বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১
জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার-জেএমসিতে অনুষ্ঠিত হলো সামার ইসলামী শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটির সামার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথারীতি অনুষ্ঠিত হয় সামার ইসলামী শিক্ষা। গত ২৯ আগষ্ট রোববার সকালে জেএমসির মূল ভবনে সামার শিক্ষা সমাপনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এর আগে ক্লাশের শেষ দিকে বিভিন্ন শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুষ্ঠিত হয় নানাবিধ প্রতিযোগিতা। এসব প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয় পুরস্কার। শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন জেএমসি উইকএন্ড ও সামার স্কুলের প্রিন্সিপাল জেএমসির পেশ ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ, জেএমসি’র কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট ডাঃ মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, সেক্রেটারী মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, জয়েন্ট সেক্রেটারী মোঃ হুমায়ুন খান, কোষধ্যক্ষ বাবুল মজুমদার, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডাঃ ওয়াজেদ খান, জেএমসি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাবুল উদ্দিন, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, অফিস সহকারী আঃ ওয়াহিদ খান ও শাহজালাল মসজিদের বদরুল ইসলাম।
জেএমসির সেক্রেটারী মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী ও সামার স্কুল শিক্ষক মাসনুম আহমেদ, রাকিন আহসান, আফিয়া বেগ ও তাহিয়া চৌধুরী ছিলেন অনুষ্ঠান উপস্থাপনায়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের পর স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ। উইকএন্ড ও সামার স্কুলের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। সামার ইসলামী স্কুলে সন্তানদেরকে পাঠানোর জন্য অভিভাবকদেরকে ধন্যবাদ জানান মির্জা আবু জাফর বেগ। তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি সন্তানদেরকে ধর্মীয় শিক্ষা দান অত্যন্ত জরুরী। জেএমসি পরিচালনা কমিটির প্রেসিডেন্ট ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদেরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অভিভাবকদের প্রতি। ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ধর্মীয় শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। স্কুলের নিয়মিত শিক্ষার পাশাপাশি উইকএন্ড ও সামার ইসলামী স্কুলের উপর গুরুত্ব দেন তিনি। ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত রাখতে ইসলামী শিক্ষায় সন্তানদেরকে শিক্ষিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন। এজন্য তিনি অভিভাবকদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান ডাঃ রহমান।
সেক্রেটারী মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী জেএমসি’র বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রমের উল্লেখ করেন। সন্তানদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে ধর্মীয় শিক্ষা বড় ভূমিকা পালন করে থাকে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সামার স্কুলের সকল সমাপনীর জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরকে ধন্যবাদ জানান মঞ্জুর চৌধুরী। ১৯৯৪ সাল থেকে পরিচালিত জেএমসির সামার স্কুলে এবারো অংশ নেয় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। গত ৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া দু’মাসের এ খন্ডকালীন ধর্মীয় শিক্ষার কার্যক্রমে অংশ নেন ১৯জন শিক্ষক। তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে কোমলমতি এসব শিক্ষার্থীদেরকে সঠিকভাবে পবিত্র কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি, নামাজ, রোজা এবং ধর্মীয় অন্যান্য আচার আচরণ শিক্ষা দেন।
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার ছাড়াও চতুর্থ পুরস্কার প্রদান করেন সামার স্কুলের শিক্ষকগণ। এরা হলেন, মাওলানা শাহেদ আহমেদ, শাহ এহসানুল ইসলাম, তাহেরা সুলতানা, মাহমুদা বেগম, হানিয়া মির্জা বেগ, মাসনুন আহমেদ, ফাতেমা পাটওয়া, মিসেস শাহিদা, হাফিজ মামুনুর রশীদ, আফিয়া বেগ, আবিরা হোসেইন, হাফিজ রাকিন আহসান ও নাসরিন বারাস কার। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং তরজমা করেন নাজারা এ গ্রুপের মোহাম্মদ সুলতান ও মোহাম্মদ ওসমান। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বিশেষ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ।
Posted ৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh