নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছিল, বাকশালের যাতাকল থেকে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি পেয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশ আরেক নব্য স্বৈরাচারের কবলে পড়েছে। এই নব্য স্বৈরাচারের হাত থেকে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করতে হলে এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আরেকটি ৭ নভেম্বরের প্রয়োজন। নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি আয়োজিত বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেই সাথে অনুষ্ঠানে জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসের জয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। গত ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মওলানা অলিউল্যাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। স্টেট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস আহমেদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম দুলাল, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আলহাজ সোলায়মান ভূঁইয়া, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা জসীম উদ্দিন ভিপি, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর এম আলম, জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন ও সাবেক ছাত্র নেতা মার্শাল মুরাদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম, আমিনুর রহমান খোকন, এনামুল করিম অপু, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, শ্রমিক নেতা মোস্তফা আহমেদ, শাহীদুল ইসলাম শিকদার, যুবদল নেতা দেওয়ান কাউসার, আমানত হোসেন আমান, মোহাম্মদ বাদশাহ, রেজাউল আজাদ ভুঁইয়া, আবুল কাশেম, আনিসুর রহমান, মোশাররফ হোসেন, আবুল কালাম, কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, বিএম বাদশাহ, খলিকুর রহমান, ফয়সল মাহমুদ, আরিফুর রহমান, শরিফ চৌধুরী পাপ্পু, মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, ইয়াকুব আলী, মোহাম্মদ রুহুল আমিন, মোতাহার হোসেন, তোফায়েল আহমেদ, মোফাজ্জল ভুঁইয়া, ফিরোজ হায়দার, হারুন অর রশিদ, আতাউর রহমান, জহিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, এমদাদুল ইসলাম, শাহজাহান সাজু, ইউসুফ আলী, কামাল উদ্দিন, আবু মিয়া, নূরুন নবী, আবু সালেহ প্রমুখ।
গিয়াস আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম, কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছি ৭ নভেম্বর। কারণ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ জীবনবাজি রেখে যে জন্য স্বাধীনতা অর্জন করেছিল; সেই স্বাধীনতা বাকশালী শাসনের কারণেই ভন্ডুল হয়ে গিয়েছিল। গণতন্ত্রকে হত্যা, মানুষের বাক্স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবে দেশ প্রকৃতভাবে স্বাধীন হয়। তিনি আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। দেশের প্রয়োজনে সিপাহী-জনতাই তাকে আবার ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে। সেই জন্য আজকে আমি শহীদ জিয়াকে স্মরণ করছি। তিনি আরও বলেন, সকল স্বৈরাচারের পতন আমরাই ঘটিয়েছিলাম। আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে নতুন স্বৈরাচারেরও আমরা পতন ঘটাবো। রফিকুল ইসলাম দুলাল বলেন, ৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতির দিবসে বাকশালের পতন হয় এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে।
সোলায়মান ভূঁইয়া বলেন, প্রকৃত অর্থে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি ৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতি দিবসের পর। ৭ নভেম্বর না হলে আমরা পরাধীনই থেকে যেতাম। আবু সাইদ আহমেদ বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছিল, বাকশালের যাতাকল থেকে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি পেয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশ আরেক নব্য স্বৈরাচারের কবলে পড়েছে। এই নব্য স্বৈরাচারের হাত থেকে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করতে হলে এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আরেকটি ৭ নভেম্বরের প্রয়োজন।
গোলাম ফারুক শহীন বলেন, ৭ নভেম্বর না হলে বিএনপির জন্ম হতো না। সুতরাং বিএনপির এই দিবসটি পালন করা উচিত। কিন্তু এবার ৭ নভেম্বরে কোনো কর্মসূচি হাতে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন, বিএনপি করতে হলে ৭ নভেম্বর পালন করতে হবে। মাওলানা অলিউল্যাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান অনুষ্ঠান সফল করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং নৈব্য স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা সরকারের পতনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত করায় অনুষ্ঠানে গোলাম ফারুক শাহীনকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
Posted ১২:১৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh