শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ কার্তিক ১৪৩১

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

কেউ কারে নাহি মানে সমানে সমান : ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা-ট্রাম্প লড়াই

বাংলাদেশ রিপোর্ট :   |   বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা-ট্রাম্প লড়াই

কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বহুল আলোচিত জাতীয় নির্বাচনের কাউন্ট-ডাউন চলছে। আগামী ৫ নভেম্বর মঙ্গলবারের নির্বাচনে কে হচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, এ নিয়ে সর্বত্র চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস না রিপাবলিকান পার্টির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প? কে ফিরছেন আবার হোয়াইট হাউজে? এ প্রশ্নের উত্তরের জন্য আরো অপেক্ষা করতে হবে ৫দিন।

দেশটির ২৩৫ বছরের ইতিহাসে ৫৯টি নির্বাচনে ৪৬ জন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তবে নানাদিক থেকে এবারের নির্বাচন বহুমুখী বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিগত চার দশকের মধ্যে এবারে নির্বাচন হবে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কোন জরিপ থেকেই জয়-পরাজয়ের স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। কমলা ও ট্রাম্পের মধ্যে নির্বাচন ঘিরে এমন একটি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে ‘কেহ কারে নাহি মানে, সমানে-সমান’।

কে হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট? ২০১৬ সালের ফলাফলেরই কি পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে? গাজা পরিস্থিতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় গত তিন বছরে তেমন সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়নি বাইডেন-কমলা প্রশাসন। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ‘নারী নেতৃত্ব’ নিয়ে অধিকাংশ শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের অনীহা।

এ কারণে সব জনমত জরিপে এগিয়ে থেকেও হিলারি ক্লিন্টন ধরাশায়ী হয়েছিলেন ট্রাম্পের কাছে। এবার কমলা হ্যারিসকেও কী একই ফলাফল দেখতে হবে- এমন জিজ্ঞাসা ক্রমে প্রবল হচ্ছে ডেমোক্র্যাট শিবিরেও। কয়েকদিন আগে এক জরিপে দেখা যায়, মাত্র ১ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে আছেন কমলা। বিশ্লেষকরা বলছেন, লড়াই হতে পারে হাড্ডাহাড্ডি। অপরদিকে, জাতি-ধর্ম-বর্ণ বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে রিপাবলিকান পার্টির সমর্থক ভোটারদেরও বিষিয়ে তুলছেন ট্রাম্প। এর পরিণতি ৫ নভেম্বরের ব্যালট যুদ্ধে কতটা পড়বে, তার ওপরই ট্রাম্পের জয়-পরাজয় নির্ভর করবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করছেন। তবে, নির্বাচনে জয়-পরাজয়ে দোদুল্যমান ৭ স্টেটের ইলেক্টোরাল কলেজের ভূমিকাই মুখ্য হবে- এটা প্রায় নিশ্চিত।

পপুলাল ভোট আর ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মারপ্যাঁচে এর আগেও অধিকতর যোগ্য ও গ্রহণযোগ্যরা হোয়াইট হাউসে অধিষ্ঠিত হতে পারেননি। আর এভাবেই মার্কিন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে যত বাহাদুরিই দেখানো হোক, সাধারণ আমেরিকানদের কাছে তা এক রহস্যের আবহেই জড়িয়ে রয়েছে। তার পরও সবাই অধির আগ্রহে রয়েছে বিশ্ব পরিস্থিতির টালমাটাল অবস্থার মধ্যে উদারচিত্তের একজন নেতা হোয়াইট হাউসে এবং শান্তি-সমৃদ্ধির পথ সুগম করতে কংগ্রেসের আসনগুলোও সুবিন্যস্ত হবে নির্বাচনি ফলাফলের মধ্য দিয়ে, এমন প্রত্যাশা নিয়ে।

নির্বাচনের বাকি ছয়দিন, এরই মধ্যে অর্থাৎ ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ডাকযোগে অথবা সশরীরে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছেন ৪ কোটি ৪১ লাখ ২৮ হাজার ৫৮০ জন। আগেকার যে কোনো নির্বাচনের তুলনায় আগাম ভোটে আমেরিকানদের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। ইতোমধ্যেই প্রাপ্ত ভোটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পড়েছে টেক্সাস স্টেটে ৫৩ লাখ ৬৫ হাজার ১১০। ফ্লোরিডায় ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৪ ভোট।

ক্যালিফোর্নিয়ায় ৪২ লাখ ৮৫ হাজার ৬২৪ ভোট। এর পরের ক্রমিকে রয়েছে জর্জিয়ায় ২৮ লাখ ৩১ হাজার ৫১২, নর্থ ক্যারলিনায় ২৮ লাখ ২০ হাজার ২, মিশিগানে ২০ লাখ ৫৪ হাজার ৪৮২, ওহাইয়োয় ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩, ইলিনয়ে ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮, পেনসিলভেনিয়ায় ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৩৯, ওয়াশিংটনে ১০ লাখ ৮০ হাজার ২০১, ইন্ডিয়ানায় ৯ লাখ ১২ হাজার ৩৩৪ ভোট।

নিউইয়র্কসহ অন্য স্টেটগুলোতেও আগাম ভোট শুরু হয়েছে ২৬ অক্টোবর থেকে। এর ফলে ৫ নভেম্বর ভোট কেন্দ্রে ভিড় এড়ানো সম্ভব হবে এবং ফলাফল ঘোষণায় ততটা বিলম্ব হবে না। যদি ব্যবধান অধিক হয়। কারণ, ডাকযোগে আসা ব্যালট গণনায় ৫ নভেম্বরের পরেও কদিন লাগতে পারে। প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ে দোদুল্যমান ৭ স্টেটের সঙ্গে গ্রিন পার্টির অবস্থানেরও গুরুত্ব অপরিসীম।

মুসলিম-আমেরিকান ভোটারের বড় একটি অংশ এখন প্রকাশে ঝুঁকছে গ্রিনপার্টির প্রার্থী জিল স্টাইনের প্রতি। মিশিগান, পেনসিলভেনিয়া, জর্জিয়া, ফ্লোরিডায় মুসলিম-আমেরিকান ভোটাররা সম্মিলিতভাবে কমলা হ্যারিসের বিকল্প হিসেবে জিল স্টাইনকে বেছে নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। গাজা, লেবানন পরিস্থিতিতে বাইডেন-কমলার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নতুন প্রজন্মের ভোটারের বড় একটি অংশ কমলার বিকল্প হিসেবে জিল স্টাইন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বেছে নিচ্ছেন। এর ফলে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলার বিজয়ের সম্ভাবনা ক্রমে ক্ষীণ হচ্ছে।

জনমত জরিপেও এমন আশঙ্কার প্রতিফলন ঘটতে শুরু করেছে। মার্কিন সংবিধানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিটি স্টেটের নিজস্ব ভোট রয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জটিল ইলেক্টোরাল কলেজ ব্যবস্থার অধীন প্রতিটি স্টেটে জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্দিষ্টসংখ্যক ইলেক্টর (নির্বাচক) থাকেন। ৫০ স্টেটের মধ্যে ৪৮টির জন্য নিয়ম হলো যিনি পপুলার ভোটে (সাধারণ নাগরিকদের ভোট) জিতবেন, তিনিই সে স্টেটের সব কটি ইলেক্টোরাল ভোট পাবেন; সেখানে পপুলার ভোটের ব্যবধান যত কমই হোক না কেন। নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে জয়ী হওয়ার জন্য ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে ২৭০টি ভোট পেতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে দোদুল্যমান স্টেটগুলো বড় প্রভাব রাখে।

এ বছর দোদুল্যমান স্টেটের সংখ্যা সাত। এগুলো হচ্ছে পেনসিলভানিয়া ১৯, জর্জিয়া ১৬, নর্থ ক্যারোলিনা ১৬, মিশিগান ১৫, আরিজোনা ১১, উইসকনসিন ১০, নেভাদা স্টেটে ৬টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের জটিল অঙ্কেও উভয় প্রার্থী সমানে সমান বলে প্রতিয়মান হয়েছে। আর এভাবেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন তুমুল হাড্ডাহাড্ডি হবে তা দৃশ্যমান হচ্ছে সর্বসমক্ষে। এমনি একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প একে অপরের দিকে সমালোচনার তীর ছুড়ছেন। ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট বলে অভিহিত করেন কমলা। এবার ট্রাম্পও একই তীর ছুড়লেন তার দিকে। তিনি বলেন, আসল ফ্যাসিস্ট হচ্ছেন কমলা।

জর্জিয়ায় সোমবার এক নির্বাচনি সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তিনি বলেন, তাকে নাৎসি বলা হলেও তিনি নাৎসির উল্টোদিকে রয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘নির্বাচনি প্রচারে নতুন এক কথা খুঁজে পেয়েছেন কমলা হ্যারিস। কেউ তাকে ভোট না দিলেই তিনি বলে বসেন, ওই ব্যক্তি নাৎসি।’

কিন্তু ট্রাম্পের এই দাবি পুরোপুরি সত্য নয়। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এমন কথা বলেননি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন সে কথাই বলছে। গত বুধবার পেনসিলভেনিয়ার ডেলাওয়ার কাউন্টিতে এক অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একজন ফ্যাসিস্ট বলে মন্তব্য করেন কমলা হ্যারিস।

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের কাছে রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপারে জানতে চায় সিএনএন। তাকে প্রশ্ন করা হয়, ট্রাম্পকে তিনি ফ্যাসিস্ট মনে করেন কিনা। ওই প্রশ্নে হ্যারিস বলেন, ‘হ্যাঁ আমি মনে করি। আমি বিশ্বাস করি, ট্রাম্প একজন ফ্যাসিস্ট। আমি এটাও বিশ্বাস করি, যারা তাকে সবচেয়ে ভালো চেনেন, তাদেরও এ বিষয়ে বিশ্বাস করা উচিত।’ ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট। এ অবস্থায় শেষ দিকের প্রচারে এসে হ্যারিস ট্রাম্পকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অসংলগ্ন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য বলে দাবি করেছেন। এর জবাবও দিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প।

