নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস ঘোষণা করেছেন যে ২০২০ সালে বিলুপ্ত নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের অ্যান্টি-ক্রাইম ইউনিটকে পুনরায় কার্যকর ও সম্প্রসারণ করা হবে। গত সপ্তাহে এ ইউনিট কাজ শুরু করেছে। সিটিতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কার্যকরভাবে অপরাধ মোকাবিলা করার উদ্দেশ্যে মেয়র গত সোমবার এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ মে মিনেসোটার মিনিয়াপলিসে জাল নোট রাখার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত আফ্রিকান আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডকে পুলিশ অফিসার ডেরেক চওভিন শ্বাসরুদ্ধ হত্যা করার ঘটনার প্রতিবাদে যে আন্দোলন শুরু হয় তাতে সাড়া দিয়ে নিউইয়র্ক পুলিশের এন্টি-ক্রাইম ইউনিটের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছিল। এর আগে ২০১৪ সালে নিউইয়র্কে স্ট্যাটেন আইল্যাণ্ডে এনওয়াইপিডি’র এক অফিসারের দ্বারা শুল্কবিহীন সিগারেট বিক্রয়ের অপরাধে শ্বাসরুদ্ধ করে এরিক গারনার নামে এক আফ্রিকান আমেরিকানের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের গ্রেফতার কৌশলের নির্মমতা নিয়ে ব্যাপক আপত্তি ওঠেছিল এবং নিউইয়র্ক পুলিশকে এ উপায় বন্ধ করতে হয়েছিল। ফলে এনওয়াইপিডি’র (বাকি অংশ ৪৮ পাতায়)

নিউইয়র্ক পুলিশের অ্যান্টি-ক্রাইম ইউনিট তৎপর(শেষ পাতার পর)প্রায় ৬০০ আন্ডারকভার অফিসারকে পুলিশের অন্যান্য শাখায় বদলি করা হয়েছিল। এরিক অ্যাডামস তখন এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছিলেন।

মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন এনওয়াইপিডি’র এ ইউনিটের নাম ‘নেইবারহুড সেফটি টিমস’ এবং এটি কার্যকর করার পর গত সোমবার শুধু ব্রঙ্কস থেকেই ৩১ জন সন্দেহভাজন অপরাধী এবং দশটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। এটি হচ্ছে সুক্ষ্ম পুলিশী তৎপরতার অংশ। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন যে, সিটিতে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছিল, যার পরিণতি হিসেবে সাম্প্রতিক এক উইকএন্ডে সিটিতে ২৮ জন লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ পরিস্থিতির অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে এন্টি-ক্রাইম ইউনিটকে পাঁচটি অতিরিক্ত প্রিসিঙ্কটে সম্প্রসারিত করা হবে। এখন মোট ৩০টি নেইবারহুড সেফটি টিম সিটিতে তাদের তৎপরতা পরিচালনা করছে। এই ইউনিট অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ইউনিটের সদস্যরা আগে সাদা পোশাকে থাকতো, নতুন করে গঠিত ও সম্প্রসারিত ইউনিটটির সদস্যরা পরিবর্তিত ধরনের ইউনিফর্ম পরিধান করবে, যাতে তাদেরকে পুলিশ অফিসার হিসেবে সহজে শণাক্ত করা যায়। এরিক অ্যাডামস সিবিএসকে বলেন, কোনোকিছুকে নির্মূল করে ফেলার আগে আমাদের উচিত পুনর্মূল্যায়ন করা। এখন অপরাধীরা বলছে, তোমরা যদি পুলিশের পোশাক পরা কাউকে না দেখতে পাও তাহলে যা খুশি তাই করতে পারো।