নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
অভিনয়ে চঞ্চল চৌধুরীর জুড়ি নেই, তার অভিনয় মানেই ভাল নাটক ও সিনেমার নিশ্চয়তা। ‘মনপুরা’ থেকে শুরু করে ‘আয়নাবাজি’, ‘দেবী’ প্রত্যেকটি সিনেমাই দর্শকনন্দিত হয়েছে, প্রতিটি সিনেমা বক্স অফিসে গড়েছে আয়ের নতুন রেকর্ড। ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের সিনেমা দেশের বাইরে বাণিজ্যিক ভাবে থিয়েট্রিক্যালি মুক্তি পাওয়া শুরু করেছে। এখানেও, এখন পর্যন্ত যত সিনেমা মুক্তি পেয়েছে তার মধ্যে সর্বোচ্চ আয় করা প্রথম ৩টি সিনেমার ২টিই চঞ্চল চৌধুরীর – ‘আয়নাবাজি’ এবং ‘দেবী’। এর মধ্যে ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দেবী’ সিনেমাটি দর্শকেরা এত বিপুল পরিমাণে পছন্দ করেছে যে এটি হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক বক্স অফিসে সর্বোচ্চ আয় করা বাংলাদেশি সিনেমা, যে রেকর্ড এখনো অক্ষুন্ন আছে।
চঞ্চল চৌধুরীর ‘পাপ পুণ্য’ দিয়ে আগামী ২০ মে ২০২২ আবার ফিরছেন বড় পর্দায়, প্রায় ৪ বছরের বিরতির পর। তাও আবার কোন পরিচালকের সিনেমা দিয়ে গিয়াস উদ্দিন সেলিম। এ দুজনের প্রথম সিনেমা ‘মনপুরা’ বাংলাদেশের ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ ব্যবসা সফল সিনেমাগুলির একটি। এখনও অনেকে ‘মনপুরা’ নিয়ে স্মৃতিকাতর হয়। এদিকে, সেলিম-চঞ্চলের সাথে ‘পাপ পুণ্য’ সিনেমায় আরো যুক্ত হয়েছেন এ প্রজন্মের তারকা নায়ক সিয়াম আহমেদ। এছাড়া নবাগত শাহনাজ সুমি, ১২ বছর পর অভিনয়ে ফেরা আফসানা মিমি, সব সময়ের প্রিয় ফজলুর রহমান বাবু, মামুনুর রশীদ, গাওসুল আলম শাওন মিলে এমন এক প্যাকেজ হয়েছে ‘পাপ পুণ্য’, যেটাকে বহুল প্রতীক্ষিত বলাটাই সবচেয়ে সঠিক। এখন এ বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা বক্স অফিসে পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে দিবে এটাই প্রত্যাশিত।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, “আমার বিশ্বাস “মনপুরা” ছবির মতোই উপভোগ্য হবে ‘পাপ পুণ্য’। কারণ, সেলিম ভাই একজন পরীক্ষিত পরিচালক। তা ছাড়া শুটিং করতে গিয়ে বুঝেছি, তাঁর এই সিনেমা সব শ্রেণির দর্শকের পছন্দ হবে।“ ‘পাপ পুণ্য’র সবচেয়ে যেটা এডভান্টেজ হচ্ছে, এ সিনেমা দেশের বাইরে মুক্তির ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই এক অবিশ্বাস্য রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। সিনেমাটি বাংলাদেশের সাথে একই দিনে আমেরিকার প্রায় ১০০ থিয়েটারে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সিনেমার আন্তর্জাতিক পরিবেশক প্রতিষ্ঠান ‘স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো’র প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব বলেন,”আজকে আন্তর্জাতিক বক্স অফিসে ভারতীয় সিনেমার এই যে দাপট, তার শুরুটা হয়েছিল কিন্তু অধিক সংখ্যক থিয়েটারে অধিক মানুষের কাছে তাদের সিনেমা নিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে যাতে তারা সহজেই পাশের কোন থিয়েটারে গিয়ে সিনেমাগুলি দেখে ফেলতে পারেন। আমেরিকায় প্রায় ১ মিলিয়ন বাংলাদেশি/বাংলা ভাষাভাষী মানুষ বসবাস করেন। আমরা তাদের প্রায় ৯০ ভাগ লোকের কাছাকাছি কোন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিচ্ছি ‘পাপ পুণ্য’। এ বিপুল সংখ্যক লোকের যত বেশি মানুষ বাংলাদেশের সিনেমা দেখতে ‘পাপ পুণ্য’ দিয়েই থিয়েটারে যাবেন তত দ্রুত আমরা পৃথিবীর একটি বৃহৎ সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করব।“ ‘পাপ পুণ্য’ মুক্তি উপলক্ষে আমেরিকার বাংলাদেশিদের মধ্যে ইতোমধ্যেই বেশ সাড়া পড়েছে। নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ব্রুকলিন, ব্রনক্স এ সিনেমাটির পোস্টার চোখে পড়ছে যা মানুষ বেশ আগ্রহ সহকারে দেখছে।
Posted ৪:৪৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh