নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস এসোসিয়েশন-জেবিবিএ’র নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। দিদার-কামরুল’র নেতৃত্বাধীন জেবিবিএ’র সাধারণ সভায় ঘোষিত নতুন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ পিয়ার এবং সদস্য সচিব হারুন ভূঁইয়া মনোনীত হয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জ্যকাসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়। আগামী নির্বাচনে নতুন কমিটি না আসা পর্যন্ত আহ্বায়ক কমিটি কার্যকর থাকবে।

সাধারণ সভায় নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন বিদায়ী কমিটির সভাপতি আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম। নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে কাজী মন্টু, মহসীন ননী, কাজী শামসুদ্দোহা, বাবু খান, জেড আলম নমি, মোশাররফ হোসেন, জাহিদ আহমেদ এবং ফাহাদ সোলায়মানকে কো-কনভেনর করা হয়েছে। জয়েন্ট কনভেনর করা হয় এম এ কাশেম, হোসেন রানা, রাশেদ আহমেদ ও জিয়াউর রহমান লিটুকে। সভায় জেবিবিএর অপর অংশের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অন্যতম গিয়াস আহমেদ ও আসেফ বারী টুটুল উপস্থিত ছিলেন। দিদার-কামরুলের নেতৃত্বাধীন কমিটি ঐক্য প্রক্রিয়ার আগ্রহ প্রকাশ করায় তাদেরকে অভিনন্দন জানান গিয়াস আহমেদ ও আসেফ বারী টুটুল।

সাধারণ সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা মাহমুদুর রহমান। শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন মো. কাশেম। আবুল ফজল দিদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোশাররফ হোসেন। জেবিবিএর যেসব নেতা ও সদস্য মারা গেছেন, শোক প্রস্তাবে তাদের স্মরণ করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে দিদার বলেন, আমি এখন আর জ্যাকসন হাইটসে ব্যবসা করি না। তাই আর এখানে থাকতে চাই না। অত্যন্ত সুন্দরভাবে দায়িত্ব ছেড়ে যেতে চাই।

সাধারণ সম্পাদক কামরুল তার রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব গ্রহণের আগে জেবিবিএ মূলত একটি অকার্যকর সংগঠনে পরিণত হয়েছিল। সদস্যরা জেবিবিএর ওপর তাদের আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা পুরো কমিটি নিয়ে জেবিবিএর প্রতি সাধারণ সদস্যদের আস্থা পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু করেছিলাম।

আমরা সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষণ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ব্যবসার প্রচার ও প্রসারের জন্য কাজ করেছি। তিনি বলেন, বিদ্যমান কমিটির মেয়াদ এক বছর আগে শেষ হয়েছে। সেই মেয়াদ পরে এক বছর বাড়ানো হয়েছিল। সেই কমিটির মেয়াদও ৭ অক্টোবর শেষ হলো।

এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। এই পর্বে ব্যবসায়িক নেতা ফাহাদ সোলায়মান বলেন, নতুন ও পুরোনো মিলে একটি কমিটি করা হোক। আসেফ বারী টুটুল বলেন, জ্যাকসন হাইটসের ব্যবসায়ীরা নানা সমস্যায় জর্জরিত। সেসব সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন পরিচয় পত্রিকার সম্পাদক নাজমুল আহসান, অবকাশের হোসেন রানা, মুনির হাসান, গিয়াস আহমেদ, আসেফ বারী টুটুল, মোহম্মদ আলম নমি, আনোয়ার জাহিদ, মিজানুর রহমান, প্রাক্তন সভাপতি মোহম্মদ পিয়ার, কামরুজ্জামান বাচ্চু, উপদেষ্টা কাজী শাসুদ্দোহা, রুহুল আমীন সরকার, হারুন ভূইয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। এরমধ্যে ছিলেন সানমানের সিও মাদু রানা, মহসীন ননী, মনসুরসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীবৃন্দ।