নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ০৩ জুন ২০২১
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন জিল্লুর রহমান জিল্লু। পাশে নেতৃবৃন্দ।
গত ৩০ মে সন্ধ্যায় লার্গোডিয়া মেরিয়ট হোটেলের বিলাসবহুল বলরুমে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সুবর্ণজয়ন্তী কমিটি কর্তৃক আয়োজিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সুবর্ণজয়ন্তী কমিটির আহ্বায়ক, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন ও যুগ্ম আহ্বায়ক শরাফত হোসেন বাবুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অর্নার ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য এবং কেন্দ্রীয় সুবর্ণজয়ন্তী কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর বীরবিক্রম। প্রধান বক্তা ছিলেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এবং সুবর্ণজয়ন্তী কমিটির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জনপ্রিয় শিল্পী বেবি নাজনীন, সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম এ মালেক, বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপ প্রেস সচিব আশিক ইসলাম, সাবেক ডাকসু নেতা গোলাম মাওলা মানিক।
এই অনুষ্ঠান ছিল দুটো পর্বে বিভক্ত। একটি পর্ব ছিল দোয়া মাহফিল এবং আরেকটি পর্ব ছিল আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন যুবদল নেতা আমানত হোসেন আমান এবং বিশেষ দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। নিউইয়র্ক ছাড়া এই অনুষ্ঠানে অন্যান্য স্টেটের নেতাকর্মীরাও যোগদান করেন। যার মধ্যে ছিল ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, সাউথ ও নর্থ জার্সি, কানেকটিকাট, বোস্টন, ওয়াশিংটন ডিসি, মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়ার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ১৪ স্টেট, লন্ডন এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে নেতারা জুমে অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষক নন, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষণজন্মা নেতা এবং জাতি-রাষ্ট্র গঠনের রূপকার।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জীবনে তিনটি সফর সমারোহ ছিল। তিনি সৈনিক হিসেবে সফল ছিলেন, রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে সফল ছিলেন এবং ২৫মার্চ রাতে রিভোল্ট করে আমাদের দেশ দিয়েছেন। তারই নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।
ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর বিক্রম বলেন, জিয়াউর রহমান কোনো অখ্যাত মেজর ছিলেন না। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে আমাদের দেশ দিয়েছেন। আমরা কি দুর্ভাগা জাতি যে নেতা আমাদের দেশ দিয়েছেন। আমরা কী দুর্ভাগা জাতি যে নেতা আমাদের দেশ দিয়েছেন। আমরা কী দুর্ভাগা জাতি যে নেতা আমাদের দেশ দিয়েছেন শত্রুরা তাকে মেরে ফেলেছে। সে জন্য আজকে বাংলাদেশের এই অবস্থা।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কামাল সাইদ মোহন, ইঞ্জিনিয়ার হারুন, সাবেক ডিস্ট্রিক্ট জাজ নুর মোহাম্মদ, তুলারাম কলেজের সাবেক ভিপি মোহাম্মদ মহসিন, ফ্লোরিডা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা মোঃ দিনাজ খান, বোস্টন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র সহসভাপতি সোহরাব এইচ খান, কানেকটিকাট বিএনপি’র আহ্বায়ক তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু, নিউজার্সি (নর্থ) বিএনপি’র সভাপতি সৈয়দ জুবায়ের আলী, নিউজার্সি (সাউথ) বিএনপির আহ্বায়ক গিয়াস পাঠান। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম ভূইয়া, আব্দুস সবু, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মোশারফ হোসেন সবুজ, যুগ্ম আহ্বায়ক এবাদ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, জাকির এইচ চৌধুরী, আবু সাঈদ আহম্মেদ, মাকসুদুল হক চৌধুরী, তারিক চৌধুরী দীপু, মিজানুর রহমান মিজান, আতিকুল হক আহাদ, আমানত হোসেন আমান, ফারুক হোসেন মজুমদার। অনুষ্ঠানে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির সিংহভাগ নেতা অনুপস্থিত ছিলেন।
Posted ৩:২৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৩ জুন ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh