বাংলাদেশ অনলাইন : | বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
পুরোনো ছবি
ইরানের সংসদের জ্যেষ্ঠ সদস্য মুজতবা জোননুরি সোমবার জানিয়েছেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের কাছে ৩টি শর্ত পাঠিয়েছেন। যা পূরণ হলে আলোচনায় ফিরতে প্রস্তুত থাকবে ওয়াশিংটন।
জোননুরির এই বক্তব্য ইরান ইন্টারন্যাশনালের গত শুক্রবারের প্রতিবেদনকে কার্যত নিশ্চিত করেছে। ওই প্রতিবেদনে সূত্রের বরাত দিয়ে একই তথ্য জানানো হয়েছিল।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জোননুরি বলেন, ট্রাম্প সৌদি যুবরাজ বিন সালমানের মাধ্যমে আলোচনায় ফেরার জন্য ৩টি শর্ত দিয়েছে। যেগুলোর কোনোটিই যৌক্তিক নয়।
ওয়াশিংটনের দীর্ঘদিনের দাবি হলো, ইরানকে সম্পূর্ণভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধ করতে হবে, মধ্যপ্রাচ্যে সশস্ত্র মিত্রদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে হবে এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে কঠোর সীমাবদ্ধতা মানতে হবে।
তেহরান শুরু থেকেই এসব শর্তকে ‘আলোচনার অগ্রহণযোগ্য ভিত্তি’ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
জোননুরি বলেন, ‘এগুলো আমাদের ধ্বংসের পূর্বশর্ত। প্রকৃত অর্থে গিভ অ্যান্ড টেক আলোচনায় তারা বসলে এবং সৎ উদ্দেশ্য প্রমাণ করতে পারলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা যদি অঞ্চলে আমাদের ডানা ছেঁটে দেয়, তাহলে আমাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে তাদের সময় লাগবে না। আপনি ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করুন, তাহলে ইসরায়েল নিজেই ভেঙে পড়বে—আমাদের আলাদাভাবে কোনো ‘প্রতিরোধ আন্দোলনকে’ সমর্থন করতে হবে না।’
ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। বলেন, ‘কোনো যুক্তি আছে কি আমাদের মিসাইল প্রোগ্রাম বন্ধ করতে বলার বা রেঞ্জ ৩০০ কিলোমিটারে সীমাবদ্ধ করার?’
এদিকে গত বৃহস্পতিবার এক ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, তেহরান না কি রিয়াদের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করছে; এমন খবর ‘ইরানের মর্যাদার পরিপন্থি’ এবং ভিত্তিহীন।
Posted ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh