বাংলাদেশ ডেস্ক : | শুক্রবার, ৩০ জুন ২০২৩
মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ির দাম এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে বছরওয়ারি সবচেয়ে বেশি কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যবিষয়ক সমিতি ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব রিয়েলটরসের (এনএআর) সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। খবর সিএনএন। গত মাসে বাড়ির মধ্যবর্তী বিদ্যমান মূল্য (মিডিয়ান সেল প্রাইস) ছিল ৩ লাখ ৯৬ হাজার ১০০ ডলার, যা এক বছর আগের তুলনায় ৩ দশমিক ১ শতাংশ কম। ২০১১ সালের ডিসেম্বরের পর বছরওয়ারি বাড়ির দাম কমার হার এতটা নিচে নামেনি। বিভিন্ন ধরনের বাড়ির মধ্যে একক পরিবারের জন্য বাড়ি, টাউনহোম, কন্ডোমিনিয়াম ও কো-অপসের দাম এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। তবে বছরওয়ারি বিক্রয় ২০ দশমিক ৪ শতাংশ কম ছিল।
এছাড়া ঋতুগতভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ বার্ষিক বিক্রির পরিমাণ এক বছর আগের ৫৪ লাখ ইউনিট থেকে মে মাসে ৪৩ লাখে নেমে এসেছে। তবে বছরজুড়ে এখনো বন্ধকি সুদের হারে অস্থিরতা বিরাজমান-গড় হার ৬ দশমিক ৯ থেকে ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করেছে, যা এপ্রিলে মোটামুটি স্থির ছিল। এনএআরের প্রধান অর্থনীতিবিদ লরেন্স ইউন বলেন, বন্ধকি সুদের হার ব্যাপকভাবে বাড়ি বিক্রির ওপর প্রভাব ফেলে।
কয়েক মাসের স্থির হারের কারণে ধারাবাহিকভাবে বেশকিছু বাড়ি বিক্রি হয়। বাড়ির দামে অঞ্চলভেদে পার্থক্য ছিল। গত বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলের দিকের বাড়িগুলোর দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে (৫ দশমিক ৭ শতাংশের নিচে)। দক্ষিণাঞ্চলে বাড়ির দাম কমেছে ২ দশমিক ৭ শতাংশের নিচে। কিন্তু গত বছর থেকে উত্তর-পূর্বে ২ দশমিক ৫ শতাংশ ও মধ্যপশ্চিমে ১ দশমিক ১ শতাংশের ওপরে বেড়েছে বাড়ির দাম।
মে মাসের শেষে হাউজিং ইনভেন্টরির পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট, যা এক বছর আগের তুলনায় ৬ দশমিক ১ শতাংশ কম। মহামারীর আগে বাজারে প্রায় দ্বিগুণ অবিক্রীত বাড়ি ছিল বলে উল্লেখ করেন লরেন্স ইউন।
হাউজিং ইনভেন্টরি বলতে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট আবাসন বাজারে বিক্রির জন্য উপলব্ধ বাড়ির সংখ্যাকে বোঝায়। বেশি পরিমাণ হাউজিং ইনভেন্টরি মানে বাজারে চাহিদা বা ক্রেতার তুলনায় বিক্রির জন্য বেশি বাড়ি পাওয়া যায়। যদি বাজারে কোনো নতুন বাড়ি যুক্ত করা না হয়, তাহলে বর্তমান গতির ওপর ভিত্তি করে বিদ্যমান সব বাড়ি বিক্রি করতে প্রায় তিন মাস সময় লাগবে বলেও উল্লেখ করেন ইউন।
তিনি আরো বলেন, ‘যদিও কম ইনভেন্টরির কারণে বিদ্যমান বাড়ি বিক্রয়ে খানিকটা স্থবিরতা বিরাজ করছে। তবে এপ্রিল থেকে বাড়ি তৈরির পরিমাণ ২১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। তাই নতুন বাড়ি বিক্রির কার্যক্রম পুনরায় প্রাক-মহামারী স্তরের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সার্বিকভাবে প্রভাবিত করেছে অর্থনীতির গতিশীলতাকে।’ রিয়েলটর ডটকমের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল হেল বলেন, ‘মে মাসের আগে ক্রেতারা যখন বাড়ি ক্রয়ের চুক্তিতে আসছিলেন তখন তারা আরো নতুন বিকল্প দেখতে চাচ্ছিলেন। এপ্রিলে বন্ধকি সুদের হার তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল এবং বিক্রয়মূল্যও খানিকটা কমতে থাকে, অর্থাৎ বাড়িগুলো আগের তুলনায় কম দামে বিক্রি হতে শুরু করে। সাধারণ দামের এ হ্রাসের কারণে ক্রেতারা উপকৃত হন।’
Posted ৭:১১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ৩০ জুন ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh