নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকার আরাফা ইসলামিক সেন্টার-এআইসি’র মসজিদ আল আরাফার ফান্ড রেইজিং ২৩ অক্টোবর, শনিবার সন্ধ্যা ৭টায়। আরাফা ইসলামিক সেন্টার-এআইসি’র মসজিদ আল আরাফার ফান্ড রেইজিং ২৩ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যা ৭টায়। আরাফা ইসলামিক সেন্টারের বর্তমান মসজিদ ভবনে বার্ষিক ফান্ড রেইজিং ডিনারে বিশিষ্ট অতিথি বর্গ বক্তব্য রাখবেন।

জ্যামাইকার ৮৮-৪৯, ১৭৯ প্লেস মসজিদ আল আরাফার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ২০১৯ সালে। করোনা মহামারির কারণে নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু হয়েছে। জমি ক্রয়ের পর ১০ হাজার বর্গফুটের উপর মসজিদের পরিকল্পনার নকশার কাজ করেন অভিজ্ঞ একজন আর্কিটেক্ট। তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদটির ফাউন্ডেশনের শতভাগ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া স্টিলের কাজ শেষ হয়েছে ৯০ ভাগ। মসজিদ আল আরাফার ভেতর ও বাইরের কাজ সম্পন্ন করতে ১৬ লাখ ডলার প্রয়োজন। মসজিদ কমিটির তহবিলে বর্তমানে সাড়ে ৮ লাখ ডলার মওজুত আছে। মসজিদ নির্মাণ শেষ করে মুসল্লিদের ব্যবহার উপযোগী করতে আরো সাড়ে ৭লাখ ডলার প্রয়োজন। আর এই অর্থ সংগ্রহের জন্য আয়োজন করা হয়েছে ফান্ড রেইজিং ডিনার। আরাফা ইসলামিক সেন্টার পরিচালনা কমিটি ও ট্রাস্টিবোর্ডের পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ফান্ড রেইজিং ডিনারে অংশ নিতে। সেই সাথে তারা অনুরোধ জানিয়েছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার। ফান্ড রেইজিং ডিনারে প্রধান অতিথি ডাঃ মোহাম্মদ মুজাহিদ বিল্লাহ, বিশেষ অতিথি রায়হান জামান, গেস্ট অব অনার আরাফা ইসলামিক সেন্টারের চেয়ারম্যান আমির খান, প্রধান বক্তা দারুস সালাম মসজিদের ইমাম এম এ মুকিত, অতিথি বক্তা ইমাম হাফিজ জাফির আলী, শোয়ায়েব শেখ ও মুফতি সাঈদুর রহমান।

উল্লেখ্য, জ্যামাইকার ৮৮-৪৯ ১৭৯ প্লেসে সাড়ে ৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়বরাদ্দ সম্বলিত নিউইয়র্ক সিটির অন্যতম বৃহৎ ও অত্যাধুনিক আরাফা ইসলামিক সেন্টার মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মিত হতে যাচ্ছে। ৮ হাজার ৭শ বর্গফুট জমির উপর ৫ তলা বিশিষ্ট কমপ্লেক্সের প্রথম ধাপে ৩ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে। কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, নির্মাণ কাজ শেষ হলে এটি হবে কুইন্স এলাকায় অন্যতম বিরাট মসজিদ। মুসলিম ঐতিহ্যের প্রতীক ছাড়াও মুসলিম সভ্যতা আর আধুনিকতার নিদর্শন। এর মাধ্যমে মুসলিম কমিউনিটিতে নতুন এক দিগন্তের সূচনা হবে। মসজিদকে কেন্দ্র করে মুসলিম আবাসনসহ আর্থিক এবং সামাজিক সমৃদ্ধি ঘটবে। আশপাশ এলাকায় মুসলিম বান্ধব একটি পরিবেশ সৃষ্টি হবে। কর্মকর্তারা বলেন, নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর কাজ শেষ হতে প্রায় দুই বছর সময় লাগবে।

জানা গেছে যে, ৬৫ হাজার ডলার ব্যয় করে মসজিদের নকশা তৈরি করা হয়েছে। ২৫টি মসজিদ তৈরীর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে নির্মাণ কাজের দায়িত্ব। মসজিদ কমপ্লেক্সে পরিকল্পনায় রয়েছে পরুষ মহিলাদের পৃথক নামাজের স্থান, ইসলামিক স্কুল, লাইব্রেরি, সিনিয়র সিটিজেন সেন্টার, ফিউনারেলহোম, শিশুদের খেলার স্থান, প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় হবে মসজিদ স্পেস,তৃতীয় তলা হবে ক্লাসরুম। অজু এবং বাথরুমের পযাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে মসজিদটিতে। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মসজিদ আল-আরাফা। অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন মরহুম এসএম হায়দার আলী, আব্দুল ওয়াদুদ ও মরহুম আলাউদ্দিন চৌধুরী। ২০০৭ সালের ৩০ নভেম্বর প্রথম জুমা অনুষ্ঠিত হয় এ মসজিদে। ২০০৮ সালে মসজিদে তারাবির নামাজ এবং ঈদ জামাত চালু হয়। ২০১০ সালে চালু হয় সামার স্কুল। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে মসজিদের জমি ক্রয় সম্পন্ন হয়। ২০১৫ সালে উদ্যোগ নেয়া হয় নিজস্ব জমিতে একটি আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন মসজিদ নির্মাণের। উদ্যোগটি এখন সফলতার চুড়ান্ত পর্যায়ে।