বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা নিয়ে গিয়ে সময় পেরিয়ে অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে পর্যটন ও ব্যবসায়িক ভিসায় গিয়ে অনেকেই দেশে ফেরেন না। এই সমস্যা কমাতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে মার্কিন সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নির্দিষ্ট কিছু দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে ভিসার আবেদন করতে গিয়ে জমা রাখতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার মতো অর্থ—একটি ‘ভিসা বন্ড’ হিসেবে।
এই প্রস্তাবিত নিয়মে বলা হচ্ছে, কিছু নির্দিষ্ট দেশের পর্যটন ও ব্যবসায়িক ভিসাপ্রার্থীদের ১৫,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৮ লাখ) বন্ড জমা দিতে হতে পারে। পরিকল্পনাটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হতে পারে আগামী ১২ মাসের জন্য। মূলত যেসব দেশের নাগরিকরা ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যাওয়ার প্রবণতায় রয়েছে, তাদের জন্যই এই কড়াকড়ি চিন্তা করা হচ্ছে।
এই নিয়ম চালুর পেছনে যুক্তি হিসেবে মার্কিন প্রশাসন বলছে, বন্ডের টাকা জমা রাখার মাধ্যমে আবেদনকারীদের মধ্যে ভিসার শর্ত মেনে চলার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হবে। কেউ যদি নির্ধারিত মেয়াদের পরও যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যান, তবে তার জমা রাখা অর্থ পুরোপুরি বা আংশিক বাজেয়াপ্ত করা হবে। আর যদি নির্দিষ্ট সময় শেষে আবেদনকারী নিজ দেশ ফিরে যান, তাহলে সেই অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা মূলত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পিত হলেও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও। এর মাধ্যমে অভিবাসন ব্যবস্থার কার্যকারিতা বাড়ানো এবং ভিসার অপব্যবহার রোধ করাই মূল লক্ষ্য। এতে কিছু দেশের নাগরিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে, যাতে তারা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থান না করেন।
তবে এই নতুন নিয়ম নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। একদিকে সমর্থকরা বলছেন, এটি মার্কিন অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর করে তুলবে। অন্যদিকে সমালোচকরা এটিকে বৈষম্যমূলক নীতি বলে আখ্যা দিয়েছেন। তারা বলছেন, দরিদ্র বা মধ্যবিত্ত দেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য এই পরিমাণ অর্থ বন্ড হিসেবে দেওয়া অসম্ভব। এর ফলে অনেক বৈধ ভ্রমণপ্রত্যাশীও যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন না।
এছাড়া অনেকে এটিকে “মানবিকতার পরিপন্থী” বলেও অভিহিত করেছেন। কারণ, আন্তর্জাতিকভাবে পর্যটন ও ব্যবসার ক্ষেত্রে এমন বাধা তৈরি করা বৈশ্বিক সংযোগ ও অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক হতে পারে। তথ্যসূত্র : সিএনএন
Posted ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh