বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগতদের সংখ্যা নজীরবিহীনভাবে বেড়ে যাওয়ায় সঙ্কট উত্তরণের জন্য সীমান্তে জড়ো হওয়া ইমিগ্রান্টদের তাদের নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য চুক্তিতে উপনীত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। সীমান্তে আগত বিদেশিরা যাতে সীমান্ত অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ অনুযায়ী এক ডজনের অধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চেষ্টা করবে। এর মধ্যে অন্যতম পদক্ষেপ হচ্ছে, মালবাহী ট্রেন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তের কাছে লাফিয়ে পড়া মাইগ্রেন্টদের এ ধরনের প্রচেষ্টা প্রতিহত করার জন্য চেকপয়েন্ট স্থাপন।
মেক্সিকোর বিভিন্ন স্টেশন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা দিয়ে চলাচলকারী মালবাহী ট্রেনে বিদেশিরা নিরাপত্তা প্রহরীদের দৃষ্টি এড়িয়ে উঠে পড়ে এবং সীমান্তের কাছাকাছি পৌছে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতে সাম্প্রতিককালে এ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে একদিকে ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে এ সুযোগ নিয়ে সীমান্ত এলাকায় লোকজনের সমাগম অনেক বেড়েছে, যা নিয়ন্ত্রণ করার মতো অবস্থা ও সুযোগ মেক্সিকোর নেই।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ম্যানুয়েল লোপেজ ওবরাডোর যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস এন্ড বর্ডার পেট্টল এর তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে প্রায় ১৪২,০০০ জন মাইগ্রেন্টকে আটক করা হয়েছে। সীমান্তের অপর পারে মেক্সিকো ভূখন্ডে জড়ো হওয়া বিদেশির সংখ্যা আরো বেশি।
কারণ উদ্ভুত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তপথ ও সেতু বন্ধ করে দিয়েছে এবং আগত মাইগ্রেন্টদের মেক্সিকোতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এছাড়া পরিস্থিতি সামলাতে হোয়াইট হাউজ প্রতিরক্ষা দফতর দক্ষিণ সীমান্তে ৮০০ সৈন্য মোতায়েন করেছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে ইউএস কাস্টমস এন্ড বর্ডার প্রটেকশন চলতি আর্থিক বছরে ২২ লাখ ইমিগ্রান্টের কাগজপত্র প্রক্রিয়া করেছে, যা গতবছরের ২৪ লাখের প্রায় কাছাকাছি সংখ্যা এবং অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় গত দুই বছর সীমান্ত অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশের সংখ্যা অধিক।
Posted ৫:২৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh