রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

ফান্ড রেইজিংয়ে অনিয়ম : ফেঁসে যেতে পারেন মেয়র অ্যাডামস

বাংলাদেশ রিপোর্ট :   |   বৃহস্পতিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৩

ফান্ড রেইজিংয়ে অনিয়ম : ফেঁসে যেতে পারেন মেয়র অ্যাডামস

ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচনী ফান্ড রেইজিংয়ে দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণের কারণে ফেঁসে যেতে পারেন নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে দ্বিতীয় আফ্রিকান আমেরিকান মেয়র এরিক অ্যাডামস। আগামী মেয়াদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সিটি মেয়র যে তহবিল সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন, এফবিআই তাতে বিদেশি সরকার ও বিদেশি নাগরিকের নিকট থেকে বেনামীতে অর্থ গ্রহণ করেছেন, এমন প্রমাণ এফবিআইএর হাতে পড়েছে বলে নিউইয়র্ক টাইমস ও নিউইয়র্ক পোস্টের রিপোর্টে জানা গেছে। একই ধরনের অভিযোগ উঠায় গত বছর নিউইয়র্ক স্টেট লেফটেন্যান্ট গভর্নর ব্রায়ান বেঞ্জামিন পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।

এর আগে ২০১৩ সালে সিটি মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলীয় একজন প্রার্থী গোপন উৎস থেকে নির্বাচনী চাঁদা গ্রহণের কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বাদ পড়েছিলেন। এরিক অ্যাডামস যখন দ্বিতীয়বারের মতো সিটির মেয়র পদে পুননির্বাচিত হওয়ার আশায় কোমর বেঁধে অবতীর্ণ হয়েছেন, ঠিক তখনই তার বিরুদ্ধে তহবিল সংগ্রহে বড় ধরনের অনিয়মের কারণে তার নির্বাচনী ভবিষ্যৎ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।


শুধু নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহে অনিয়মের প্রশ্ন নয়, মেয়র অ্যাডামস এবং তার বন্ধুরা সিটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে যথেচ্ছ ব্যয় করেও এফবিআইএ’র দৃষ্টিতে পড়েছেন। নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে যে, মেয়র তাদের কড়া নজরদারির মধ্যে রয়েছে। যে মেয়র দুই বছর আগে কেবল নিউইয়র্কবাসীর শুভেচ্ছা নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন, তিনি পুন:নির্বাচিত হওয়ার জন্য তহবিল সংগ্রহে দুর্নীতির আশ্রয় নেবে তা বিশ্বাস করা অনেকের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।

কিন্তু গত শুক্রবার যখন খবর ছড়িয়ে পড়ে যে এফবিআই এজেন্টরা মেয়র অ্যাডামসের প্রধান ফান্ড রেইজার ২৫ বছর বয়সী ব্রায়ানা সুগস এর বাড়িতে এই সন্দেহে তল্লাশি চালিয়েছে যে মেয়র বিদেশি সরকার ও নাগরিকদের কাছ থেকে ছদ্মনামে একাধিক অনুদান পেয়েছেন। নিউইয়র্ক সিটির নবাগত ইমিগ্রান্ট সমস্যা নিয়ে মেয়র এবং তার সঙ্গীরা যখন বাইডেনের প্রশাসনে কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করার জন্য ওয়াশিংটন ডিসিতে যাচ্ছিলেন, তখন বিষয়টি মোকাবিলা করতে তিনি নির্ধারিত বৈঠকের কয়েক মুহূর্ত আগে বৈঠক আকস্মিকভাবে বাতিল করে নিউইয়র্কে ফিরে আসেন। এফবিআই ইতোমধ্যে যতটুক তদন্ত করেছে তাতে তারা মেয়র অ্যাডামসের ঘনিষ্ট মহলে বড় ধরনের দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ড বের হয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


অ্যাডামসের প্রধান নির্বাচনী তহবিল সংগ্রাহক তুরস্কের সরকার ও তুরস্কের নাগরিকদের কাছ থেকে নেয়া অর্থ ভিন্ন নামে প্রদর্শন করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেসব আমেরিকানের নামে ওই অর্থ দেখানো হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে তারা মেয়র এরিক অ্যাডামসের নির্বাচনী তহবিলে তাদের নিজেদের অর্থ থেকে কোনো চাঁদা দেননি। গত জুলাই মাসে এফবিআই ম্যানহাটানের ঠিকানায় ছয় জন আমেরিকানকে চাঁদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য অভিযুক্ত করে, যারা আদৌ নিজেদের উপার্জিত কোনো অর্থ মেয়রের পুন:নির্বাচনী অভিযান চালানোর জন্য গঠিত তহবিলে চাঁদা দেননি এবং এভাবে আরো হাজার হাজার লোককে একইভাবে চাঁদা দানকারী হিসেবে প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে দুই ভাইকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ‘আউটলেট সিটি’ নামে একটি সংবাদ প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সংস্থা মেয়রের নির্বাচনী তহবিলে অর্থ সংগ্রহের এ ধরনের অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে।

মেয়র অ্যাডামস বা তার প্রধান তহবিল সংগ্রাহক সুগস এখনো এ দুর্নীতির জন্য অভিযুক্ত হননি এবং অ্যাডামস অবৈধভাবে চাঁদা গ্রহণ সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন। তদন্তে মনে হচ্ছে যে তহবিল দাতারা অ্যাডামসের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আগ্রহী যে এ ধরনের তহবিল সংগ্রহের ঘটনা তারা সত্যিই আড়া করতে চেয়েছিলেন কিনা এবং সত্যিকার অর্থে কারা সেই প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ছিল। মেয়র অ্যাডামস এক বিবৃতিতে বলেছেন, কেউ যদি আমাদের গণতন্ত্রকে হেরফের করতে এবং আমাদের নির্বাচনী প্রচারণাকে ভিন্নভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করে তাহলে আমি ক্ষুব্ধ। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, যে বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে সে সম্পর্কে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে আইন ও বিধি বহির্ভূতভাবে তহবিল সংগ্রহের যদি অনিয়ম হয়ে থাকে, তাহলে আমরা সে সম্পর্কিত তদন্তে আমরা যথাযথভাবে সহযোগিতা করবো।


উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটিতে নির্বাচনী তহবিল সংক্রান্ত বিধি অনুযায়ী কেউ যদি কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী তহবিলে ১ ডলার চাাঁদা প্রদান করেন, তাহলে প্রার্থী সরকারি তহবিল থেকে ৮ ডলার প্রদান করে। অর্থ্যাৎ কেউ যদি চাঁদা হিসেবে ২৫০ ডলার চাঁদা প্রদান করেন, তাহলে প্রার্থী সরকারি তহবিল থেকে পাবেন ২,২৫০ ডলার। ফলে যারা এভাবে তার অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে প্রলুব্ধ হন, তিনি তা করতে পারেন। ২০২১ সালে মেয়র অ্যাডামসের নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহে এধরনের একটি অনিয়ম ধরা পড়েছিল। দেখা গেছে যে, ব্রুকলিনের কেএসকে কন্সট্রাকশন গ্রুপের ১১ জন কর্মচারির কাছ থেকে ২০২১ সালের ৭ মে চাঁদা হিসেবে প্রায় ১৪,০০০ ডলার গ্রহণ করা হয়। সবার কাছ থেকে একই তারিখে। এর মধ্যে ৯ জন কর্মচারি প্রত্যেকে দেন ১,২৫০ ডলার করে। এর প্রেক্ষিতে ম্যাচিং মানি হিসেবে তিনি আটগুণ সরকারি অনুদান পাওয়ার যোগ্য হন। অতীতে এ ধরনের আরো কিছু ঘটনা ঘটেছে বলে নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়।

Posted ৩:০১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৩

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.