বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রভাবিত করতে সক্রিয় ১১ হাজারের বেশি রাজনৈতিক স্বার্থ গোষ্ঠী। যারা এরই মধ্যে এই নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিতে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে ২ লাখ কোটি টাকা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে অর্থের ওপর নির্ভরশীল। হোয়াইট হাউস এবং কংগ্রেসে প্রার্থীদের নির্বাচনের জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয়, তার কোনো আইনি সীমা নেই। ফলে যখন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা ব্যাপকভাবে বিভক্ত কোনো ভোটার গোষ্ঠীকে প্রভাবিত করার জন্য লড়াই করে তখন ভোটারেরা বিজ্ঞাপন, টেক্সট মেসেজ ও মেইলের স্রোতে ভেসে যায়।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনসিক্রেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা তথ্যানুসারে, টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন, তহবিল সংগ্রহের খ্যাপাটে প্রচেষ্টা এবং দ্বারে দ্বারে ভোটারদের কাছে যাওয়াসহ বিভিন্ন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে এখন পর্যন্ত ১৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
ওপেনসিক্রেটস বলছে, এই অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে প্রার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটিগুলোর থেকে এসেছে। মোট অর্থের ৯২ শতাংশই বিনিয়োগ করা হয়েছে এই উৎস থেকে। ফেডারেল নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত তথ্যানুসারে, ২০২৪ নির্বাচনে ফলাফল প্রভাবিত করতে সক্রিয় ১১ হাজারের বেশি রাজনৈতিক স্বার্থ গোষ্ঠী। এসব গোষ্ঠীর মধ্যে ইলন মাস্কের পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি অন্যতম। এ ছাড়া ছোট ছোট আরও হাজারো গোষ্ঠী আছে যারা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে বিপুল বিনিয়োগ করেছে।
ওপেনসিক্রেটসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করতে সংশ্লিষ্ট দলগুলোর তহবিল সংগ্রহকারী পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটিগুলো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। এসব কমিটির মধ্যে মধ্যে ডেমোক্র্যাটদের ‘অ্যাক্টব্লু’ ও রিপাবলিকানদের ‘উইনরেড’ অন্যতম। এই দুটি কমিটি প্রায় ১১ দশমিক ৩ কোটি ডলার অনুদান সংগ্রহ করেছে এবং অন্যান্য কমিটিতে বিতরণ করা হয়েছে সাড়ে ৪০০ কোটি ডলার।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম রিপাবলিকান পার্টি এবারের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে যে পরিমাণ তহবিল সংগ্রহ করেছে তা তাঁর আগেই দুইবারের নির্বাচনে সংগৃহীত তহবিলের চেয়ে অনেক বেশি। এবারে ট্রাম্প দেশটির ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে অনুদান বেশি পেয়েছেন, সাধারণ জনগণের কাছ থেকে কম। ট্রাম্পকে সমর্থনের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি অর্থ জুগিয়েছেন ইলন মাস্ক, মিরিয়াম অ্যাডেলসন এবং টিমোথি মেলন।
তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের চেয়ে অবশ্য এগিয়ে আছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস। তিনি ধনাঢ্য সমর্থক এবং সাধারণ দাতাদের কাছ থেকে প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করেছেন। কমলা হ্যারিস তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যয় করেছেন ৮৭৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন, যেখানে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প ব্যয় করেছেন মাত্র ৩৫৫ মিলিয়ন ডলার।
Posted ১২:৪৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh