বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২০
কমিউনিটির পরিচিত মুখ, কুইন্স কলেজের খন্ডকালীন অধ্যাপক ও লং আইল্যান্ড হাই স্কুলের শিক্ষক, চট্টগ্রাম সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য এবং নিউইয়র্ক সিটির স্কুলগুলোতে কারিকুলামে বাংলা ভাষাকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোক্তা অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ গত ৩০ নভেম্বর লং আইল্যাণ্ড জুইশ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ৩ মেয়ে, আত্মীয়স্জন ও গুণাগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর নামাজে জানাজা গত ১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রুকলিনের চার্চ ম্যাকডেনাল্ডে চট্টগ্রাম সমিতি ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় ইমামতি করেন ব্রুকলিন ইসলামিক সেন্টারের ইমাম মাওলানা জুনাইদ হোসাইন। পরে তাকে নিউ জার্সিও মার্লবরো গোরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, আবুল কালাম আজাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাষ্টার্স ডিগ্রি নেয়ার পর চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে পেশাজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি লিবিয়ায় শিক্ষকতার চাকুরি করেন এবং ১৯৮২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।
অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের পক্ষে সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন খান ও সাধারন সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন । উল্লেখ্য, আবুল কালাম আজাদ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্যে অনার্স সম্পন্ন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকত্তর করে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে প্রভাসকের মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে লিবিয়া গিয়ে সেখানেও শিক্ষাদান করেন। যুক্তরাষ্ট্রে এসেও তিনি শিক্ষাকেই জীবনের ব্রত হিসাবে গ্রহন করেন।
অধ্যাপক আজাদ নিউইয়র্কের শিক্ষাকার্যক্রমে বাংলাভাষা সংযোজনে অনবদ্য ভূমিকা পালন করেন। মরহুম আজাদ নিউইয়র্কের সমাজ সেবামূলক কার্যক্রমে সক্রিয় থেকে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকান্ডে যুক্ত হয়ে সমাজ ও সংস্কৃতির সেবায় আত্মনিবেদিত ছিলেন আজীবন।
Posted ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh