নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০২২
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে সৃষ্ট সমস্যা কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘সোনালী এক্সচেঞ্জ’ এখন থেকে ভালো রেট দেওয়া শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত বিনিময় মূল্য অনুসারে প্রতি এক ডলারের বিপরীতে গ্রাহক পাচ্ছেন ১১০ টাকা।
এছাড়া বাংলাদেশে প্রতি এক’শ টাকায় আরো ২.৫ টাকা যোগ হবে। বাজারে ডলারের ওঠানামার সাথে বিনিময়মূল্য সমন্বয় করা হবে। এটা ঠিক যে, বিভিন্ন কারনে কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর মধ্যে ডলারের বিনিময়ে টাকার রেট সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিলো না । বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেক প্রবাসীই এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোতে ছুটে বেড়িয়েছেন একটু ভলো রেট পাওয়ার প্রত্যাশায়। বর্তমান সময়ে এই অস্থির অবস্থা বেশ ভালোভাবেই সামলে নেয়া সম্ভব হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান হয়েও ‘সোনালী এক্সচেঞ্জ’ আগামীতে প্রবাসীদের ভালো রেট দিতে পারবে বলে জানিয়েছে। মনে রাখতে হবে বিশ^স্ততা ও নিরাপত্তার জায়গায় এ প্রতিষ্ঠানটি কিন্তু প্রবাসীদের বন্ধু হিসেবে অতীতেও ছিলো আর ভবিষ্যতেও থাকবে। করোনার ভয়াবহতার মধ্যেও প্রবাসীদের দীর্ঘদিন সর্বোচ্চ রেট ও ভালো সেবা দিয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই অস্থির সময়ে কিছুদিন প্রতিষ্ঠানটির অনেক গ্রাহকই হয়তো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়ে ছিলেন রেটের ব্যবধানের কারনে।
কিন্তু বর্তমানে আর এই ব্যবধান নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। একটা বিষয় সকল প্রবাসী ভাই-বোনের একটু বিবেচনা করা দরকার। সেটি হলো, সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সোনালী এক্সচেঞ্জ কিন্তু বাংলাদেশে অবস্থানরত সকল ব্যাংকে একই রেট দিয়ে থাকে। অর্থাৎ একাউন্ট ডিপোজিট, ক্যাশ পিকআপ বা বিকাশ পেমেন্ট সবক্ষেত্রেই কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির রেট একই। নীতিগত কারনে নির্দিষ্ট কোন ব্যাংক বা একাধিক ব্যাংকে একটু বেশী রেট দিয়ে সোনালী এক্সচেঞ্জ গ্রাহক আকৃষ্ট করে না।
অন্যদিকে গ্রাহক স্বার্থে বিভিন্ন দোকান বা প্রতিষ্ঠানকে এজেন্সি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে না। সবসময় শাখা অফিস নিয়ে নিজস্ব স্বকীয়তায় সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয় এই প্রতিষ্ঠানটিকে। অনেক প্রতিক’লতার মধ্যেও কিন্তু সোনালী এক্সচেঞ্জ এগিয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা অর্থাৎ সকলস্তরের প্রবাসী ভাই-বোনদের ভালোবাসা আর বিশ^াসের ওপর ভর করে। প্রবাসীদের সেবা দিয়ে যদি একটি পেনিও লাভ হয় তা কিন্তু পরোক্ষভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত ভাই-বোনদের উন্নয়ন তথা বাংলাদেশের উন্নয়নেই ব্যয়িত হয়। আর এ প্রতিষ্ঠানের মালিক কিন্তু কোনো একক ব্যক্তি নয় বরং সকল দেশবাসী এবং আপনি নিজেও। তাই একান্তই আপনার নিজের প্রতিষ্ঠান মনে করে অতীতের মতো আগামীতেও সোনালী একচেঞ্জের পাশে থাকবেন এবং আপনার কষ্ঠার্জিত অর্থ দেশে পাঠাতে সোনালী এক্সচেঞ্জকেই মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করবেন- প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ আশাবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
Posted ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh