বাংলাদেশ ডেস্ক | শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪
আমদানির চাহিদা অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা না থাকায় বাজারে ডলার বিক্রির ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমে আসছিল। তবে ঈদের আগে কিছুটা চাঙা ছিল রেমিট্যান্স প্রবাহ। তাই ফের কিছুটা বেড়েছে রিজার্ভ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী- রিজার্ভ এখন ২ হাজার ১০ কোটি ডলারে (২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন) পৌঁছেছে। যেখানে গত মাসের ২৭ মার্চেও ছিল ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ডলার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঈদের আগে প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এছাড়া রপ্তানি প্রবাহও বেড়েছে। এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কিছুটা চাঙ্গা।
তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। এটি প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।
প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন অনেকটা শেষ প্রান্তে রয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল, ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাজারে প্রচুর ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া গত মাসে আকুর বিলও পরিশোধ হয়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম। এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কমছে।
Posted ৬:০০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh