নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ০৪ মার্চ ২০২১
পারসোনাল ইনজুরি মামলায় মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আদায় স্বাভাবিক হলেও ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন মামলায় সোয়া ৬ লাখ ডলার আদায় সত্যিই দুর্লভ। আর সেটি সম্ভব করলেন বাংলাদেশী এটর্নি এম মোস্তফা। গত ৮ জানুয়ারি ব্রুকলীনের ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন বোর্ডের জজ বানার্ড টোমির সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এটর্নি এম. মোস্তফা বাংলাদেশী এক আহত শ্রমিকের জন্য আদায় করেন এই অর্থ। উল্লেখিত অর্থের একাংশ ইতোমধ্যেই আহত ঐ শ্রমিক বুঝে পেয়েছেন। অবশিষ্ট অর্থ তিনি পাবেন ৮৬৪,৩২ ডলার করে ৫০০ সপ্তাহে। আহত ঐ শ্রমিক ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে ফুড ডেলিভারির সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন ব্রুকলীনে। তার সার্জারি করতে হয়েছিলো। তাছাড়া নিয়োগ কর্তার সাথে তার কাজের কোন প্রমাণ ছিলো না। তাকে নিয়োগকর্তা ক্যাশে পেমেন্ট করতেন। নিয়োগকর্তা অস্বীকার করেছিলো যে সে তার রেস্টুরেন্টে কর্মরত ছিলো। এই সব জটিলতার কারণে কোন ’ল ফার্ম তার মামলা গ্রহণ করেনি। এমতাবস্থায় ঐ অসহায় আহত শ্রমিক এটর্নি এম মোস্তফার কাছে গেলে তিনি তার পাশে দাঁড়ান। এটর্নি এম মোস্তফা ফাইল করেন দু’টি মামলা। একটি পার্সোনাল ও অপরটি ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন মামলা। পার্সোনাল ইনজুরি মামলায় সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ আদায় করে ঐ মামলা শেষ করেন। আর ওয়ার্কার্স কম্পসেশন মামলায় নিয়োগকর্তা অস্বীকার করেন যে, আহত শ্রমিক কখনো তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছে। এটর্নি মোস্তফা নানা শুনানির মাধ্যমে প্রমাণ করেন আহত ঐ শ্রমিক সেখানে কাজ করেছিলেন।
উল্লেখ্য ইতোপূর্বে এটর্নি এম মোস্তফা বাংলাদেশী এক পরিবারের লেড আক্রান্ত দুটি শিশুর জন্য আদায় করেন ২.৮৬ মিলিয়ন ডলার। তিনি আরো জানান, পারসোনাল ইনজুরি, ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন ও মেডিকেল ম্যাল প্র্যাকটিস এই তিনটি ক্ষেত্রে তিনি কাজ করে থাকেন। এ কারণে তিনি ভালভাবে জানেন, এই তিনটি ক্ষেত্রের সকল তথ্য। অনেকেই মনে করেন এটর্নির ধর্ম বা বর্ণের ওপর মামলার ফলাফল নির্ভর করে। এটর্নি এম মোস্তফা বলেন, যারা এই মানসিকতা এখনও পোষণ করেন, আমেরিকা তাদের জন্য নয়। আমেরিকায় সফলতা লাভ করতে হলে সততা ও আইনের শাসনে বিশ্বাস করতে হবে। সৌভাগ্যবশত আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম যারা আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করেছেন ও এখানে শিক্ষা লাভ করেছেন তারা তাদের পরিশ্রম, মেধা ও সততা দিয়ে আমেরিকার মূলধারায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে সক্ষম হচ্ছেন। এটর্নি এম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে ফোন করতে পারেন ৯১৭-২৮৫-৬২৪৭ নম্বরে।
Posted ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ মার্চ ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh