নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণন তার নির্বাচনী এলাকা জ্যাকসন হাইটসে জনসংযোগ করেছেন। অনুষ্ঠিত নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে জয়লাভ করেন সাউথ এশিয়ান প্রার্থী শেখর। নির্বাচনে বিজয় লাভের পর প্রথমবারের মত গত ২২ নভেম্বর বিকেলে জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশী অধ্যুষিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি তাদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন তিনি।

এসময় তিনি প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিজে গিয়ে মিষ্টি দেন। জ্যাকসন হাইটস এলাকা থেকে শেখর কৃষ্ণনের জয়লাভে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন স্থানীয় বাংলাদেশী ভোটারগণ। বাংলাদেশী আমেরিকানগণ নির্বাচনের সময় তার জন্য তহবিল সংগ্রহ করাসহ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। শেখর কৃষ্ণসহ কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনোভান রিচার্ডস, মেয়র প্রার্থী এরিক অ্যাডামস ও কুইন্স কাউন্টি সিভিল জজ প্রার্থী সোমা সাঈদের নির্বাচনী প্রচারণায় ভূমিকা পালন করেন আবু জাফর মাহমুদ।

বাংলা সিডিপ্যাপ এর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী আবু জাফর মাহমুদ শেখর কৃষ্ণণের নির্বাচনী প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পাপলন করেন। জ্যাকসন হাইটসে মিষ্টি বিতরণকালে পুরো সময় তার পাশে ছিলেন আবু জাফর মাহমুদ। ভারতীয় বংশোদ্ভুত শেখর কৃষ্ণন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যাসমূহ নিয়ে কথা বলেন।

এছাড়া এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও মূলধারার রাজনীতিক ও বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতা ফাহাদ সোলায়মান, মূলধারার রাজনীতিবিদ মিলন রহমান, শেখ কৃষ্ণনের অফিস সহকারী বাংলাদেশী আমেরিকান শামিনা। শেখর কৃষ্ণন জানান, নির্বাচনের আগে আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে নির্বাচিত হলে আমার অফিসে বাংলাদেশী নিয়োগ করা হবে।। সেই প্রতিশ্রুত আমি রক্ষা করেছি বাংলাদেশী শামিনাকে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে। তিনি বলেন, আমি আগেও বাংলাদেশী কমিউনিটির পাশে ছিলাম এবং আগামীতেও থাকবো। যারা তাকে নির্বাচনে নহযোগিতা করেছেন তিনি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শেখর কৃষ্ণন।