মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

বাইডেনের মেয়াদে ১০ লক্ষাধিক অবৈধ ইমিগ্রান্ট

বাংলাদেশ রিপোর্ট :   |   বৃহস্পতিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

বাইডেনের মেয়াদে ১০ লক্ষাধিক অবৈধ ইমিগ্রান্ট

ছবি : সংগৃহীত

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণ করার পর গত প্রায় ২১ মাসে ১০ লাখের অধিক অবৈধ ইমিগ্রান্ট যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ করেছে, যা বিশ্বের যেকোনো দেশে, যেকোনো সময়ের ইমিগ্রান্ট প্রবাহের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যা বলে বাইডেন প্রশাসনের সমালোচকরা অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। এসব ইমিগ্রান্টকে প্রশাসন সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে বাইডেন প্রশাসন বেশ ক’বার যুক্তি প্রদর্শন করলেও তা ধোপে টেকার মত নয় বলে নিউইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে। সীমান্তে তালিকাভূক্ত ইমিগ্রান্ট ছাড়াও বর্ডার পেট্টল এজেন্টদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে আসার ইমিগ্রান্ট এবং আন্তর্জাতিক মানবপাচার গ্যাং এর সহায়তায় মেক্সিকো থেকে মালবাহী ট্রেলার ট্রাকে কত ইমিগ্রান্ট যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ করেছে তাদের সংখ্যা যোগ করলে বাইডেনের আমলে আগত অবৈধ ইমিগ্রান্ট সংখ্যা আরো বেশি হবে।

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম মেয়াদ থেকে বলা হয়ে আসছে যে যুক্তরাষ্ট্রে আনডাকুমেন্টেড বা অবৈধ ইমিগ্রান্ট সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ, তার দ্বিতীয় মেয়াদে এ সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মেয়াদে ইমিগ্রান্ট প্রবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা সত্ত্বেও অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি এবং এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে ট্রাম্পের চার বছরে কমবেশি ২০ লাখ বিদেশি যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ করেছে। এর বাইরে রয়েছে ‘ডাকা’ কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৭ লাখ ইমিগ্রান্ট, যা শৈশবে তাদের মা-বাবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল, যুক্তরাষ্ট্রেই বেড়ে ওঠেছে, কিন্তু বহু বছর অতিক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও তাদের ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। ‘টিপিএস’ বা টেম্পোরারি প্রটেকটেড স্ট্যাটাসের আওতায় রয়েছে আরও প্রায় ৫ লাখ বিদেশি, যাদের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে বহু বছর যাবত। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে প্রায় দেড় কোটি অবৈধ ইমিগ্রান্ট বসবাস করছে।


হোমল্যান্ড সিকিউরিটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টদের মধ্যে প্রায় দশ লাখ এসাইলাম বা রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছে। এসাইলাম অফিস থেকে যাদের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে তাদের বিষয় পুন:বিবেচনার জন্য ইমিগ্রেশন জজদের কাছে পাঠানো হয় এবং ইমিগ্রেশন আদালতগুলোতে প্রায় ছয় লাখ এসাইলাম কেস বিবেচনাধীন রয়েছে। লোকবলের ঘাটতির কারণে এসাইলাম অফিস ও ইমিগ্রেশন আদালতগুলোতে অনিস্পন্ন এসাইলাম কেস ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। আট-দশ বছর যাবত আটকে থাকা কেস অসংখ্য। ২০১৪ বা ২০১৫ সালে এসাইলাম আবেদন করেছেন এমন বহু এসাইলাম প্রার্থীর আজ পর্যন্ত ইন্টারভিউ হয়নি। এ ধরনের আবেদনকারীদের একটি বড় অংশ পরিবার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তাদের ইমিগ্রেশন আবেদনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে তারা যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েও যেতে পারছেন না। এধরনের আবেদনকারীর মধ্যে ১৫০টি দেশের এসাইলাম প্রার্থী রয়েছেন বলে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও ইমিগ্রেশন আদালতের দলিলের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

যারা সীমান্তে তালিকাভূক্ত হয়েছেন, তারা সীমান্তেই ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা কাগজপত্রে এসাইলামের প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সিটিতে চলে এসেছেন এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাদের আশ্রয়, খাদ্য ও হাত খরচের ব্যবস্থা করছে। কিন্তু এটা নিতান্তই সাময়িক ব্যবস্থা। নিউইয়র্ক সিটি, ওয়ািিশংটন ডিসি, অরিগেনের পোর্টল্যান্ড সিটির নবাগত ইমিগ্রান্ট আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ঘুরে নিউইয়র্ক টাইমসের সংবাদদাতারা জানিয়েছেন যে ইমিগ্রান্টদের চাপে তারা হিমশিম খাচ্ছে। অনেক স্থানে স্থানীয় হোটেল ভাড়া করে ইমিগ্রান্টদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পোর্টল্যান্ড সিটির কর্মকর্তারা বলেছেন যে তাদের পক্ষে ইমিগ্রান্টদের আশ্রয়ের নিরাপত্তা প্রদান করা আর সম্ভব হচ্ছে না। তাদের জরুরী আবাসন সামর্থ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে গেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত পোর্টল্যান্ড সিটি নবাগত ইমিগ্রান্টদের পেছনে ৪০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।


নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে ইমিগ্রেশন ইস্যু যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উত্তপ্ত বিতর্কিত ইস্যু। দেশের দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে স্রোতের তোড়ের মত ইমিগ্রান্ট প্রবাহ নিয়ে সকল প্রশাসন চাপের মধ্যে থাকলেও ইমিগ্রান্ট প্রবেশ কোনোভাবেই এ প্রবাহ বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু ইমিগ্রান্টদের একটি সময়ের জন্য ডিটেনশনে বা নজরদারিতে রাখার পর তারা কোথায় যায়, কী করে সেদিকে প্রশাসন খুব মনোযোগ দেয়। অনেকে জনস্রোতে মিশে যায়, ছায়ায় হারিয়ে যায়। তাদের মধ্যে এমন একটি অংশও আছে যাদের কেস ইমিগ্রেশন আদালতে বিবেচনাধীন, কিন্তু আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগেই তারা ডিপোর্ট হওয়ার আশংকায় আর আদালতে হাজির হয় না, ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টে “আইস’ হাজিরা দেওয়ার আবশ্যকতা বিবেচনা করে না। ‘আইস’ এর এমন জনশক্তি নেই যে তারা পালিয়ে থাকা কোনো ইমিগ্রান্টকে খুঁজে বের করবে। খুব স্বল্প সংখ্যক ক্ষেত্রে তারা ডিপোর্টেশনের আদেশপ্রাপ্ত ইমিগ্রান্টদের ধরে ডিপোর্ট করতে সক্ষম হয়।


advertisement

Posted ৪:৩৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.