বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন কমলা হ্যারিসের। ট্রাম্পের সঙ্গে বিপর্যয়কর প্রথম টিভি বিতর্কের পরে তীব্র চাপের মুখে নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফলে এবারের নির্বাচনে লড়ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বার নাকি কমলা হ্যারিস প্রথমবার নারী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন, সেদিকে নজর এখন বিশ্ববাসীর।
মার্কিন নির্বাচন কবে?
মার্কিন নির্বাচন আগামী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে যিনি বিজয়ী হবেন, ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে তার অভিষেক অনুষ্ঠান হবে। এর মধ্য দিয়ে তিনি চার বছরের জন্য বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশটি পরিচালনার দায়িত্ব পাবেন। এদিন ভোটাররা শুধু প্রেসিডেন্ট নয়, কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ (প্রতিনিধি পরিষদ) এবং উচ্চকক্ষ মার্কিন সেনেটের প্রার্থীদেরও নির্বাচন করবেন।
মূল ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেটগুলো কী কী?
হোয়াইট হাউসের লড়াইয়ে কে বিজয়ী হবেন, তা অনেকটা নির্ভর করে কয়েকটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের ওপরে, যেগুলোকে বলা হয় ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট বা সুইং স্টেট। কারণ বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যগুলোতে অতীতের ধারাবাহিকতায় একই দলের প্রার্থীকে ভোট দেন ভোটাররা। তাই নির্বাচনের ফলাফলে সুইং স্টেটগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসব অঙ্গরাজ্যে নির্ধারিত ইলেকটোরাল কলেজ ভোটগুলো বদলে দিতে পারে ভোটের ফলাফল। এমনকি, জনসাধারণের ভোট বেশি পেয়েও একজন প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না-ও হতে পারেন।
পেনসিলভানিয়া এবং এর ১৯টি ইলেকটোরাল কলেজের ভোট, গত কয়েকটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এবারের নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হবে না। ট্রাম্পকে অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, উইসকনসিন ও নেভাদা অঙ্গরাজ্যের ফলও নিজের পক্ষে নিতে হবে, যেগুলোতে ২০২০ সালে জয় পেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এ ছাড়া ফ্লোরিডা ও ওহাইও একসময় প্রান্তিক হিসেবে বিবেচিত হতো। তবে সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে সেগুলো নিরাপদ রিপাবলিকান অঞ্চল হয়ে উঠেছে। তবুও কোনো দলের জন্যই কিছুই সুনিশ্চিত নয়।
নির্বাচনের দিন কী হবে?
বেশিরভাগ ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন এবং এরপরে ব্যালট গণনা করা হয়। তবে পোস্টাল ভোটিং সিস্টেম ব্যবহার করে বা আগাম ভোটিংয়ের দিন অনেক লোক আগেই ভোট দিয়ে ফেলেছেন।
ভোটগ্রহণ কখন শেষ হয়?
প্রতিটি অঙ্গরাজ্য নিজদের নিয়ম অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারণ করে থাকে। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। তবে সাধারণত স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সময়ের ব্যবধানের কারণে এমনও হতে দেখা যায়, পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনা শুরু হয়ে যায়, কিন্তু আলাস্কা ও হাওয়াইয়ের মতো অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা তখনও ভোট দিতে যান৷
নির্বাচনের ফলাফল কখন পাওয়া যাবে?
নির্বাচনের সম্ভাব্য বিজয়ী কে, তা জানতে হয়তো কয়েক দিন ধরে অপেক্ষায় থাকতে হবে না। তারপরেও মাসের পর মাস ফলাফল ঠিকমতো চূড়ান্ত হয় না। যাইহোক, চূড়ান্ত ভোট গণনা হওয়ার অনেক আগেই অঙ্গরাজ্য এবং সম্পূর্ণ নির্বাচনের ফলাফলে সাধারণত বলা সম্ভব হয় যে, কোন প্রার্থী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। পেনসিলভেনিয়ার ফলাফল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর ভোটগ্রহণের চার দিন পরেই জো বাইডেনকে বিজয়ী বলা সম্ভব হয়েছিল। এ অঙ্গরাজ্য বাইডেনকে ২০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট প্রদান করে। এর মধ্য দিয়ে জয়ের জন্য তার প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট নিশ্চিত হয়ে যায়। ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটন ভোটের পরদিন সকালে ট্রাম্পকে বিজয়ী হিসেবে স্বীকার করে নেন।
Posted ৬:৪৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh