নিউইয়র্কে বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন করেছে সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয়। স্থানীয় মেরী লুইস একাডেমি ভবন প্রাঙ্গণে গত ১৩ মে জাহাঙ্গীরনগর অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকার উদ্যোগে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব ইউএসএ, সম্মিলিতভাবে দিনব্যাপী এই আয়োজন করে।

মঙ্গল শোভাযাত্রা দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ করা হয়। উক্ত আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ভারপ্রাপ্ত কনস্যাল জেনারেল নাজমুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাপ্তাহিক বাঙালী পত্রিকার সম্পাদক কৌশিক আহমেদ এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত আইনজ্ঞ ও সমাজকর্মী এসএম আব্রাহাম লিংকন।

সব বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইদের সম্মিলিত উদ্বোধনী সংগীতের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র সভাপতি শমিত মন্ডল এবং সাধারণ সম্পাদক দূররে মাকনুন নবনী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাঈদা আক্তার লিলি, চট্টগ্রাম অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাবিনা শারমিন নিহার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র সাধারণ সম্পাদক আসলাম আহমাদ খান এবং শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব ইউএসএ সভাপতি মিজানুর রহমান। বাংলা নাট্যাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য রেখা আহমেদ এবং করোনাকালীন বাংলাদেশি কমিউনিটি সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য টিভিএন২৪-কে বিশেষ সম্মাননা নববর্ষ পদক প্রদান করা হয়। টিভিএন২৪-এর পক্ষ থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন সিইও আহমদুল বারো ভূঁইয়া পুলক এবং কো-ফাউন্ডার হাবিব রহমান।

সাংস্কৃতিক পর্বে প্রথমেই ছিল প্রজন্ম জাহাঙ্গীরনগরের বিশেষ পরিবেশনা। তারপর একে একে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজস্ব পরিবেশনা নিয়ে হাজির হন। সবশেষে জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী আরজিন কামালের সংগীত পরিবেশনা মধ্যরাত পর্যন্ত চলে।

সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা নববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন শমিত মন্ডল, সদস্য সচিব দূররে মাকনুন নবনী, যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইদা আকতার লিলি, সাবিনা শারমিন নিহার, আব্দুল্লাহ জাহিদ এবং মিজানুর রহমান, সাংস্কৃতিক কমিটির দায়িত্বে ছিলেন মেরীস্টেলা আহমেদ শ্যামলী, মোহাম্মদ নাসির উল্লাহ, শামীম আরা বেগম, তামান্না শবনম পাপড়ি, শারমিন আক্তার রেক্সোনা, গোলাম মোস্তফা, অনুপ দাস, আকলিমা রানা চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির দায়িত্বে ছিলেন খালেদ মনির জোসেফ ও লিটু আনাম, মঞ্চ পরিকল্পনায় আকতার আহমেদ ও সাইয়্যেদ মুহাম্মদ তাইয়্যেব, অভ্যর্থনার দায়িত্বে ছিলেন আশুতোষ সাহা, সুজিত পাল এবং মোহাম্মদ রহমান পলিন এবং সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ জামান মনির। অনুষ্ঠানে শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন প্রজন্ম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেজান আহমেদ, আর পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শামীম আরা বেগম ও গোলাম মোস্তফা।