মোহাম্মদ আজাদ : | বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০
বাংলাদেশীরা রাজনীতি সচেতন ও রাজনীতি পাগল। রাজনীতি নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তুলতে বাংলাদেশীদের জুড়ি নেই। আলোচনা-সমালোচনায় তারা সবসময় সবর। প্রতিনিয়ত কমিউনিটিতে চলে রাজনীতির আলোচনা। আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বাংলাদেশী কমিউনিটির সর্বত্র রাজনৈতিক আলোচনার সাথে অনেকে ব্যক্তিগতভাবে জানতে চেয়েছেন আসন্ন নির্বাচনে কে জয়ী হচ্ছেন? প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, না কি ডেমোক্রেট দলীয় জো বাইডেন? সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে কত বাংলাদেশী বসবাস করেন এর সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। ধারণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী সংখ্যা এক মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশীদেও সংখ্যা যাই হোক, তাদের বড় অংশের বসবাস নিউইয়র্কে। তাদের মধ্যে আমেরিকান সিটিজেনশিপ গ্রহণ করে কত সংখ্যক বাংলাদেশী ভোটার হয়েছে, এর সঠিক পরিসংখ্যানও কারো কাছে নেই। এ সংক্রান্ত তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য কমপক্ষে তিনজন কমিউনিটি এক্টিভিস্টের সাথে কথা হয়, যাদের মধ্যে ছিলেন কমিউনিটি লিডার ও শ্রমিক অধিকার নেতা মাফ মিসবাহউদ্দিন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, মূলধারার উদীয়মান নেতা ও জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটর প্রতিষ্ঠা ও বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, ইসলামিক স্কলার সৈয়দ মিজানুর রহমান টুকু।
মাফ মিসবাহউদ্দিন বলেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ভোটার সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ হাজার হবে। ফখরুল আলমের মতে, শুধু নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ভোটার সংখ্যা ৭০ হাজার থেকে এক লক্ষ হবে।
সৈয়দ মিজানুর রহমান টুকু বলেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ভোটারের সংখ্যা আনুমানিক এক লক্ষ। আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের উপর সাপ্তাহিক বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে একটি জরিপ চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। বাংলাদেশী কমিউনিটির মুখপত্র সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সর্বপ্রথম বাংলাদেশী কমিউনিটির উপর এ ধরনের একটি জরিপ পরিচালনা করে। গত দু’মাস ধরে নিউইয়র্ক সিটি, কানেকটিকাট ও পেনসিলভেনিয়াতে বাংলাদেশী-আমেরিকান ভোটারদের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয়। টেলিফোনে ও টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে জরিপ পরিচালনা করা হয়। জরিপে কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট, কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, কর্মজীবী থেকে শুরু করে গৃহবধুসহ প্রায় চারশ’ বাংলাদেশী ভোটারকে শামিল করা হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহনকারী প্রায় শতভাগ বাংলাদেশী বলেছেন যে তারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনকে ভোট দেবেন। যাদের সাথে কথা হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রতিনিধিত্বশীল বাংলাদেশী আমেরিকান ভোটারদের বক্তব্যের মূল কথা এখানে তুলে ধরা হলো।
ড: দেওয়ান শামসুল আরেফীন: নিউ জার্সীতে বসবাসরত ড: আরেফীন একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজ বিজ্ঞানি। তিনি বলেন, আমি স্থানীয় ডেমোক্রেটদের সঙ্গে জো বাইডেনের জন্য কাজ করছি। বাইডেনের জন্য আমরা ফান্ড রেইজ করেছি এবং আমি নিজেও তার জন্য আর্থিক অনুদান দিয়েছি। এবারের নির্বাচন পরিস্থিতিকে জটিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনো বলা যাচ্ছে না যে কি হতে যাচ্ছে।
ড. নাঈমা খান: নিউইয়র্ক সিটির খান’স টিউটোরিয়ালের চেয়ারম্যান ড. নাঈমা খান বলেন, কাকে ভোট দেব সে সম্পর্কে আমি এখনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
গিয়াস আহমেদ: মূলধারার রাজনীতিবিদ ও কমিউনিটি এক্টিভিস্ট গিয়াস আহমেদকে তিনি কাকে ভোট দেবেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি একজন রেজিষ্টার্ড রিপাবলিকান এবং ২০০২ সালে আমি রিপাবলিকান পার্টির টিকেটে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর পদে নির্বাচন করেছিলাম। কিন্তু বিগত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনগুলোতে আমি ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রাথীদের ভোট দিয়েছি। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। সকল বাংলাদেশী ভোটারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখানকার ডাটাবেজে ধর্ম,বর্ণ বা দেশীয় পরিচয়ে ভোটারদের পরিসংখ্যান রাখা হয়। আমরা যত বেশি সংখ্যায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবো, মেইনস্ট্রিমে আমার গুরুত্ব তত বৃদ্ধি পাবে। যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি সংখ্যা মোট জনসংখ্যার মাত্র দুই শতাংশ এবং মুসলিম জনসংখ্যা হচ্ছে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪ শতাংশ। কিন্তু এদেশে মুসলিমদের অবস্থান কোথায়? আপনার নিজের গুরুত্ব প্রমাণ করতে হলে আপনাকে ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে এবং ভোট প্রদান করতে হবে।
মোরশেদ আলম: মূলধারা রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট ও কমিউনিটি এক্টিভিস্ট মোরশেদ আলম বলেন, ইমিগ্রান্ট ও মুসলামানদের অস্তিত্বের খাতিরেই আমি জো বাইডেনকে ভোট দেব।তিনি বাংলাদেশী ভোটারদের প্রতি আহবান জানান তারা যাতে আগেভাগে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে বেলা ২টার মধ্যে ভোটদান সম্পন্ন করেন। কারণ ট্রাম্প যে কোন সময় যে কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিতে পারে।
মাফ মিসবাহউদ্দিন: এলায়েন্স অফ সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লেবার-অ্যাসাল এর ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশীজ ফর বাইডেন, নিউইয়র্কের ডাইরেক্টর মাফ মিসবাহউদ্দিন বলেন, আমরা এখানকার দরিদ্র শ্রেনি ও ইমিগ্রান্টদের স্বার্থে জো বাইডেনকে ভোট দেব।
এটর্নি শেখ সেলিম: ইমিগ্রেশন বিষয়ক বিশিষ্ট বাংলাদেশী আমেরিকান আইনজীবী এটর্নি শেখ সেলিম বলেন, আমি ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনকে ভোট প্রদান করবো।
আবদুর রহিম হাওলাদার: বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রহিম হাওলাদার বলেন, আমি এবং আমার পরিবারের সবাই রেজিষ্টার্ড ডেমোক্রেট। আমরা জো বাইডেনকে ভোট দেব। তিনি আরও বলেন, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে নয়, আমি আমার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে বলছি বাংলাদেশী আমেরিকানদের উজিত হবে জো বাইডেনকে ভোট দেয়া।
রুহুল আমিন সিদ্দিকী: বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমি সিদ্দিকী বলেন, প্রেসিডেন্ট পদে আমি জো বাইডেনকে ভোট দেব।
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার: মূলধারার উদীয়মান নেতা ও জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেণ্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ডেমোক্রেটিক পার্টি সবসময় ইমিগ্রান্ট কমিউনিটির পক্ষে কাজ করেছে। পক্ষান্তরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত চার বছরে ইমিগ্রান্ট বিদ্বেষী অনেক পদক্ষেপ নিয়ে ইমিগ্রান্ট কমিউনিটির মধ্যে শঙ্কার সৃষ্টি করেছেন। তিনি নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে ইমিগ্রান্টদের প্রতি নিগ্রহ আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও বলেন, অতীতের যে কোন সময়ে তুলনায় এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকলের সমানাধিকারের নীতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত আমেরিকাকে ভবিষ্যতেও একই নীতির ভিত্তিতে দাঁড় করাতে জো বাইডেনকে ভোট দেয়া প্রয়োজন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশী আমেরিকান ভোটারদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তারা যাতে প্রত্যেকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে মূলধারায় নিজেদের অবস্থানকে দৃঢ় করতে ভূমিকা রাখেন।
সৈয়দ এসকে জামান: বাংলাদেশ সোসাইটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এসকে জামান বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাদের জন্য ভয়াবহ। আমি জো বাইডেনকে ভোট দেব।
ফখরুল আলম: বাংলাদেশ সোসাইটর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে মানসিকতা পোষণ করেন তাতে তাকে সুস্থ মানুষ বলে মনে হয় না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্দয়ভাবে হাজার হাজার শিশুকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিপোটে করেছেন। কোন সুস্থ, বিবেকসম্পন্ন মানুষ তাকে ভোট দিতে পারে না। আমাদের সকলের উচিত জো বাইডেনের পক্ষে প্রচারণা জোরদার করার জন্য অন্তত ৫ থেকে ১০ ডলার করে তার নির্বাচনী তহবিলে দান করা।
মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন: বিশিষ্ট সমাজসেবক, কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট ইসলামিক কাউন্সিল অফ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন বলেন, আমি জো বাইডেনকে ভোট দেব। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকটোরাল ভোটিং পদ্ধতি বাতিল করার পক্ষে মত ব্যক্ত করে বলেন, এই পদ্ধতি বহাল থাকার কারণে সাধারণ ভোটারের ভোটের কোন মূল্য থাকে না। তিনি মুসলিম কমিউনিটির প্রতি আহবান জানান জো বাইডেনকে ভোট দেয়ার জন্য।
মির্জা আবু জাফর বেগ: বাংলাদেশ কমিউনিটির অত্যন্ত পরিচিত মুখ, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের খতিব মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ বলেন, জো বাইডেন নির্বাচিত হলে তিনি যে খুব ভালো প্রেসিডেন্ট হবেন তা বলা যাচ্ছে না। তিনি মন্দের ভালো হতে পারেন। সেজন্য আমি জো বাইডেনকেই ভোট দেব।
আবদুল হাকিম মিয়া: বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনার ও উডসাইড বায়তুল জান্নাহ মসজিদের প্রেসিডেন্ট আবদুল হাকিম মিয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবকিছু খারাপ বলা যাবে না। কিন্তু আমাদের অস্তিত্বের স্বার্থে আমি জো বাইডেনকে ভোট দেব।
মোহাম্মদ এন মজুমদার: কমিউনিটি নেতা ও মূলধারারা রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ এন মজুমদার বলেছেন, আমি জো বাইডেনকে ভোট দেব। তিনি সকল বাংলাদেশী আমেরিকানকে ভোটকেন্দে হাজির হয়ে জো বাইডেনকে ভোট দেয়ার আহবান জানান।
এটর্নি মঈন চৌধুরী: ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ও বিশিষ্ট আইনজীবী এটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, আমি আমাদের কমিউনিটির সকলকে বলবো জো বাইডেনকে ভোট দেয়ার জন্য। তিনি আরও বলেন, আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী যাকে খুশি ভোট দিতে পারেন। কিন্তু সাই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন।
মোহাম্মদ নাজমুল হক: এনওয়াইপডি’র একজন সদস্য, বাংলাদেশী পুলিশ অফিসার মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেছেন, আমি জো বাইডেনকে ভোট দেব। ট্রাম্প যদি দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হন, তাহলে আমরা তার ভয়াবহ রূপ দেখতে পাবো। যেসব বাংলাদেশী ট্রাম্পকে ভোট দিতে বলছেন আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হলে মুসলিম ও ইমিগ্রান্টদের জন্য মন্দ পরিণতি আসবে।
সৈয়দ মিজানুর রহমান টুকু: ইসলামিক স্কলার ও কমিউনিটি এক্টিভিস্ট সৈয়দ মিজানুর রহমান টুকু বলেন, আমি ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনকে ভোট প্রদান করবো।
মোহাম্মদ কাদির: গার্ডেন সিটি নিশানের সেলস এসোসিয়েট মোহাম্মদ কাদির বলেন, আমি জো বাইডেনকে ভোট দেব। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন ট্রাম্প।
তাহের ফারুকী: নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত এশিয়ান টাইমসের সম্পাদক তাহের ফারুকী বলেছেন, আমি জো বাইডেনকে ভোট দেব। তিনি কমিউনিটির সকলকে অনুরোধ জানান ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য।
জামান চৌধুরী: স্টার কাবাব এন্ড চাইনিজ রেষ্টুরেন্টের সিইও জামান চৌধুরী বলেন, আমি জো বাইডেন ভোট দেব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মইনুল ইসলাম: রিয়েল এস্টেট সেল পারসন মইনুল ইসলাম বলেন, আমি জো বাইডেনকে ভোট দেব।
জাকির হাওলাদার: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কমিউনিটি এক্টিভিস্ট জাকির হাওলাদার বলেন, ভোট জো বাইডেনকেই দেব। কিন্তু ট্রাম্প ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা চালাবেন।
ফারহানা ইসলাম পাখি: জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশী কমিউনিটির অত্যন্ত পরিচিত মুখ ফারহানা ইসলাম পাখি। তিনি এক ট্রাভেল এজেন্সিতে কর্মরত। ভোট দেয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি জো বাইডেনকে ভোট দেব। কিন্তু মনে হচ্ছে নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হবেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের মতো ব্যক্তিকে ক্ষমতা থেকে হটানো সহজ নয়।
মোহাম্মদ কাউসার: পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ কাউসার ফিলাডেলফিয়ায় থাকেন। তিনি বলেন শুধু আমি নই আমার পরিবারের চার সদস্যই রেজিষ্টার্ড ডেমোক্রেট এবং সবাই জো বাইডেনকে ভোট দেবেন।
মোহাম্মদ হোসেন: কানেকটিকাটের হার্টফোর্ডে বসবাসরত ও একটি কনভেনিয়েন্স স্টোরের মালিক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমি জো বাইডেনকে ভোট দেব।
খন্দকার ইব্রাহিম হোসেন: কাওরান বাজার ও এসোসিয়েটেড সুপার মার্কেটের অন্যতম সত্ত্বাধিকারী খন্দকার ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আমি জো বাইডেনকে ভোট দেব।
আরিফ রহমান: জ্যাকসন হাইটসসে সেলফ এমপ্লয়েড আরিফ হোসেন জো বাইডেনের নির্বাচনী তহবিলে তার সাধ্যানুযায়ী অবদান রেখেছেন। তিনি বলেন, বাইডেন জয়ী না হলে মুসলমানদের অবস্থা আরো খারাপ হবে।
মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান: ব্রঙ্কসের বাসিন্দা, ইয়েলো ক্যাব চালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি, আমার স্ত্রী ও সন্তান সবাই জো বাইডেনকে ভোট দেব।
মোম্মদ মূসা: ম্যানহাটানের ইস্ট ভিলেজে একটি বার এন্ড রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন মোহাম্মদ মূসা। বর্তমানে বেকার। তিনি বলেন, আমি সবসময় ডেমোক্রেট প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছি। এবারও দেব।
শুকরিয়া জেবিন: গৃহবধু শুকরিয়া জেবিন প্রথমবার ভোট দেবেন। তিনি বলেন, আমি একজন রেজিষ্টার্ড ডেমোক্রেট। তবে এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি যে কাকে ভোট দেব।
কাজী নিজামউদ্দিন: এলমহার্ষ্টের বাসিন্দা উবার চালক কাজী নিজামউদ্দিন বলেন, ঘুম থেকে উঠেই জো বাইডেনকে ভোট দিয়ে আসবো।
মো: সোহাবর আলী: উডসাইডের বাসিন্দা সোহাবর আলী একজন তরুণ কবি। কাকে ভোট দেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই ট্রাম্পকে ভোট দেব না। আমি জো বাইডেনকে ভোট দেব।
Posted ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh