বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
কথায় আছে আকাশে চাঁদ উঠলে সবাই দেখে। তারপরও ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে মুসলিম কমিউনিটিতে বিতর্ক, বিভক্তি চলছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে এটা নতুন কিছু নয়। সবচেয়ে বেশী বিতর্ক হয় ঈদুল ফিতরে চাঁদ দেখা নিয়ে। কিন্তু জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা যায় ঈদুল আযহার ১০ দিন আগে। জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৯ জিলহজ্ব অনুষ্ঠিত হয় হজ্ব। এবারো সৌদি আরব সরকার জিলহজ্বের চাঁদ দেখার পর পবিত্র হজ্ব ও ঈদুল আযহার তারিখ ঘোষণা করে।
সে অনুযায়ী বিশ্বের সকল দেশের মুসলমানগণ হজ্বের উদ্দেশ্যে গত ১৫ জুন শনিবার সমবেত হন আরাফাত ময়দানে। রীতি অনুযায়ী সেখানে তারা ঈদুল আযহা উদযাপন করেন ১৬ জুন, রোববার। সে অনুযায়ী সৌদি আরবকে অনুসরণকারী বিশ্বের সিংহভাগ মুসলিম দেশ ঈদুল আযহা উদযাপন করে ১৬ জুন, রোববার। চাঁদ দেখা সাপেক্ষেই ঈদ ও হজ্বের ঘোষণা দিয়ে থাকে সউদি আরব।
রাষ্ট্রীয় শক্তিশালী চাঁদ দেখা একটি কমিটি এ ব্যাপারে গ্রহণ করে থাকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। ভৌগলিক কারণে বিশ্বের বিভিন্ন গোলার্ধে ঘটে থাকে চাঁদ উঠার হেরফের । বাংলাদেশ সহ অনেক দেশই তাই সৌদি আরবের একদিন পরে সাধারণত ঈদ উদযাপন করে থাকে।
বিগত প্রায় এক দশক ধরে য্ক্তুরাষ্ট্রের মুসলমানরা সৌদি আরবকে অনুসরণ করে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করে আসছে। এ ক্ষেত্রে দু’চারটি ব্যতিক্রম থাকতে পারে। এর আগে প্রায় প্রতিবছরই বিশেষ করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের দিনক্ষণ নিয়ে বিতর্ক ও বিভক্তিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে নিউইয়র্ক সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন ও স্থানীয় মসজিদগুলোকে। মসজিদের ইমাম ও মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দদের মাঝে এ নিয়ে দেখা গেছে চরম বিরোধিতা।
পারস্পরিক বয়ান ও ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কার জ্ঞান কত গভীর তা নিয়ে সভা সেমিনার ও বাক বিতন্ডা লেগেই ছিলো। এসব নিয়ে ঈদের সিদ্ধান্ত নিতে গড়িয়ে যেতো গভীর রাত। যা সাধারণ মুসল্লিদের উদ্রেক ঘটায় বিরক্তির। চাঁদ দেখার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকার পরও একশ্রেনীর আলেম ওলেমা চাঁদ দেখতে না পাওয়ার অভিযোগ করে আসছেন। আর এসব কারণেই একাধিক দিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঈদের জামাত।
দীর্ঘ বিরতির পর এবার ঈদুল আযহাকে ঘিরে নতুন করে আবার উপসর্গ দেখা দিয়েছে পুরনো রোগের। আগে একই পরিবারে স্বামী-স্ত্রীকে দু’দিন ঈদ করতে দেখা গেছে এমন ঘটনাও ঘটেছে। এবছর নিউইয়র্ক সিটির একটি মসজিদের প্রেসিডেন্টের অনুসারীরা একদিন এবং সেক্রেটারীর অনুসারীরা পৃথক দিনক্ষণে ঈদ উদযাপন করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
ঈদের বিভক্তি শুধু মুসলিম কমিউনিটি নয় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশাসনেও দিচ্ছে ভিন্ন বার্তা। বিশেষ করে সন্তানদের স্কুল এবং বড়দের কর্মক্ষেত্রে ছুটি এবং ঈদ উপলক্ষে গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধার বিষয়টি নিয়ে বিব্রত হতে হচ্ছে। একাধিক দিনে ঈদ হলে প্রশাসনও পড়ে বিপাকে। ধর্মীয় উৎসব আয়োজন নিয়ে ব্যক্তি বিশেষের ইগুর অবসান প্রয়োজন বলে মনে করেন সাধারণ মুসল্লিরা।
Posted ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh