নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
কোভিড-১৯ অতিমারির ভয়াবহ পরিস্থিতি দক্ষতার সাথে এবং কার্যকর ও সমন্বিতভাবে মোকাবিলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানালেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। গত ২৯ জানুয়ারী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ হলে ‘মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ উত্থাপিত জাতিসংঘের বার্ষিক রিপোর্ট এবং ২০২১ সালের অগ্রাধিকারসমূহ’ -এর উপর আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বক্তব্য প্রদানকালে একথা বলেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি জাতিসংঘের সার্বিক কর্মকান্ডের উপর কোভিড অতিমারির তীব্র চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও জাতিসংঘকে সচল রাখার জন্য মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান। তিনি কোভিড-এর টিকা নিশ্চিত করা, জরুরি জলবায়ু পরিস্থিতি মোকাবিলা, এলডিসি ক্যাটেগরি থেকে উত্তরণ, এজেন্ডা ২০৩০ এর বাস্তবায়ন, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার, শান্তিরক্ষা ও রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলার মতো বাংলাদেশের জাতীয় অগ্রাধিকারসমূহের কথা তুলে ধরেন।
মহামারির এ সঙ্কট কাটিয়ে পুনরায় ভালো অবস্থায় ফিরে আসার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে অংশীদারিত্ব ও সংহতি গড়ে তোলার গুরুত্ব ও তাৎপর্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কার্যকর সাড়াদান ও পুনরুদ্ধারে অবশ্যই অগ্রাধিকারভিত্তিতে সকলের জন্য টিকা নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন দেশ ও জাতিসমূহের মধ্যে আসন্ন ‘টিকা বৈষম্য’ কাটিয়ে তুলতে প্রয়োজন ন্যায়সঙ্গত, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যের কোভিড-১৯ এর টিকার বিশ্বব্যাপী প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যার নেতৃত্ব দিতে পারে জাতিসংঘ। তিনি আরও বলেন, টিকার উৎপাদন পর্যায়ে যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বিতরণের ক্ষেত্রেও একইরকম গুরুত্ব দিতে হবে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, শান্তি বিনির্মাণ ও টেকসই শান্তি পদক্ষেপ এবং এগুলো অর্জনে নারী ও যুবদের উপর বিশেষভাবে মনোনিবেশ প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পূনর্ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। কোভিড-১৯ সত্ত্বেও বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীসহ অন্যান্য ফ্রন্টলাইন কর্মীগণ বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টায় অব্যাহত ও নিবেদিতভাবে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে মর্মে উল্লেখ করেন তিনি। ভবিষ্য মহামারি বা এ ধরনের যে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় শান্তিরক্ষা ম্যান্ডেট অনুয়ায়ী অবশ্যই প্রয়োজনীয় পূর্বপ্রস্তুতি নিশ্চিত করা উচিত মর্মে উল্লেখ করেন তিনি। ফাতিমা স্মরণ করিয়ে দেন যে বাংলাদেশ ১.১ মিলিয়ন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই সঙ্কটের টেকসই সমাধানে আরও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপের প্রয়োজন মর্মে উল্লেখ করেন তিনি। জাতিসংঘ মহাসচিবকে জটিল এই পরিস্থিতির প্রতি আরও বেশি মনোনিবেশের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, যদি অতি দ্রুত এই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা না হয়, তাহলে, এই অঞ্চলে আরও অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে।
Posted ৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh