নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এবিসিসিআই) ২০০১ সাল থেকেই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সম্প্রতি গঠিত সংগঠনের নতুন কমিটির উদ্যোগে আগামী ২৩ ডিসেম্বর ঢাকার বনানীস্থ হোটেল শেরাটনে বিজনেস নেটওয়ার্কিং ডিনার’র আয়োজন করা হয়েছ।
বাংলাদেশ এবং আমেরিকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করাই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। গত ১৬ অক্টোবর বুধবার জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে এবিসিসিআই’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ উপরোক্ত তথ্য জানিয়ে নতুন কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করে উপস্থিত কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।
সংগঠনের ২১ সদস্যের নির্বাহী কমিটি কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন, প্রেসিডেন্ট আসেফ বারী টুটুল, সেক্রেটারী ফাহাদ সোলায়মান এবং কোষাধ্যক্ষ বিলাল চৌধুরী। ৪৫ পরিচালনা পর্ষদ কর্মকর্তাদের মাঝে রয়েছেন চেয়ারম্যান গিয়াস আহমেদ, হাসানুজ্জামান হাসান, আহমেদুল কবির বারো ভুইয়া, আজিজ আহমেদ, আবু হানিপ, অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, জাকারিয়া মাসুদ জিকো, ফকরুল ইসলাম দেলোয়ার, তারেক হাসান খান, মুহাম্মদ আব্দুল কাদের ভূইয়া (শিশির), শাহরিয়ার রহমান, জাহিদ মিন্টু, একেএম ফজলুল হক, শাহ জে চৌধুরী, মোস্তাক আহমেদ, আতিকুল ইসলাম জাকির, আকিব হোসেন, মো: খালেক, মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।
গিয়াস আহমেদ আরো জানান, আমাদের সংগঠনটি পূর্ব থেকেই কার্যক্রম করলেও এ বছরের ফোবানা আয়োজনের পর থেকে সংগঠনটি বিশেষভাবে সক্রিয় হয়েছে। নিউইয়র্কের ব্যবসায়ীদের নিয়ে পূর্বে সংগঠনের কমিটি গঠিত হলেও, এবার অন্যান্য স্টেটের ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ত করে একটি শক্তিশালী কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে।বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের শিকারদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ‘জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন’র তহবিলে ১ কোটি টাকা অনুদান দেয়ার ঘোষণা করা হয়।
ঢাকার শেরাটন হোটেলে বিজনেস নেটওয়ার্কিং ডিনারে আমাদের লক্ষ্য হলো, ব্যবসায়িক উন্নয়নকে উৎসাহিত করা। অনাবাসী বাংলাদেশী (এনআরবি) হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নে সাহায্য করার জন্য আমেরিকা ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সেতু ও সংযোগ তৈরি করা।আমরা বাংলাদেশেও এবিসিসিআই’র একটি শাখা প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি।
এবিসিসিআই’র নতুন কার্যকরী কমিটির প্রেসিডেন্ট আসেফ বারী টুটুল বলেন, বর্তমান কমিটির নেতৃেত্ব ‘আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এবিসিসিআই) সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী সংগঠন হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
আমাদের প্রচেষ্টায় আমেরিকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের একটি যোগসূত্র তৈরি করতে আমরা সচেষ্ট থাকবো। নভেম্বরে লাগোয়ার্ডিয়া ম্যারিয়টে নতুন কমিটির অভিষেক সম্পন্ন করা হবে।সংগঠনের নতুন সেক্রেটারি ফাহাদ সোলায়মান বলেন, প্রবাসে থাকলেও আমাদের মন এবং মননে সব সময় বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের সাাথে বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্কিং সমৃদ্ধ করার আরো উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
সংগঠনের অন্যতম ডিরেক্টর এনামুল হক এনাম জানান, বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দুতাবাস কর্মকর্তা ও মিডিয়া কর্মীরা এই বিজনেস নেটওয়ার্কিং ডিনারে উপস্থিত থাকবেন। ২৩ ডিসেম্বরের ঢাকার বিজনেস নেটওয়ার্কিং ডিনারের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ গঠনের প্রচেষ্টাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবো।
এবিসিসিআই’র ট্রেজারার বিলাল চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ‘জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন’র তহবিলে ৫ হাজার ডলার করে অর্থ প্রদান করেছেন। যার পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার ডলার। আমরা এক কোটি টাকা বাংলাদেশের নতুন সরকারের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হবো। প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মাঝে বক্তব্য রাখেন আনিসুল কবির জসির, জাকারিয়া মাসুদ জিকো, নূর আমিন, নুরুল আজিম, রিফাতি ফারুক,আলমগীর খান আলম, আতিকুল ইসলাম জাকির, মফিজুর রহমান, শাহ জে চৌধুরী, আসলাম হোসাইন প্রমুখ।
Posted ১২:১২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh