বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে ধারণা করে ইতিপূর্বে আরোপিত অনেক বিধিনিষেধ শিথিল করা শুরু হয়েছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠার স্বচ্ছি ফিরে আসছিল সবার মধ্যে। কিন্তু ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের সর্বণাশা সংক্রমণ ক্ষমতা ও দ্রুত বিস্তার সবকিছুকে আরেকবার উলটপালট করে দিচ্ছে। ভাইরাস টেস্ট করার জন্য শঙ্কিত মানুষের ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে প্রতিটি টেস্টিং সেন্টারে এবং তারা কুলিয়ে না ওঠায় নতুন করে টেস্টিং সেন্টার চালু করা হচ্ছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে যে অনিচ্ছা ও শৈথিল্য দেখা দিয়েছিল তারা এখন ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে ভিড় করছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে গমচ্ছেুরা কোভিড টেস্ট ফলাফল নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। অধিকাংশ দেশ কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা আগে করা টেস্ট ফলাফল গ্রহণ করছে। কিন্তু যেসব প্রতিষ্ঠান টেস্ট করছে তারা এই সময়ের মধ্যে টেস্ট ফলাফল আদৌ দিতে সক্ষম কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং নিউইয়র্কে অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস সতর্ক করেছেন যে তারা যাতে একদিন বা দু’দিনের মধ্যে টেস্ট ফলাফল দেওয়া সম্ভব বলে প্রচার না করেন। তিনি জানান আসলে ৯৬ ঘন্টার আগে টেস্টেও ফলাফল দেওয়া সম্ভব নয়। এর ফলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে এবং বিদেশ গমনেচ্ছুরা সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে খোঁজ নিয়ে সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন।
গত ২০ ডিসেম্বর ফেডারেল স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, গত সপ্তাহে যেসব মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে শতকরা ৭৩ ভাগই ওমিক্রন সংক্রমিত। মাত্র এক সপ্তাহে এর কারণে সংক্রমণ প্রায় ৬ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্য বলছে। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ স্থানে সংক্রমণ ৬ গুনেরও বেশি। নিউ ইয়র্ক, সাউথইস্ট, শিল্পাঞ্চল মিডওয়েস্ট এবং প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট অঞ্চলে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ বা তারও বেশি ওমিক্রনে আক্রান্ত। জাতীয় পর্যায়ে যে হারে সংক্রমণের তথ্য মিলছে তাতে গত এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে সাড়ে ৬ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ওমিক্রনে। সিডিসির তথ্য বলছে, জুনের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণের প্রধান ভ্যারিয়েন্ট ছিল ডেল্টা। নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের মধ্যে শতকরা ৯৯.৫ ভাগ আক্রান্ত হয়েছিলেন এই ভ্যারিয়েন্টে। সিডিসির পরিচালক ড. রোচেলে ওয়ালেনস্কি বলেছেন, নতুন করে যে পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন তাতে বোঝা যায় অন্য দেশগুলোতে কিভাবে বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমণের এসব সংখ্যা ভয়ঙ্কর। কিন্তু তা বিস্ময়কর নয়। এখন থেকে এক মাসেরও কম সময় আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা প্রথম ওমিক্রন সম্পর্কে সতর্ক করেন। ২৬ শে নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করে। তারপর থেকে বিশ্বের প্রায় ১০৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন সংক্রমণ। এখনও পর্যন্ত এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে ব্যাপকভাবে জানা যায়নি। নিশ্চিত করা যায়নি যে, এই ভ্যারিয়েন্ট ভয়াবহ অসুস্থতা সৃষ্টি করে নাকি হাল্কা মাত্রায় আক্রান্ত করে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব গবেষণা হয়েছে তাতে দেখা যায়, ওমিক্রন সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার উত্তম উপায় হলো বুস্টার ডোজ নেয়া।
এমনই মন্তব্য করেছেন জন্স হপকিন্স সেন্টার ফর হেলথ সিকিউরিটির সিনিয়র স্কলার ড. আমেশ আদালজা। দক্ষিণ আফ্রিকা, বৃটেন এবং ডেনমার্কের পর যুক্তরাষ্ট্রে ডেল্টা সংক্রমণকে অতিক্রম করে যাচ্ছে ওমিক্রন- সিডিসির এমন তথ্যে তিনি বিস্মিত হননি। তিনিও ছুটির দিনে এই ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার নিয়ে পূর্বাভাস করেছেন। বলেছেন, টিকা নেয়া ব্যক্তিরাও এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হতে পারেন। যারা টিকা নেননি, তাদের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে মারাত্মক জটিলতা। এমনিতেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে হাসপাতালগুলোতে এরই মধ্যে চাপ পড়েছে। স্ক্রিপস রিসার্স ট্রান্সলেশন ইনস্টিটিউটের প্রধান ড. এরিক টোপোল বলেছেন, অন্য দেশগুলোতেও দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ডাটা বলছে সেখানে অল্প সময়ে চোখে পড়ার মতো বিস্তার ঘটছে ওমিক্রনের। তবে এই সংক্রমণ কতটা হাল্কাভাবে রোগীকে আক্রান্ত করে সে বিষয়ে তিনি পরিষ্কার নন বলে জানিয়েছেন ড. টোপোল। তিনি বলেন, এখনও এটা এক বড় অনিশ্চয়তা।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বড়দিনের আনন্দ ম্লান হতে যাচ্ছে : করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে একপ্রকার তাণ্ডব চালাচ্ছে। এটির ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা অনেক বেশি। চার সপ্তাহে ১০৬টি দেশে ছড়িয়েছে। বড়দিনের ছুটিতে ওমিক্রনের সংক্রমণ যাতে অতিমাত্রায় ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য অনেক দেশ নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। দেশে দেশে নানা বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে। বড়দিনের ছুটিতে ওমিক্রনের সংক্রমণ অতিমাত্রায় ছড়ানো ঠেকাতে অনেক দেশ কঠোর লকডাউনের দিকে যাচ্ছে। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বড়দিনের আনন্দ ম্লান হতে বসেছে। খবর বিবিসি, এপি, রয়টার্স, এএফপি, দ্য গার্ডিয়ান ও সিএনএনের।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে। এমনকি শিশুরাও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে টানা তিন দিন রেকর্ড সংক্রমণের পর ১৮ ডিসেম্বর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন ৯০ হাজার ৪১৮ জনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর রেকর্ড ৯২ হাজার রোগী শনাক্ত হয়। লন্ডনের মেয়র সাদিক খান ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়াকে ‘বড় ঘটনা’ হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন। ইউরোপের দেশ ফ্রান্স ও জার্মানি ভ্রমণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ওমিক্রন ধরনের বিস্তার ঠেকাতে জার্মানি ব্রিটিশ ভ্রমণকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে ব্রিটিশ নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা হলেও যেসব জার্মান নাগরিক ব্রিটেনে আছেন, তারা নিজ দেশে আসতে পারবেন। এক্ষেত্রে জার্মান নাগরিকদের করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে এবং জার্মানিতে পৌঁছানোর পর দুই সপ্তাহ তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের এসবের প্রয়োজন নেই। এছাড়া ডেনমার্ক, ফ্রান্স, নরওয়ে ও লেবাননকে জার্মানি উচ্চঝুঁকির তালিকায় রেখেছে এবং দেশটি থেকে আসা ভ্রমণকারীদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
ফ্রান্সে নববর্ষ উদ্যাপনে কনসার্ট ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জনগণকে বড় জমায়েত এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। এছাড়া রেস্তোরাঁ ও দূরপাল্লার পণপরিবহণে প্রবেশের ক্ষেত্রে টিকার সব ডোজ নেওয়ার প্রমাণপত্র দেখাতে বলা হয়েছে। নেদারল্যান্ডস সরকার বড় বড় শহরে লকডাউন ঘোষণা করেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট্টে বলেছেন, ‘এছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।’ লকডাউনের আওতায় নেদারল্যান্ডসে নিত্যপ্রয়োজনীয় ছাড়া অন্যসব পণ্যের দোকান, পানশালা, ব্যায়ামাগার, সেলুন এবং অন্যসব জনসমাগমের জায়গাগুলো জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। নেদারল্যান্ডসের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথের তথ্য অনুযায়ী, মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে ২৯ লাখের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনায় মারা গেছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ। বর্তমানে দেশটিতে ওমিক্রন দ্রুত ছড়াতে শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। নতুন করে ৮৫ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু নিউইয়র্কেই ২২ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটির জনগণের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার কারণে গুরুতর অসুস্থতা ঠেকাতে কার্যকর বুস্টার ডোজ। এ কারণে বিভিন্ন দেশের সরকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে গতিও বাড়িয়েছে।
শীতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে : যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রমক রোগবিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, বড়দিনের ছুটিতে সাধারণ মানুষ ভ্রমণে বের হলে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়তে পারে। গত ১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন এনবিসির মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ সতর্কবার্তা দেন। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই, ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা অনেক বেশি। বিশ্বজুড়ে এ ধরন একপ্রকার তাণ্ডব চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ওমিক্রন যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত ছড়াতে শুরু করলে তা দেশজুড়ে বিদ্যমান স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। দেশটির হাসপাতালগুলোর ওপর এর প্রভাব পড়বে। ফাউসি বলেন, জনসাধারণকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া যারা এখনো টিকা ও বুস্টার ডোজ নেননি, তাদের এসব ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে ফাউসি বলেছিলেন, যারা টিকা নেননি, তারা সংক্রমিত ও গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
টেক্সাসে প্রথম মৃত্যু : যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে প্রথম কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশটির টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। স্থানীয় সময় গত ২০ ডিসেম্বর এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। টেক্সাসের হ্যারিস কাউন্টির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এবিসি নিউজকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রে অমিক্রন ধরনে এটাই প্রথম মৃত্যু বলে ধারণা করা হচ্ছে। অমিক্রনে আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বয়স পঞ্চাশের মতো। তিনি টিকা নেননি। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) গত ২০ ডিসেম্বর জানিয়েছে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যাঁদের করোনা শনাক্ত হয়েছে, সেসব নমুনার জিনগত রূপ বিশ্লেষণ করে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, এসব রোগীর মধ্যে ৭৩ শতাংশ অমিক্রন ধরনে আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে অমিক্রনের প্রকোপ আরও বেশি। দেশটির উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণ ও মধ্য-পশ্চিম অঞ্চলে নতুন করে যেসব মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি অমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন।
১০৬ দেশে ছড়িয়েছে অমিক্রন : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, করোনাভাইরাসের ধরনগুলোর মধ্যে প্রভাব বিস্তারকারী ধরন হিসেবে বিবেচনা করা হয় ডেলটাকে। কিন্তু নতুন ধরন অমিক্রনের সংক্রমণও বাড়ছে এবং এটিও ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গত ২১ ডিসেম্বর এসব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। তারা বলছে, এ পর্যন্ত ১০৬ দেশে ছড়িয়েছে অমিক্রন। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ডব্লিউএইচও বলছে, বিশ্বজুড়ে ডেলটার সংক্রমণ কমছে, বাড়ছে অমিক্রনের সংক্রমণ। এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ডেলটার সংক্রমণ ছিল ৯৯ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি সপ্তাহে সেটা কমে হয়েছে ৯৬ শতাংশ। আর অমিক্রনের সংক্রমণ গত সপ্তাহে ছিল ০.৪ শতাংশ। চলতি সপ্তাহে তা বেড়ে হয়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্প্রতি যে তথ্য পাওয়া যায়, তা থেকে এটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, ডেলটার চেয়ে অমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ছে এবং এটি দ্রুত ছড়াচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে এটাও উল্লেখ করা হচ্ছে, এর সংক্রমণ স্থানীয়ভাবে ছড়াচ্ছে। এ ছাড়া যাঁদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা ভালো, তাঁদের মধ্যেও এর সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে অমিক্রন নিয়ে নতুন তথ্য এসেছে। এই দুটি দেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গুরুতর অসুস্থ কম হলেও করোনার এ ধরনের কারণে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে।
Posted ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh