নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ০৭ জুলাই ২০২২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে গত ১ জুলাই শুক্রবার বিকেলে লাগর্ডিয়া ম্যারিয়ট হোটেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র সঞ্চালনায় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জন্মদিনে শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয়।
উপস্থিত প্রত্যেকের পরিচিতি ও সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ ছিল অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ছাত্র মাহতাব উদ্দিন আহমদ, সাবিনা ইয়াসমিন, ফারহানা পারভীন, মাহমুদ স্বপন, ইব্রাহীম খলিল, খলিলুল্লাহ, রাজীব মুক্তাদির, কোহিনূর বেগম, মোহাম্মদ রোকন, মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ইমরান আনসারী, সজল রোশন, মামুন রশীদ, সিলভিয়া সাবরিন, রেজোয়ানা নাজনিন, রুখসানা করিম, লোকমান হোসাইন, আহসান হাবীব, শামীম আল আমিন, উম্মে সিদ্দীকা, সামিরা তহসূন, এস সালেহ, এম সুদাইস, মারুফুল ইসলাম, আহমাদ আফনান প্রমুখ।
স্টেট ইউনির্ভার্সিটির শিক্ষক ইমরান আনসারী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের জাতিসত্ত্বা গঠনে অনবদ্য অবদান রেখেছে। জনগণের জীবনমান ও চিন্তাধারার মানদণ্ড ঠিক করে দিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস রচনা করেছে। তিনি শীঘ্রই এলামনাইদের জন্য একটি ফলউৎসব আয়োজনেরও ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে সোশ্যল মিডিয়ার জনপ্রিয় ব্যক্তি সজল রোশন তাঁর সহজাত ঠংয়ে বলেন, বাংলাদেশে খ্যাতিমান হওয়ার জন্য তিনটি ডিগ্রি আপনার অবশ্যই থাকতে হবে। এসএসসি, এইচএসসি এবং টিএসসি! জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক রুকসানা করিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রতিটি বছর সঙ্গীতে বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করার দূর্লভ সুযোগ পেয়েছিলাম, নিউ ইয়র্কে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সকল উদ্যোগের সাথে একাত্ম হতে চাই।
খলিল বিরিয়ানীর স্বত্ত্বাধিকারী জনাব খলিলুল্লাহ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে নিজের নামকে ব্রান্ডিং করার প্রেরণা আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পেয়েছি। এ প্রতিষ্ঠানের কাছে আমার ঋণ অশেষ। তিনি নিজের ব্রান্ডকে আরও সমৃদ্ধ ও বিস্তৃত করার মাধ্যমে এ ঋণ পরিশোধের প্রত্যয় ঘোষণা করেন। এটর্নি আহসান হাবীব বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার পরিচিতি ও বিশ্বস্ততার মাত্রা ঠিক করে দিয়েছে। এখানে আইনবিদ হিসেবে যাত্রাশুরুর প্রাক্কালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও পরিচয় আমাকে সবিশেষ সহযোগিতা করেছে। এ কারণে এখনো কেউ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় নিয়ে সামনে এলে তার আর কোনো পরিচয় প্রয়োজন পরে না।পরিচিতি ও স্মৃতিচারণ শেষে উম্মে সিদ্দীকা ও সামিরা তাহসূন তৈরিকৃত সুদৃশ্য ও বিশালাকৃতির কেক কাটা হয়। অভ্যাগতদের বৈকালিক নাস্তায় আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
Posted ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ জুলাই ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh