বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০৬ জুন ২০২৪
প্রতীকি ছবি
মুসলমানদের প্রধান দু’টি ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদুল আজহা অন্যতম। আল্লাহ কর্তৃক তার নবী হযরত ইব্রাহিমকে (আঃ) প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ:) কে কুরবানির আদেশ দেয়ার স্মৃতি বিজরিত মহান জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখে সামর্থবান মুসলমানদের আল্লাহর নামে পশু কুরবানী করা ওয়াজিব। ইসলামের যে পাঁচটি মূলস্তম্ভ রয়েছে সেগুলোর অন্যতম পবিত্র হজ্বও এই পবিত্র জিলহজ্ব মাসেই অনুষ্ঠিত হয় এবং কুরবানি দেয়া হজ্ব পালনের একটি শর্ত।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন রোববার উত্তর আমেরিকায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। আমেরিকায় বাংলাদেশের মতো যেখানে সেখানে পশু কুরবানি করার অনুমোদন না থাকায় প্রকাশ্যে কেউ ইচ্ছা করলেই কুরবানি দিতে পারেন না।
অধিকাংশ প্রবাসী বাংলাদেশী মুসলমান স্বদেশে নিজ পরিবারের তত্ত্বাবধানে পশু কুরবানী দিয়ে থাকেন। এজন্য কুরবানী ঈদের আগে মানি র্যামিট্যান্স কোম্পানীগুলোতে দেশে অর্থ প্রেরণের জন্য ভীড় করেন প্রবাসীরা। এরপরও অনেকে সীমিত সুযোগের মধ্যে প্রবাসে কুরবানী দিয়ে থাকেন। স্থানীয় গ্রোসারী এবং লাইভ পোল্ট্রি ফার্মগুলোতে কুরবানীর পশুর জন্য অর্ডার দেয়া হয়।
গ্রোসারিতে দেয়া অর্ডার অনুযায়ী ঈদের নামাজের পর কুরবানির মাংস সংগ্রহ করে থাকেন কুরবানি দাতাগণ। এখানে কুরবানির পশু দেখার কোন সুযোগ থাকে না। পক্ষান্তরে লাইভ পোল্ট্রি ফার্মগুলোতে কুরবানির পশু পছন্দমাফিক বাছাই করা যায়। এবারও ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশে ও প্রবাসে কুরবানির প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশী মালিকাধীন বিভিন্ন ফার্ম ও গ্রোসারিগুলো কুরবানির অর্ডার নেয়া শুরু করেছে এবং ব্যাপক সাড়াও পাচ্ছেন তারা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গরু, ছাগল ও ভেড়ার মূল্য অনেক বেশি। মূল্য বেশি হলেও গতবারের তুলনায় কুরবানির অর্ডার বেশী পড়ছে বলে গ্রোসারি মালিকরা জানিয়েছেন। বাংলাদেশি মালিকাধীন ফার্ম ও গ্রোসারির মালিক ও কর্মচারীদের সাথে আলাপ করে জানা যায় যে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রস্তুতির কথা।
Posted ২:০৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৬ জুন ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh