চলতি বছরে ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্ট গ্রেফতারের সংখ্যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইউএস ইমিগ্রেশন এন্ড কাষ্টমস এনফোর্সমেন্ট বা আইস, যা ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ে বার্ষিক গড় গ্রেফতার সংখ্যার অর্ধেক। ওয়াশিংটন পোষ্টের এক রিপোর্ট অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণ করার পর অধিকাংশ ডিপোর্টেশনের ক্ষেত্রে ১০০ দিনের স্থগিতাদেশকে একজন ফেডারেল জজ আইনবিরুদ্ধ উল্লেখ করে সেই আদেশের কার্যকারিতা বন্ধ করার পর আইস কর্তৃক অবৈধ ইমিগ্রান্ট গ্রেফতার বৃদ্ধি পেলেও তা ঢালাও গ্রেফতারের পর্যায়ে যায়নি। আইস এর এনফোর্সমেন্ট এন্ড রিমোভাল অপারেশনস গত সেপ্টেম্বরে সমাপ্ত আর্থিক বছরে প্রায় ৭২ হাজার প্রশাসনিক গ্রেফতার করেছে, যা ট্রাম্পের শেষ বছরে অর্থ্যাৎ ২০২০ সালে ছিল ১ লাখ ৪ হাজার। ট্রাম্পের মেয়াদে ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তিন বছরে বার্ষিক গড়ে ১ লাখ ৪৮ হাজার অবৈধ ইমিগ্রান্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অবৈধ ইমিগ্রান্টদের গ্রেফতার ও ডিপোর্টেশনের ক্ষেত্রে ট্রাম্প আমলের কঠোরতার পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এ সংক্রান্ত পদক্ষেপকে ইমিগ্রান্ট বান্ধব বলা হলেও টেক্সাস ও লুইজিয়ানার মত রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত স্টেটগুলোতে কঠোর সমালোচনা করা হচ্ছে এবং সেখানকার ফেডারেল আদালত সরকারকে ইমিগ্রান্ট পাকড়াও করতে বাধ্য করার জন্য লড়ছে। অন্যদিকে বামঘেঁষা ইমিগ্রেশন অধিকার প্রবক্তারা নতুন ইমিগ্রান্টদের দ্রুত সীমান্তের ওপারে ঠেলে দেয়ার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইমিগ্রেশন নীতিকে অধিকতর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন উপায়ে প্রয়োগ করার জন্য বললেও বাস্তবে তা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। আইস এর এক হিসাবে দেখা যায় এনফোর্সমেন্ট এন্ড রিমোভাল অপারেশনস এর ৬,০০০ সদস্য বার্ষিক প্রায় ১২ জন আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টকে গ্রেফতার করে। এক দশক আগে ২০১১ সালে আইস ৩২২,০৯৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়, যা ২০২১ এর গ্রেফতার সংখ্যার সাড়ে চার গুণ বেশি।