নিউইয়র্ক সিটিতে বাংলাদেশী মালিকানাধীন অন্যতম বৃহৎ সুপার মার্কেট কাওরান বাজার। এক যুগেরও অধিক সময় ধরে অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসায় করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষ করে হালাল মাংশ, তাজা মাছ ও টাটকা শাকসব্জী এবং ফলের জন্য বিখ্যাত কাওরান বাজার। পবিত্র রমজান মাস, ধর্মীয় উৎসব, নববর্ষ সহ জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে বরাবরই স্পেশাল সেল চালিয়ে আসছে কাওরান বাজার। এবারো করোনাকলে নববর্ষ-২০২১ উপলক্ষ্যে কাওরান বাজার সুপারমার্কেটে চলছে স্পেশাল সেল। মাছ, মাংশ, চাল, ডাল শাকসব্জী সহ প্রায় শতাধিক আইটেমে চলছে সেল। কাওরান বাজারের ৮৭-৫৪, ১৬৮ প্লেস, জ্যামাইকা শাখা, সাটফিনের ১৪৮-১৯ হিলসাইড এভিন্যু এবং ৬৩-০১ রুজভেল্ট এভিন্যু, উডসাইড শাখায়ও সমান্তরালে চলছে স্পেশাল সেল। করোনায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে প্রায় প্রতিটি আইটেমে বড় ধরণের মূল্য ছাড় দেয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে বিশেষ সেল শুরু করার পর এখন বিপুল সংখ্যক ক্রেতা ভীড় করছেন কাওরান বাজার সুপার মার্কেটের তিনটি শাখাতেই। কাওরান বাজার সুপারমার্কেটে গরু, খাসী ও মুরগীর হালাল মাংশের জন্য দুর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা ছুটে আসেন।

এছাড়া টাটকা শাকসব্জী ও ফল ক্রয় করতেও অনেকে আসেন কাওরান বাজার সুপার মার্কেটে। কাওরান বাজার সুপার মার্কেট জ্যামাইকা শাখা ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। ফলে যারা দিনের বেলা সুযোগ করতে পারেন না তারা রাতের বেলা কেনাকাটা করেন। ক্রেতাদের সুবিধার্থে কাওরান বাজার সুপার মার্কেটে প্রায় সবধরণের ক্রেডিট কার্ড এবং ইবিটি গ্রহণ করা হয়। নিউইয়র্ক অঞ্চলের সব বড় এবং হালাল স্লটারিং হাউজ থেকে হালাল মাংশ সরবরাহ করা হয় কাওরান বাজার সুপার মর্কেটে। বাংলাদেশী ফ্রোজেন-মাছ, শাক-সব্জী এবং অন্যান্য শুকনো উন্নতমানের খাবার আমদানী করে থাকে কাওরান বাজার সুপারমার্কেটে। এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ ইলিয়াস খান বলেন,-গ্রাহক সেবাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এজন্য আমরা সব সময় কোয়ালিটি সম্পন্ন খাবার সামগ্রী বিক্রি করে থাকি। তিনি বলেন, আমরা শতভাগ হালাল মাংশ এব তেজ শাক-সব্জী বিক্রি করি।