ফুডস্ট্যাম্পে কি খাবার কেনা যাবে?

বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৩৯ সালে চালুকৃত ‘ফুড স্ট্যাম্প’ কর্মসূচি আট দশক পর ৪ কোটি ২০ লাখের বেশি আমেরিকান ও যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা বা গ্রিনকার্ডধারীদের খাদ্য সরবরাহ করছে। বর্তমানে এই কর্মসূচির পরিবর্তিত নাম ‘স্ন্যাপ’ বা সাপ্লিমেন্টাল নিউট্রিশন অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম নামে পরিচিতি। করোনা মহামারী ও পরবর্তী সময়ের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির ফলে পন্য মূল্য অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় ‘কোলা’ বা ‘কস্ট অফ লিভিং এডজাস্টমেন্ট’ এর কারণে ‘স্ন্যাপ’ এর আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে গত সেপ্টেম্বরে এবং তা কার্যকর হচ্ছে চলতি জানুয়ারি মাস থেকে, যা মাসের ১০ তারিখে প্রাপ্য হবে। তবে বিভিন্ন স্টেটে তারিখের ব্যতিক্রম হতে পারে। ‘স্ন্যাপ’ এর সুবিধাভোগীরা আগে যেসব পন্য কিনতে পারতেন, এখন সেগুলোই কিনতে পারবেন, তবে কর্তৃপক্ষ আশা করছে যে স্ন্যাপের অর্থ বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্ধিত দ্রব্যমূল্য তাদের ক্রয়ক্ষমতাকে হ্রাস করবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা, যারা এই সুবিধা লাভের যোগ্য, কিন্তু এ সম্পর্কে না জানার কারণে স্ন্যাপের জন্য আবেদন করেননি, তারা নিজ নিজ স্টেটে স্থানীয় ‘স্ন্যাপ’ অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা অনলাইনে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে স্ন্যাপের সুবিধা নিতে পারেন। অনলাইনে স্ন্যাপ অ্যাপ্লিকেশন ও স্থানীয় অফিস লোকেঁর পেজ ভিজিট করে খুব সহজে আবেদন করা যায়। বিভিন্ন স্টেটে আবেদন করতে কি কি শর্ত পূরণ করতে হবে, তার রকমফের হতে পারে, তবে এ পার্থক্য খুব বেশি নয়, যা পূরণ করা অসম্ভব হতে পারে। স্ন্যাপ আবেদনে প্রধানত আবেদনকারীর পরিবারের সদস্য সংখ্যা, সম্পদ ও আয় সীমার কথা জানতে চাওয়া হয়। স্ন্যাপে যে অর্থ বরাদ্দ থাকে তা খাদ্য, পানীয়, সব্জি, মাছ-মাংস, দুধ, রুটি সিরিয়াল, সব্জি উৎপাদনের জন্য বীজ ও চারা কেনা এবং রেস্টুরেন্টে তৈরি খাদ্য কেনার কাজে ব্যয় করা যেতে পারে। স্ন্যাপের আওতায় যা কেনা যাবে না, সেগুলোর মধ্যে অ্যালকোহল, তামাকজাত পন্য, ভিটামিন, ওষুধ, জ্যান্ত প্রাণী, গৃহপালিত পশুপাখির খাদ্য, কসমেটিকস ইত্যাদি কেনা যাবে না।

বর্তমান খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে জীবনযাত্রার ব্যয় সমন্বয় করতে স্ন্যাপ কর্মসূচি চালুর পর থেকে এবার সর্বোচ্চ পরিমাণ আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং এই বৃদ্ধির পরিমাণ ২১ শতাংশ অর্থ্যাৎ সুবিধাভোগী প্রত্যেকের ক্ষেত্রে গড়ে বিদ্যমান পরিমাণের চেয়ে ৩৬ ডলার করে বৃদ্ধি পাবে। চারজনের পরিবারে বৃদ্ধি পাবে প্রায় ১৫০ ডলার এবং প্রত্যেক সুবিধাভোগীর জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।