ক থেকে প্রায় ১৪ লাখ লোক অন্য স্টেটে চলে গেছে, যাদের মধ্যে ২১ শতাংশই গেছে ফ্লোরিডায়। জাতীয়ভাবে নিউইয়র্কের পরই জনসংখ্যা হ্রাসে ইলিনয়ের অবস্থান, যেখানে গত বছর জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ৭৯,৪৮৭ জন।

গত এক দশকে জাতীয় জনসংখ্যা ৬.৭ শতাংশ অর্থ্যাৎ ২ কোটি ১০ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছে। নিউইয়র্ক স্টেটে করের উচ্চহার এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে বহু লোক নিউইয়র্ক ত্যাগ করে স্বল্প ব্যয় সম্বলিত ষ্টেটে চলে গেলেও স্টেট গভর্নর এন্ড্রু ক্যুমো তার স্টেটে জনসংখ্যা হ্রাসের ঘটনাকে চেপে রাখার চেষ্টা করে সমালোচিত হয়েছেন। ২০১৮ সালে ক্যুমো বলেছেন যে, প্রবল শীতের কারণে নিউইয়র্কের বহু লোক দক্ষিণের ষ্টেটগুলোতে চলে যাচ্ছে। তার মতে, লোকজন আবহাওয়াজনতি কারণেই বেশি যাচ্ছে। অনেকে যাচ্ছে ব্যক্তিগত কারণে। এটি নতুন কোন ঘটনা নয়।