সমাপনী বক্তব্যে কী বললেন হ্যারিস ও ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিকে ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমালা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ভোটারদের উদ্দেশ্যে তাদের সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেছেন। কমালা হ্যারিস তার বক্তব্য এমন স্থানে দিয়েছেন, যেখানে প্রায় চার বছর আগে ক্যাপিটল দাঙ্গা’র ঠিক আগে আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পও বক্তব্য রেখেছিলেন। কমালা হ্যারিস ভোটারদেরকে নির্বাচনের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে বলেন, এই নির্বাচন “সম্ভবত আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট” এবং এটির মানে “স্বাধীনতা ও বিশৃঙ্খলার মধ্য থেকে একটিকে বেছে নেওয়া”। এর দ্বারা মার্কিন ভোটাররা “সবচেয়ে অসাধারণ কাহিনীর পরবর্তী অধ্যায়টি লিখতে পারেন”।

তিনি তার এই সমাপনী বক্তব্যে আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও আক্রমণ করতে ভুলেননি। তিনি বলেন যে “প্রায় চার বছর আগে এই স্থানে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাঁড়িয়েছিলেন এবং জনগণের ইচ্ছেকে দমন করার জন্য সশস্ত্র জনতাকে পাঠিয়েছিলেন।” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও মূল্যস্ফীতি এখন বড় একটি সমস্যা। এ বিষয়ক তার বক্তব্য হল, “এখন আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো খরচ কমানো, যা মহামারীর আগেও বাড়ছিল এবং এখনও অনেক বেশি।”

জীবনের ব্যয় সংকট নিয়ে তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারি।” তিনি তার এই সমাপনী বক্তব্য গর্ভপাতের অধিকার রক্ষারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “মানুষ তাদের নিজের শরীরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মৌলিক স্বাধীনতা রাখে।” এর আগে বক্তব্যের শুরুতেই কমালা হ্যারিস বলেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প “আমেরিকার নারীদের গর্ভধারণ করতে বাধ্য করবেনৃআপনারা প্রজেক্ট ২০২৫ গুগল করুন।”

যদিও মি. ট্রাম্প এই ধরনের কিছু করার পরিকল্পনা করছেন, সেরকম কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। কমালা হ্যারিস যে প্রজেক্ট ২০২৫-এর কথা উল্লেখ করেছেন, তা থিংক ট্যাঙ্ক হ্যারিটেজ ফাউন্ডেশন দ্বারা পরবর্তী রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের জন্য তৈরি একটি অতিরক্ষণশীল নীতি প্রস্তাবের তালিকা। যদিও ডোনাল্ট ট্রাম্প ‘প্রজেক্ট ২০২৫’ থেকে বারবার নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছেন ও বলেছেন, “প্রজেক্ট ২০২৫ সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। এর পেছনে কে আছে, তা নিয়েও আমার ধারণা নেই।”

ট্রাম্পের জিজ্ঞাসা- “চার বছর আগের তুলনায় আপনি কি এখন ভালো অবস্থায় আছেন?” : ওয়াশিংটনে সমাপনী বক্তব্য দেওয়ার সময় রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেনসিলভেনিয়ার অ্যালেন্টাউনে একটি প্রচারণা সমাবেশ করেছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এটি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য, যেটির ফলাফল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ট্রাম্প তার ভাষণ শুরু করেন একটি সহজ প্রশ্ন দিয়ে। ভোটারদেরকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “চার বছর আগের তুলনায় আপনি কি এখন ভালো অবস্থায় আছেন?” এরপর একে একে তিনি তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিগুলো পুনরাবৃত্তি করেন। সেগুলোর মাঝে রয়েছে– মূল্যস্ফীতি কমানো এবং যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের “অনুপ্রবেশ বন্ধ করা”। তিনিও কমালা হ্যারিসের নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “কমালা আমাদের লজ্জিত করেছে। তার মাঝে নেতৃত্বের যোগ্যতা নেই।”

ডোনাল্ড ট্রাম্প জনগণকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান এবং কোনও প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেন যে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা নির্বাচনে “কারচুপি” করবে, ইতোমধ্যে তেমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এরপর তিনি পেনসিলভেনিয়ার ল্যাঙ্কাস্টার কাউন্টির একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। সেখানকার কর্মকর্তারা এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন যে তারা ভোটার নিবন্ধন ফর্ম তদন্ত করছেন, যা জাল হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। যদিও নির্বাচনি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে কাউন্টির নির্বাচন সুরক্ষিত রয়েছে এবং সন্দেহভাজন প্রতারণার বিষয়টি চিহ্নিত করা তাদের “সিস্টেমের কার্যকারিতার” একটি লক্ষণ।

Posted ১:০৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

86-47 164th Street, Suite#BH
Jamaica, New York 11432

Tel: 917-304-3912, 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: weeklybangladesh@yahoo.com

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.