গত ৩১অক্টোবর, রোববার সন্ধ্যায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হলো চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান ও মিলাদ মাহফিল। জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিলে প্রবাসী চট্টগ্রামবাসী ছাড়াও বাংলাদেশী কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) অর্গাইনাইজিং কমিটি অব নর্থ আমেরিকার আয়োজনে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন গাউছিয়া জামে মসজিদের খতিব আল্লামা জালাল সিদ্দিকী। প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুর ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা ড. সাইয়িদ এরশাদ আহম্মেদ আল বোখারি। জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশনের নেতা ও অন্যতম আয়োজক সেলিম হারুনের পরিচালনায় মিলাদ মাহফিলে আল-কোরান একাডেমির শিশু শিক্ষার্থীরা নাত পরিবেশন করেন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নতুন হাফেজ রয়েছেন। তাদের নাত পরিবেশন সবাইকে মুগ্ধ করে।

মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সাইয়িদ এরশাদ আহম্মেদ আল বোখারি মহানবী (সাঃ) এর জীবনাদর্শ অনুসারণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানব কল্যাণে ব্রতী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। মহানবী (সাঃ) এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। মহানবী (সাঃ) এর সুমহান আদর্শ অনুসারণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। করোনা মহামারিসহ আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে প্রিয়নবী (সাঃ) এর অনুপম জীবনাদর্শ তার সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে।

বিপুল সংখ্যক নারী ও পুরুষ মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন। নারীদের জন্য পর্দা করে আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। মেজবানে তাদের আপ্যায়ণ করা হয় গরম ভাতের সঙ্গে গরু, খাশি, মুরগী এবং লাউ-ডালের তরকারি দিয়ে। এদিকে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানে বাংলাদেশী কমিউনিটির সর্বস্তরে প্রতিনিধিত্বকারী লোকজনও ছিলেন। সকল ভেদাভেদ ভুলে এবং দলমত নির্বিশেষে প্রবাসী চট্টগ্রামবাসী মেজবানে অংশ নেন। বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রায় চার হাজার মানুষ মেজবানে অংশ নেন। প্রবাসী চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ তাদের আপ্যায়ণ করেন।